• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Mirage Volcano Attraktion In Las Vegas 1win ⭐ Ei̇dman Və Kazino Mərcləri >> Depozit Bonusu $1000 1win Yüklə Android Apk Və Ios App 2023 Pulsuz Indir Globalez Resources Sdn Bhd 1win Yüklə Android Apk Və Ios App 2023 əvəzsiz Indir Kazino রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট Mostbet Giriş, Mobil oyna, Blackjack, Baccarat ve Roulette 2024 গরমে তরমুজ খেলে কী উপকার পাবেন নখ কামড়ানোর বদভ্যাস ছাড়বেন যেভাবে এই গরমে বারবার গোসল করা কি ভালো ? জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ হবে নান্দনিক উদ্যান: মেয়র তাপস গুলশানে বারের সামনে মারামারির ঘটনায় ৩ তরুণী গ্রেপ্তার  মাহির সঙ্গে প্রেম, জয় বললেন আমাদের সম্পর্ক পবিত্র জোভান বললেন, এমন কাজ আর করব না অবসর ভেঙে ৫৮ বছরে ফুটবলে ফিরছেন রোমারিও!  রাজায় রাজায় যুদ্ধ আজ আল-ফালাহ ব্যাংক কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া

ওষুধ প্রশাসন ও ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক যৌথ অভিযানের পরও থেমে নেই  নকলও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন।

এস এম বদরুল আলমঃ সম্পতি কালে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের  চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় ঔষধ প্রশাষন রাজধানীর কলেজ গেট এলাকা সহ সারাদেশে এবং র‌্যারের ভ্রাম্যমান আদালত ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কর্তৃক ও  ওষুধ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযানে হৃদরোগ বা কিডনিজনিত সমস্যার মতো সংবেদনশীল রোগের ওষুধেরও দেখাতে পারেনি বৈধ কাগজ, মিলেছে মেয়াদহীন ওষুধও। ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন মোবাইল কোর্ট না থাকায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না ওষুধ প্রশাসন। নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে গত এক বছরে প্রায় ২ হাজার ১৪৫টি মামলা দায়ের করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। আর ৩৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। সিলগালা করা হয় ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। জব্দ করা হয় প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। সরকারের এতসব নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও ওষুধ নকল ও ভেজালকারীদের দৌরাত্ম বন্ধ হচ্ছে না। বরং ওসব অসাধু চক্র নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়াচ্ছে যে কারনে গত শনিবার ১৫ই নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হসপাতাল এলাকায় ১২টি ফার্মেসী থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ জব্দকরে। অপরদিকে একই তারিখে হিলি সিমান্ত দিয়ে ভারতে প্রাচার কালে ২২৫ বোতল নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক সিরাপ জব্দ করে হাকিমপুর থানা পুলিশ। উক্ত ১০০মিলি সিরাপ গুলির নাম টার্চ, উক্ত যৌন উত্তেজক সিরাপের গায়ে বিএসটিআইএর মান সনদের সিল রয়েছে। দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত ইউনানী ওষুধ কোম্পানি ২৬৬টি এবং আয়ুর্বেদ ওষুধ কোম্পানি ২০৫টি। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী কিছু কোম্পানি  ফর্মুলারি অনুযায়ী ওষুধ তৈরি করলেও বেশিরভাগ কোম্পানী ফর্মুলারির বাইরে গিয়ে অতি মুনাফার লোভে নানা ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করছে ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।

