">
খেলাধুলা ডেস্ক ২০ বছর পর ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই অভিশপ্ত স্মৃতি যেন ফিরে এল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে এসেও ঘরের মাঠে হাতছাড়া হল বিশ্বকাপ। কোহলিদের থামিয়ে শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে দিলেন ট্রেভিস হেড। ভারতের হারে ক্রিকেটারেরা যেমন বিমর্ষ ছিলেন, তেমনই দর্শকাসনে হাজির থাকা স্ত্রী-বান্ধবীরাও আবেগ চেপে রাখতে পারেননি। কোহলির সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আনুশকা শর্মাকেও কান্না সামলাতে দেখা গিয়েছে। পরের দিকে মাঠে নেমে তিনি জড়িয়ে ধরলেন কোহলিকে। যেন আনুশকার কাঁধেই মাথা রেখে সান্ত্বনা খুঁজলেন কোহলি।
দল হারলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন কোহলি। রবি শাস্ত্রী যখন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে কোহলির নাম ঘোষণা করেন, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে কিছুটা আওয়াজ উঠেছিল। পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা কোহলি ৯৫.৬২ গড়ে রান করেন ৭৬৫। যার মধ্যে ৩টি শতক, ৬টি অর্ধশতক।শুধু এই বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ রান নয়, এটি বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এক আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। তবে দল হারলে ব্যক্তিগত পুরস্কারে ম্লান হয়ে যায়। টুর্নামেন্ট সেরা হয়েও কোহলির মুখে যেন সেই হাসিটা নেই।
এরপর বিমর্ষ কোহলির দিকে এগিয়ে আসলেন স্ত্রী আনুশকা শর্মা। এসে জড়িয়ে ধরেন কোহলিকে। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকেই লিখেছেন, স্বামীর দুঃসময়ে স্ত্রীর পাশে থাকার চিরায়ত ছবি এটি।শুধু সাধারণ দর্শক, ভক্ত-অনুরাগীরা নয়, তারকাদেরও নজর কেড়েছে তাদের এই ছবি। কোহলি-আনুশকার প্রতিবেশী অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও এই তারকা জুটিকে নিয়ে কথা বলেন।ক্যাটরিনা বলেন, ‘কোহলি-আনুশকা একে-অপরের প্রতি দারুণ সাপোর্টিভ। সবসময়ে পাশে থাকে। কোহলি যখন খেলেন, তখন আনুশকার মুখে যে হাসিটা থাকে, সেটা দারুণ একটা বিষয়। কোহলি যেরকম নিষ্ঠাবান, সংযমী মানুষ, সেটা আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার। ওর ফিটনেস প্রশংসনীয়।’
Leave a Reply