• বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ বরিশাল আইএইচটি কলেজের শিক্ষিকা ডাঃ সানজিদার পদত্যাগে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ৪২ বছরেই চলে গেছেন অভিনেত্রী নওশীন লিজেন্ডস ক্রিকেটে শ্রীশান্তের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন গম্ভীর ২০৩৪ বিশ্বকাপেও মেসিকে চান ফিফা সভাপতি টাকা, ডলারের তীব্র সংকট, সার আমদানি বাধাগ্রস্ত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তৌহিদুর গ্রেপ্তার: সিটিটিসি বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত সব রাজনৈতিক দলকে সহনশীল হওয়ার আহ্বান মানবাধিকার কমিশনের ৩৩৮ ওসিকে বদলি, কে কোথায় যাচ্ছেন ভবিষ্যতে একাত্তরের মতোই বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: হাই কমিশনার শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়ন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাহাঙ্গীরের ‘মুখোশ’ খুলে দিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  মিগজাউমের দাপটে তৃতীয় দিনেও বিপর্যস্ত ভারতের অনেক এলাকা এবার বেলারুশের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র ভি-২২ অস্প্রে উড়োজাহাজের কার্যক্রম স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

শীতকালে গুড় খাবেন কেন?

লাইফ স্টাইল শীতকাল মানেই নানারকম পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম। এসব তৈরিতে গুড় লাগেই। গুড় যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ভিটামিন ও খনিজ থাকায় এটি শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য তো বটেই, ত্বকের জন্যও বিশেষভাবে উপকারী। গুড় ব্রণ, দাগছোপ সরিয়ে দেয়, ত্বকে সহজে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না।  

গুড়ের উপকারিতার কথা জেনে অনেকেই আজকাল বিভিন্ন মিষ্টি খাবার তৈরিতে চিনির বদলে গুড় দেন। ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে গুড়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ফুসফুসে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে গুড়। এ কারণে শীতকাল জুড়েই পরিমিত পরিমাণে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ঠান্ডার সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণও বাড়তে থাকে। বাতাসে মিশে থাকা ভাইরাসের প্রভাবে অ্যালার্জিজনিত সমস্যাও বেড়ে যায়। এই ধরনের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে গুড়। নিয়মিত গুড় খেলে আরও যেসব উপকার হয়-

১. গুড়ের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণের জন্যই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে। কয়লাখনি, সিমেন্ট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো দূষণ অধ্যুষিত এলাকায় যারা থাকেন, তাদেরও নিয়মিত গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

২. গুড়ে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দূষণের কারণে শরীর-স্বাস্থ্যের যে ধরনের ক্ষতি হয়, তা থেকে রক্ষা করতে পারে গুড়।

৩. শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ছাঁকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। নিয়মিত গুড় খেলে লিভারে দূষিত পদার্থ জমার পরিমাণ কমে। টক্সিন থেকে ক্ষতির আশঙ্কাও কমে।

৪. শীতকালে হাঁপানির সমস্যা বেশি হয়।  যাদের এ সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত গুড় খেতে পারেন। তাহলে হাঁপানিতে স্বস্তি পাবেন।

৫. সর্দি-কাশি দূর করতে উপকারী গুড়। গুড়ের সঙ্গে বিট লবণ এবং আদা মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে আরাম মেলে। অত্যাধিক কাশিতে কষ্ট পেলে গুড় খান। সঙ্গে আদা মিশিয়ে নেবেন। আদার কুচি আর গুড় একসঙ্গে খেলে কাশির হাত থেকে মুক্তি মেলে।

৬. শ্বাসকষ্ট হলে সমপরিমাণ গুড় এবং সরিষার তেল মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টে আরাম মেলে। শরীর দুর্বল থাকলে দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খান। এতে শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে। গুড় এবং আদা একসঙ্গে গরম করে খেলে গলার জ্বলুনি কমে যায়। নিয়মিত গুড় খেলে ফুসফুসের মিউকাস পরিষ্কার হয়। এই কারণেই শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হজমের সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন গুড় খেলে শরীর ডিটক্স হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.