পেশাদার ডিগ্রিধারী হাকিম কবিরাজদের স্থান দখল করেছে কেমিস্টরা। সম্প্রতি ফরিদ, মুয়াজ্জেলিন সহ কয়েকজন কেমিস্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা হার্বসের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট কেমিক্যাল ব্যবহারের নিয়ম বাতলিয়ে থাকে। তবে এখন অনেক হাকিম কবিরাজও কেমিক্যাল বিদ্যা রপ্ত করে অসৎ কাজে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও নকল ও ভেজাল ওষুধের কারবার থেমে নেই। নিত্য  নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে অপরাধীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে নিম্নবর্ণিত এসব কোম্পানীর উৎপাদিত ওষুধের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সত্ত্বেয় তারা বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এর কারন সরুপ জানাযায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কতিপয় অবৈধ সুবিধা ‍ভূগী অসাধু  কর্মকর্তারা উল্লিখিত ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের নিকট থেকে নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঐ সমস্ত কোম্পানির ঔষধ সমূহ মানসম্মত বলে রিপোর্ট প্রদান করে ফলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাঠপর্যয়ের কর্মকর্তারা বাজার থেকে যে সকল ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করে গুনগত মান যাচাইএর জন্য নমুনা সমূহ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে প্রেরন করে ৬/৯মস অপেক্ষা করেও নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় না। ড্রাগটেস্টিং ল্যাবরেটরির ওই সকল দূর্নীতি পরায়ন  কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে নকল ভেজাল ঔষধ  উৎপাদন ও বাজার জাত কারীদের সাথে নমুনা প্রতি মোটা অংকের অর্থের চুক্তি থাকায় প্রায় সব নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির ঔষধ সমূহ রাতের আধারে মন সম্পূর্ণ বলে রিপোর্ট পেয়ে যায়। মাঝেমধ্যে কিছু কোম্পানির ঔষধ সমূহ সাবস্টান্টার্ড বলে রিপোর্ট প্রধান করে থাকে যা উপরিমহলের আই ওয়াস মাত্র। এ ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে যে সমস্ত কোম্পানি নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন ও বাজার জাতের শীর্ষে রয়েছে সেই সকল কোম্পানির বিরুদ্ধে আজ রিপোর্ট প্রকাশিত হলো।

গাজীপুর র্বোড বাজার এলাকার বড় বাড়ি নামক স্থানে আল-সাফা ফার্মাসিটিকেল উইনানী এবং পাওনিয়ার উইনানী নামক একই মালিকের দুইটি কোম্পানীতে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষধ যার মালিক আতাউর রহমান ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাপ বেটা মিলে বিভিন্ন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ সমূহ নকল করে বাজারজাত করছে। র্বোড বাজার এলকায় আল-সাফা দাওয়াখানায় গেলে বিভিন্ন প্রকার নকল ভেজাল ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ঔষধ পাওয়া যাবে। কুনিয়া বড় বাড়ি এলাকায় অবস্থিত আল-সাফা ও পাওনিয়র ল্যবরেটরিজের কারখানায় অভিযান চালালে অত্র রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যাবে। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধ সমূহের মধ্যে সাফাক্যাল, হাসিটন, মাস্তিটন, গোলাপটন, আপেলটন, সাফা-জিনসিন সহ উক্ত কোম্পনির ৪৫০মিলি সিরাপ বাজারে মাত্র ৪০-৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে যার লেবেল কার্টুনের মূল্য মুদ্রিত রয়েছে ৩৫০টাকা ৪৫০টাকা।

ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) লিঃ পুদিনা-এস, এন মুন্ইশ, এন জিংগো, এন ভিট-বি, রুচি ভিট-বি, নিশাত রেইনবো, ভিয়েক্স নামক ঔষধ সমূহের লেভেল কার্টুনের চুরান্ত অনুমোদন ব্যতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানী এর কারখানা মিরপুর পলাশ নগর এবং মিরপুর স্টেডিয়ামের পিছনে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর মালিক খলিল একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে সেখানে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর গোপন একটি ঔষধের ডিপো বানিয়েছেন এখান থেকে ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ সমূহ নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নিজস্ব কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঔষধ ডেলিভারি দেয়। ইতি পূর্বে নেচার ল্যাবরেটরিজ কে ভ্রাম্মমান আদালত ২০,০০০,০০/- (বিষ লক্ষ) টাকা জরিমানা করে। একই এলাকায় (মিরপুর পলাশনগর) অবস্থিত

