• বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Casino 25 Euro bez Depozytu za Samą Rejestrację 2023 Vulkan Vegas bonus bez depozytu 50 spinów czy 25 EUR! Bonus bez depozytu Vulkan Vegas 50 darmowych spinów! 50 Darmowych Spinów na Book of Dead w Vulkan Vegas দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে পুলিশের তল্লাশি নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণাকারীদের নিয়ে যা বললেন মরিয়ম কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করল ভারত যুদ্ধবিরতির খবরে আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি রাশিয়ার সাথে অস্ত্র ব্যবসা: উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল দক্ষিণ কোরিয়া জাতিসংঘে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন জাস্টিন ট্রুডো জমকালো আয়োজনে শুরু হচ্ছে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল সখীপুরে গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী লাঠি বাড়ি খেলা গাঁজা বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে বাবাকে হত্যা, দায় স্বীকার ছেলের কালিয়াকৈরে পিকআপের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত ফরিদপুর-ভাঙ্গা রেলপথ: ১৬০০ ক্লিপ চুরি, অল্পের জন্য রক্ষা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১ সুপারিশ

বিশেষ প্রতিনিধি সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এ বছর ডেঙ্গুর ব্যাপক সংক্রমণের শঙ্কা প্রকাশ করে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১১ দফা সুপারিশ করেছে। আজ সকালে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় অধিদফতর সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। এই গাইডলাইন অনুযায়ীই সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে।

১. সকল সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ স্ক্রিনিংয়ের পর্যাপ্ত কিটের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু স্ক্রিনিংয়ের চার্জ ১০০ টাকার বেশি হওয়া যাবে না।

২. ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে আবাসিক চিকিৎসক ও আরএমও এর কক্ষে অতিরিক্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে আগত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয়।

৩. হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৪. কোনো ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য প্লাটলেট প্রয়োজন হলে জাতীয় গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। ২৪/৭ ল্যাব খোলা রাখতে হবে। সরকারিভাবে ২১টি সেন্টারে প্লাটিলেট সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, কোনো রোগীর প্লাটিলেট প্রয়োজন হলে উল্লেখিত ২১টি সেন্টার থেকে সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।এসব সেন্টারের মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, বাংলাদেশ (এনআইসিভিডি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি (নিকডো), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতাল (নিনস), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতাল (এনআইসিআরএইচ), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ জিয়াউর রহামান মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ট হাসপাতল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ।
 
৫. ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সহযোগিতায় হাসপাতালের চারপাশ নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ডাব বিক্রি বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

৬. ডেঙ্গু একটি ভেক্টর বাহিত রোগ বিধায় জিও লোকেশন ট্রেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মোবাইল নং এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা অবশ্যই সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. আইইডিসিআর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার যৌথ উদ্যোগে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে।

৮. আগ্রহী চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

৯. এডিস মশার লার্ভা নিধনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

১০. বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের এনএস১ অ্যান্টিজেন (সর্বোচ্চ ৫০০টাকা), আইজিজি এবং আইজিএম (সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা), সিবিসি (সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা) পরীক্ষা সরকারের পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে করতে হবে।

১১. বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা জাতীয় গাইড লাইন অনুযায়ী করতে হবে এবং প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখাকে অবহিত করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.