• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

জেদ করে দেশজুড়ে নকল ভ্যাকসিন ছড়ান শিপন

বিশেষ প্রতিনিধি  সাইফুল ইসলাম শিপন রাজধানীর দক্ষিণখানে আল নুর ফাউন্ডেশনে ভ্যাকসিন শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও বোন জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর জানতে পারেন, পুশ করা ভ্যাকসিন নকল, অ্যাম্পুলে পানি ছাড়া কিছু নেই। এর পরই সন্ধান শুরু করেন কোথায় এই নকল ভ্যাকসিন তৈরি হয়। কেরানীগঞ্জে পেয়েও যান হিমেল সিদ্দিকের সেই কারখানা। শেষ পর্যন্ত টাকার লোভে নিজেই হিমেলের সঙ্গে উৎপাদন শুরু করেন জরায়ুর এই নকল ভ্যাকসিন। জেদ থেকে তা ছড়িয়ে দেন দেশজুড়ে।জরায়ু ক্যান্সারের নকল ভ্যাকসিনকাণ্ডে কারখানার মালিক হিমেল সিদ্দিক গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ধরা পড়ার পর এই তথ্য বেরিয়ে আসে। গতকাল সোমবার হিমেলকে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। এর আগে গত বুধবার শিপনসহ ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।ডিবির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. গোলাম সবুর কালবেলাকে বলেন, চক্রটি স্বাস্থ্য খাতে ভয়ংকর বাণিজ্যে নেমেছিল। এ পর্যন্ত তদন্তে তারা ঢাকা ও গাজীপুরের ১৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছেন, যেখানে অন্তত ছয় হাজার ছাত্রী ও শিক্ষিকাকে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে চক্রটি।এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ওই ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সারা দেশে ভয়ংকর এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যের ফাঁদ পেতেছিল। তাদের বাইরে নকল ভ্যাকসিনকাণ্ডে অন্য কেউ রয়েছে কি না, সে অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে।ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অন্য এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, তারা প্রতি অ্যাম্পুল ভ্যাকসিন প্রয়োগে ২৫০০ টাকা করে নিত। সে হিসাবে গত দুই বছরে ৬ হাজার নারীকে এই নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে কোটি টাকার বেশি হাতিয়েছে।তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হিমেল ও শিপনের কারখানায় তৈরি নকল ভ্যাকসিন মূলত রাজধানীর মিরপুরের ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, দক্ষিণখানের আল নুর ফাউন্ডেশন এবং গাজীপুরের পপুলার ভ্যাকসিন সেন্টারের মাধ্যমে বিপণন ও প্রয়োগ করা হতো। এর মধ্যে এ আর খান ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলামেরও সম্পৃক্ততা মিলেছে এই ভয়ংকর কাণ্ডে। ঘটনা জানাজানি হলে সে পালিয়ে যায়। অন্য দুই প্রতিষ্ঠানের আল নুর ফাউন্ডেশনের কাদের সিদ্দিকী ও পপুলার ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের সাইফুল এবং বাবুর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললেও তারা পলাতক। তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।ওই সূত্রটি জানায়, নকল ভ্যাকসিনের পুরো বিষয়টি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এ আর খানের ভাই আবু জাফর সমন্বয় করতেন। গাজীপুরের তার এই ধরনের একটি নকল কারখানারও তথ্য মিলেছে। তবে তিনি পলাতক থাকায় এখনো সেই কারখানার সন্ধান মেলেনি।স্থানীয় সূত্র বলছে, নকল ভ্যাকসিন তৈরির কারখানার মালিক হিমেল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন, চলতি কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য। অন্যের জায়গা দখল করে নকল কারখানা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ভয়ংকর কাণ্ডে তার নাম আসার পর সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এ চক্রটি মূলত হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধের ভ্যাকসিন দিয়ে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের ভ্যাকসিন তৈরি করে আসছিল। তারা জ্যানেভ্যাক-বি নামে হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন দিয়ে নকল প্রতিষেধক তৈরি করত, তাও দেশে আমদানি-নিষিদ্ধ। চোরাই পথে তা দেশে এনে জ্যানেভ্যাক-বি ভ্যাকসিনের এক অ্যাম্পুল দিয়ে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধী ১০ অ্যাম্পুল নকল ভ্যাকসিন তৈরি করত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.