মেসার্স সেড ফার্মাসিউটিকেলস আয়োর্বেদিক এর কারখানায় র‌্যাব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমান এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ জিম্যাক্স এর উৎপাদন কালে সেড ফার্মার মালিক ডা.সনজয় বারই ও কয়েকজন কর্মচারী হাতেনাতে ধরাপড়ে। এ সময়ে ভ্রাম্মমান আদালত কতৃক শেড ফার্মার মালিকের জেল জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে। উক্ত কোম্পনির জিও ভিটা, গ্লাক্টো, রুচিভিটা, গ্লাকটন, হাইপিক, জিন-কিং  ট্যাবলেট, ফুলভিটা ক্যাপসুল ও সিরাপ সহ প্রায় শতাধিক আইটেমের ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে।

এস এ ল্যাবরোটরীজ (ইউনানী) একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে সরবত সেব দুই নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার ট্রেড নাম  হিটোন (শরবত শেব) ও আপেল-জি (শরবত শেব), হেপঠো, ম্যাগফেরল, ম্যাগোজিন (শরবত জিনসিন), মিকোরেক্স (শরবত ছদর) নামক ঔষধ সমূহ লেবেল কার্টুনে চূড়ান্ত অনুমোদন ব্যাতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উটেছে।

এ বি ফার্মাসিউটিক্যালস’র (আয়ু) এবি কফ, এবি-টন সহ প্রায় শতাধিক বৈধ-অবৈধ ও নিম্ন মানের ঔষধ সামগ্রির উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এক প্রকার বেপরোয়া ভাবে ভাটারা এলাকায় এবি ফার্মাসিটিক্যালস এর কারখানায় অতর্কিত অভিযান চালালে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম ধরা পরবে। জুরাইন এর

দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) একই ডি এ আর নাম্বার ব্যবহার করে বলারিস্ট সিরাপ ও দি-টন সিরাপ নামে একি বলারিস্ট দুই নামে ভিন্ন ভিন্ন লেবেল কার্টোনে বাজারজাত করছে এছাড়া উক্ত কোম্পানি দি গোল্ড,  এনজয় প্লাস ক্যাপসুল, এনজয়প্লাস সিরাপ, সহ প্রায় শতাধিক আইটেমের ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন  বাজারজাত করছে। এ ধরনের অভিযোগে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস এর কারখানায় ৩-৪ বার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং র‌্যাবের ভ্রাম্মমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্নপ্রকার অনিয়মের ধায়ে উক্ত কোম্পানি একাধিক বার সিলগালা ও সাময়িক লাইসেন্স বাতিল সহ মোটা অংকের জরিমানা আধায় করে।

নারায়নগঞ্জের  সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালসের (ইউনানী) আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব)  নামক ৪৫০মিলি সিরাপ রাজধানীসহ সারাদেশে মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে এর কারন সরুপ জানা যায় উক্ত ভিটামিন সিরাপ দুটিতে মাত্রাতিরিক্ত গবাদিপশু মোটাতাজা জাত করন ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে কারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ সেবন করলে অতিদ্রুত স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, রুচি বৃ্দ্ধি হয় যে কারনে জনসাধারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ কিনতে ঔষধের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নারায়নগঞ্জ এলাকার দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তা একাধিকবার সুরমা র্ফামাসিউটিক্যালস এর উৎপাদিত ভিটামিন সিরাপ আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব) এর গুনগত মান যাচাই এর জন্য ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে উল্লেখিত দুটি ভিটামিন ঔষধের  নমুনা পাঠিয়ে ও অধ্যবধি নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি। এর কারন সরুপ জানা যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষ এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নিয়মিত অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক ফিরোজ।

জুরাইনের  অনির্বান ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক ডাঃ সেলিম মোহাম্মাদ শাহজাহান বাংলাদেশ আয়োর্বেদিক শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তিনি তার মালিকানাধীন অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামক ঔষধ কোম্পানিতে  সিলগোল্ড এভোরিন (চন্দ্রনাসব) ৪৫০মিলি সিরাপ, এনিসিড (আমলকি রসায়ন), এসপারমোভিট ৪৫০মিলি সিরাপ, রিকহক (উপসম) ৪৫০মিলি সিরাপ, ইস্কিনা ৪৫০মিলি সিরাপ নামক ঔষধ সমূহের বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, এছাড়াও সম্প্রতি উক্ত কোম্পানিতে ভ্রাম্মমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩০ লক্ষ  টাকা জরিমানা সহ ৫জন কর্মচারীকে আটক করে। বর্তমানে অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রিজ (আয়ু) নারায়নগঞ্জে স্থানান্ত্রিত হয়েছে।

