">
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো লিভার। এই অঙ্গটি খাবার হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক তৈরি করে। দেহ থেকে টক্সিন বের করে দেয়। সেই সঙ্গে বিপাকের হারকেও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই অঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প নেই। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে সবার প্রথমে বাইরের খাবার খাওয়া ছাড়ুন। পাশাপাশি ঘি, মাখন ও অত্যধিক তেল খাওয়া বাদ দিতে হবে। এ গুলো না মানলে লিভারে ফ্যাট জমতে পারে। হতে পারে প্রদাহ।
আজকের প্রতিবেদনে পাঁচটি ফল নিয়ে আলোচনা করা হবে, যেগুলো নিয়ম মতো খেলে লিভারের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পুরো শরীর ভালো থাকবে। এ ছাড়া এই অঙ্গকে ঘিরে ধরতে পারবে না ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস ও ফাইব্রোসিসের মতো অসুখ।
বাতাবি লেবু
লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলো বাতাবি লেবু।এই ফলে রয়েছে ন্যারিনজেনিন ও ন্যারিনজিন নামক দুটি উপাদান। আর এই দুই উপাদান লিভারের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রদাহ কমায়। ফলে বড়সড় রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। তাই নিয়মিত এই ফল খেতে ভুলবেন না।তবে ভুলেও এই ফলে লবণ ছড়িয়ে খাবেন না। তাতে উপকার তো মিলবেই না, উল্টো শরীরের ক্ষতি হয়ে যাবে।
ব্লুবেরি
ব্লুবেরিতে আছে অ্যান্থোসায়ানিনের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান লিভারের প্রদাহ কমায়। যার ফলে নানা জটিল অসুখ দূরে থাকে। এর পাশাপাশি নিয়মিত এই ফল খেলে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। এমনকি যারা ইতোমধ্যেই এই রোগে ভুগছেন, তারাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তাই রোজ ব্লুবেরি খেতে ভুলবেন না।
আঙুর
আঙুরে থাকা একাধিক জরুরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়, কোষের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এতে মজুদ ভিটামিন ও খনিজের গুণে শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও অনায়াসে মিটিয়ে ফেলা যায়। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব এই ফল খাওয়া শুরু করে দিন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে আঙুর খাবেন না। এতে শরীরের হাল বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
বিটরুট
এই সবজিতে রয়েছে নাইট্রেট। সেই সঙ্গে এতে বিটালেইনস নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়। আর এই উপাদান শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। যার ফলে কমে যায় প্রদাহ। তাই নিয়মিত বিটের পদ বা এর জুস করে খেলে একাধিক জটিল লিভারের রোগ এড়িয়ে চলা যায়। সুতরাং প্রতিদিনের খাবারে বিটরুটকে জায়গা করে দিন।
বাদাম
যেকোনো বাদামেই থাকে উপকারী ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং অন্যান্য প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড। আর এসব উপাদানই লিভারের জন্য সেরার সেরা। যে কারণে নিয়মিত বাদাম খেলে বহু জটিল অসুখ প্রতিরোধ করা যায়। তবে আপনি যদি রোজ ৫০ গ্রামের বেশি বাদাম খান, তাহলে ওজন বাড়বে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অ্যাসিডিটিতেও ভুগবেন।
সূত্র : এই সময়
Leave a Reply