">
বিশেষ প্রতিনিধি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলেছে, দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে, এটি প্রত্যাশিত। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পেশাদারত্ব বজায় রেখে ‘যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের’ আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে কমিশনের উপপরিচালক মো. আজহার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
হরতাল, অবরোধের কর্মসুচিতে গাড়িতে আগুনের মতো ঘটনায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে জানিয়ে কমিশন আরো বলেছে, সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা ‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ঠ লঙ্ঘন’।সারাদেশে নির্বাচনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, নির্বাচন কমিশন সংবিধানসম্মত উপায়ে নির্বাচনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে স্ব-স্ব নির্বাচনি এলাকার জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে এটি প্রত্যাশিত। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সব রাজনৈতিক দলকে সহনশীল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
সরকারবিরোধীদের আন্দোলনের বিষয়ে ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় ‘কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী’ দেশব্যাপী অসহিষ্ণু ও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। জনসমাগমের স্থানে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, শিক্ষায়তনের ফটক তালাবদ্ধ করা এবং বিদ্যালয়ে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে ভয়-ভীতি ও সহিংসতা সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যা সম্পুর্নরুপে স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশব্যাপী নাশকতা, বিশৃঙ্খলতা ছড়ানোর কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হওয়ার সম্মুখীন হচ্ছে।আন্দোলনের কারণে জনজীবনে ছন্দপতন ঘটেছে উল্লেখ করে কমিশন আরো বলেছে, খেটে খাওয়া দিনমজুরদের দৈনিক আয়েও প্রভাব পড়েছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে সামগ্রিক জীবন, জীবিকা ও অর্থনীতির চলমান আবর্ত। এ জাতীয় অবস্থার সৃষ্টি মানবাধিকারের সুস্পষ্ঠ লঙ্ঘন; বেঁচে থাকার উপকরণ রুটি-রুজির উপর আঘাত কোনোভাবেই অধিকার আদায়ের সংগ্রাম হতে পারে না।
Leave a Reply