নারায়নগঞ্জের বিসমিল্লাহ ল্যাবরোটরীজের (ইউনানী) নামক ঔষধ কোম্পানি কতৃপক্ষ গ্লোবিরোন (শরবত ফওলাদ) ২০০মিলি সিরাপ, আমলা (শরবত আমলা) ৪৫০ মিলি, পুদিনা (আরক পুদিনা) ৪৫০মিলি, পিউ-বি (শরবত গাওজবান) ৪৫০মিলি তুলশী(কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, বাসক (কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, রুচি-বি (হাব্বে হেলতিন), সিরাপ, এট্রোজিন (জিনসিং সিরাপ)১০০মিঃলিঃ এবং বি-জিনসিন নামক ১০০ মিঃ লিঃ সিরাপ একই ডিএআর নম্বর ব্যবহার করে দুই নামে যথাক্রমে এট্রাজিন ও বি-জিনসিন নাম ব্যবহার করছে। বর্তমানে বিসমিল্লাহ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) কাগজে কলমে বন্ধ দেখানো হলেও ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত থেমে নেই।

পাবনার ইমপোল(ইউনানী) ল্যাবরোটরীজ এর মালিক রফিক অবৈধ ভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাতে গিয়ে ভ্রাম্মমান আদালত কতৃক দন্ডিত হয়। উক্ত কোম্পানি  ইমোফিল (শরবত জিনসিন) ১০০মিঃলিঃ ও হরমোফিল (জিনসিন সিরাপ) এবং শরবত জিনসিন নামক ১০০মিঃলিঃ সিরাপে একই ডিআর নম্বার ব্যাবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

রাজধানীর  যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলে  মডার্ন হারবাল, মারকো ইউনানী ও মর্ডান হারবাল রিসার্চ নামক ঔষধ কোম্পানিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৭৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। মডার্ন হারবাল কতৃপক্ষ সুপার গোল্ড কস্তুরি ক্যাপসুল, এনার্জিনাউ ক্যাপসুল, এনার্জি গোল্ড ক্যাপসুল, কস্তুরি গোল্ড নামক ক্যাপসুলে সিনডেনাফিল সাইট্রেড ও ট্রাডালাফিন সাইট্রেড ব্যবহার পূর্বক উৎপাদন ও বাজারজাত করায় উক্ত যৌনউত্তেজক ক্যাপসুলগুলি বাজারে মুড়িমুড়কিরমতো বিক্রি হচ্ছে।

ম্যানসন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) কতৃপক্ষ সাসটিনা, ম্যানভিক্যাপ, ম্যানসিন (শরবত জিনসিন) নামক ঔষধ সমূহে বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য ব্যবহার পূর্বক উৎপাদন ও বাজারজাত করায় জনস্বাস্থ আজ হুমকির সম্মুখীন।

ময়মনসিংহের লীড ফার্মাসিউটিক্যালস এর কতৃপক্ষ  লিডোগোল্ড নামক ঔষধে ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহার করছেবলে এক অভিযোগ উঠেছে। উক্ত কোম্পানীর কফ সিরাপে মত্রাতিরিক্ত এ্যালকোহল মিশ্রনের ফলে উক্ত কফ সিরাপটি ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ঢাকার ডীপলেইড ফার্মাকো (হোমিও) লিবোনেক্স, ভিমেক্স প্লাস, জিনসেং ট্যাবলেট ও সিরাপে মানব দেহের ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহীর এলটি ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) পুদিনানেক্স ৪৫০মিঃলিঃ, অনমোর ১০০মিঃলিঃ, এলটিগোল্ড(৩০টি ক্যাপসুল), নামক ঔষধ সমূহে বিভিন্ন প্রকার কালার ফ্লেবার ও ক্যামিকেল ব্যবহার পূর্বক উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে দীর্ঘদিনের  অভিযোগ  থাকা সত্ত্বেও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।

