• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ বরিশাল আইএইচটি কলেজের শিক্ষিকা ডাঃ সানজিদার পদত্যাগে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ৪২ বছরেই চলে গেছেন অভিনেত্রী নওশীন লিজেন্ডস ক্রিকেটে শ্রীশান্তের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন গম্ভীর ২০৩৪ বিশ্বকাপেও মেসিকে চান ফিফা সভাপতি টাকা, ডলারের তীব্র সংকট, সার আমদানি বাধাগ্রস্ত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর গ্রেপ্তার: সিটিটিসি বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত সব রাজনৈতিক দলকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান মানবাধিকার কমিশনের ৩৩৮ ওসিকে বদলি, কে কোথায় যাচ্ছেন ভবিষ্যতে একাত্তরের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: হাই কমিশনার শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়ন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাহাঙ্গীরের ‘মুখোশ’ খুলে দিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  মিগজাউমের দাপটে তৃতীয় দিনেও বিপর্যস্ত ভারতের অনেক এলাকা এবার বেলারুশের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র ভি-২২ অস্প্রে উড়োজাহাজের কার্যক্রম স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবে : আপিল বিভাগ

বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলই থাকবেও।ই আপিলের ওপর শুনানির পর আজ রবিবার আপিল বিভাগ এই রায় বহাল রেখেছে।প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীরা এ রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।  

পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ওই আপিল শুনানিতে উদ্যোগ নেন রিটকারী পক্ষ। সে অনুসারে আপিলটি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ওঠে।এরপর ৩১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সার সংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দেন। পরে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয় জামায়াতে ইসলামী।হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী করা লিভ টু আপিলের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানির পর আদেশ হলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.