• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ‘লিটনের ওপর চাপ আসে বাইরে থেকে’ যেভাবে খেলে এসেছে, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবে ইংল্যান্ড সাকিবকে খুশি দেখতে চায় বাংলাদেশ ১০০তম ম্যাচের দুয়ারে কিংস  গার্ডিয়ানের খবর: আলোনসোকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিচ্ছে লিভারপুল নিজেকে দেওয়া ৫ সেকেন্ডে আবেশের শেষ ওভারের ‘চমক’ চট্টগ্রাম টেস্টে বোলারদের আরও বড় প্রতিপক্ষ ‘নরম বল’ মেয়েকে ২৫০ কোটি রুপির বাংলো উপহার দেবেন আলিয়া-রণবীর চাঁদরাতে চরকিতে ফারুকীর সিনেমা, চঞ্চল-জেফার ছাড়াও রয়েছে আরও চমক তোমার রূপকথাতে আমি হব রাজকুমার…কতটা সাড়া ফেলেছে গানটি তৈমুর এখনই ছোট ভাইয়ের ওপর খবরদারি করে, ঘরের কথা বললেন কারিনা কেবল অভিনয় দিয়েই আলোচনায় থাকতে চান নওবা রুবেল ভাইয়ের চলে যাওয়া ভুলতে পারছি না জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ ভিসির শ্রদ্ধা মোরেলগঞ্জে নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

বিশেষ প্রতিনিধি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮.৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল, সেসব দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই জরিপটি পরিচালনা করে।জরিপে দেখা যায়, করোনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা, যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মতো সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে। তা ছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮.৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫.৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে। যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনা ও ঢাকায় (যথাক্রমে ২৩.৪ শতাংশ ও ২৩.১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে (৫.৭ শতাংশ)।জরিপে আরও উঠে এসেছে, করোনার কারণে সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০.৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩.৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩.১ শতাংশ) ছিল কম।বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনো একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, `ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অনান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।জরিপে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১.৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’ জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিয়ের ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কিনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.