রাজধানীর  হাইম্যাক্স ইউনানি ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক পক্ষ  নাইট পিল (ট্রেড নামের অনুমোদন নেই) ম্যাকরিন, ক্যাল-এক্স নামক ঔষধ সামগ্রির বাজারজাত অব্যহত রেখেছে।

ময়মনসিংহের ফাস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর লাইসেন্স বাতিল হওয়া সত্ত্বেও উক্ত কোম্পনির মালিক নূর মোহাম্মাদ দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন পূর্বক  মেনফাষ্ট (যৌবন শতদল) ক্যাপসুল, ভিটাফাষ্ট (বলারিস্ট) নামক ঔষধ সহ ২০-৩০ প্রকার ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন  ও বাজারজাত করা দুঃসাহস প্রদর্শন করছেন।

গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যবরেটরীজ (ইউনানী) মালিক পক্ষ  রুচিটন, দামালিন, অ্যামবো-ডি, জিনটোরিন, নিশিক্যাপ, জেবিলেক্স নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন কি উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত এ্যাকোহল ব্যবহার করার ফলে জেবিএল এর কফ সিরাপের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

বগুরার সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) সবুজ আমলকী প্লাস ৪৫০মিলিঃ, সবুজ জিনসিন ২০মিঃলিঃ+৪০মিঃলিঃ+৬০মিঃলিঃ+১০০মিঃলিঃ+৪৫০মিঃলিঃ সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত সবুজ জিনসিন নামক সিরাপে সিনড্রেনাফিন সাইট্রিয়েট  ও ট্রাডালাফিন সাইট্রিয়েট  ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও বগুড়ার ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা বরাবরই বগুড়ার চিহ্নিত নকল ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রয়াশ রহস্য জনক ভূমিকায় রয়েছে।

ঝিনাইদাহের প্রজ্ঞা ল্যবরেটরীজ (আয়ু) এর মালিক আকরাম হোসেন ভিগোরিষ্ট (ভিমরস) নামক ১০০মিঃলিঃ সিরাপ ১০-১১টাকায় পাইকারী বাজারজাত করছে এছাড়াও উক্ত কোম্পানি একই ডিএআর নম্বর দিয়ে একাধিক ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরও উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। উক্ত কোম্পানি অদ্যবধি কালার ফ্লেবার ও বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর ক্যামিকেল দিয়ে ঔষধ সামগ্রির উৎপাদন ও বাজারজাতে দুঃসাহস দেখিয়ে আসছে।

এদিকে গত ১ নভেম্বর ভেষজ ওষুধ শিল্পে ট্রেডনামের কারসাজী শিরোনামে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে বলা হয় স্বাস্থ্য সেবার নামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জেনেরিক নামে ওষুধের অনুমোদন নিয়ে চুড়ান্ত লেবেল-কার্টুনের অনুমোদন ছাড়াই ট্রেড নামের ওষুধ বাজারজাতে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থ লোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা ট্রেড নামে কারসাজী করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, এক ধরনের লেবেল-কার্টুনের অনুমোদন নিয়ে ডিলারদের পছন্দের চাহিদা মতো অন্য ধরনের লেবেল-কার্টুন বানিয়ে ড্রাগ প্রশাসনকে ধোকাই দেয়নি, জনসাধারনের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছে। ঔষধ নিয়ন্ত্রন অধ্যদেশ অনুসারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হতে লেবেল কার্টুনের চুড়ান্ত অনুমোদন নেওয়ার পর অনুমোদিত লেবেল কার্টুনের কোন প্রকার পরিবর্তন পরিবর্ধন এবং কোন প্রকার শব্দ যোগ করা যাবে না। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ঔষধ নিয়ন্ত্রন অধ্যদেশ অনুসারে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় ড্রাগ সুপারদের ম্যানেজ করে ইচ্ছে মতো চকচকে রঙিন প্যাকেটে মোড়ানো কেমিক্যাল যুক্ত ওষুধ বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সেবার চরম ক্ষতিসাধনে সক্রিয় থাকায় নকল-ভেজাল ও মানহীন কোম্পানীর কাছে   ‍সুনামধন্য কোম্পানিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব চিহ্নিত বিতর্কিত কোম্পানির উৎপাদিত নিম্নমানের ৪৫০ মিলি সিরাপ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় এবং ১০০মিলি সিরাপ ১০ থেকে ১১ টাকায় পাইকারী রেটে বিক্রয় করায় পুরো ভেষজ শিল্প এখন বিতর্কের সম্মুখীন।অপরদিকে ফ্ল্যাট রেটে অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করায় ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মানসম্মত কোম্পানীর মালিকরা। এদের ক্ষপ্পরে পড়ে ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা মুনাফার লোভে মানহীন ওষুধ বিক্রিতে আগ্রহী হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে কি হচ্ছে তা ড্রাগ প্রশাসন বাস্তবে দেখলে এসব কোম্পানীর কারখানা বহু আগেই সিলগালা করে দিতেন। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মাফিক ওষুধ বানিয়ে ফ্ল্যাট রেটে বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি আর জিএমপি গাইডলাইন অনুসরণকারী ব্যবসায়ীরা দিনকে দিন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

নোয়াখালীর ইউনিক ফার্মা আয়ুর্বেদিক, লাইসেন্স নং-৮৭। প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নামে বাজারজাত করছে রোটেক্স, সেক্সন, ভি-টাস, ইউ-ভিটা, ভিগার, লিভারজিন ও ইউজেম। সেক্সন-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ প্রা. লি., রোটেক্স-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ আয়ু লি., ভি-টাস-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ লি., ইউ-ভিটা-ইউনিক হারবাল ল্যাবরেটরীজ প্রা. লি.। এক এক প্রডাক্টে কোম্পানীর নাম আলাদা আলাদাভাবে মুদ্রন করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ চারটি ওষুধ চারটি কোম্পানীর নাম কারসাজী করে ক্ষ্যান্ত হয়নি, ট্রেডনামের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই উক্ত  কোম্পানী অবৈধ ভাবে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে।

আকসা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৯৪। প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নামে চূড়ান্ত লেবেল-কার্টনের অনুমোদন ছাড়াই বাজারজাত করছে আমলকি-প্লাস, চাইল্ড গ্রো, প্রোলিব, প্রোরোল্ব-৩০, হাইপোলিন, মাল্টি-এস, জি-রোজ, ভিকোলেক্স, ট্রিভো, স্প্রীন-১২০ ও লেডিকেয়ার। আকসা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনানী ট্রেড নামে উল্লিখিত ঔষধ সমূহ বাজারজাত করছে। অথচ ড্রাগের ওয়েবসাইটে এসব ওষুধের কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি।

আরিভা ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৫৫। প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করছে লিকোভা, লিভাটেক, রিভেলিভ, রিভেজিম, রিডাসেব ও রিভেক্স। ডাইরিভা, লিভাটেক, লাইগেট, নিশাত-ট্যাব ও সেব ওষুধের ট্রেড নামের অনুমোদন না থাকলেও  উক্ত কোম্পানির ৯টি প্রডাক্টের ৬টি ট্রেড নামের অনুমোদন থাকলেও ১৬টি ওষুধ বাজারজাত করছে। এছাড়াও ডাইরিভা ওষুধের লেবেল-কার্টনে শিশুদের ছবি মুদ্রন করে বাজারজাত করছে।

কুমিল্লার এনসি ল্যাবরেটরীজ আয়ু। লাইসেন্স নম্বর পাওয়া না গেলেও জসিম নামের একজন ব্যবসায়ী এনসি ল্যাবরেটরীজ নামে বাজারজাত করছে- রেভিকফ, এনসি-আমলা, ইরেস্ট, এক্স-ফেরো, এনসি-লিপ্রো, এন-টক্স, ল্যাক্সারিড, ডায়াগার্ড ও এনসিভিট নামের ওষুধ। কোম্পানীর নাম যেখানে ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় নেই সেখানে ট্রেড নামে উল্লিখিত ঔষধ সমূহ অবৈধভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যা ঔষধ নিয়ন্ত্রিন অধ্যাদেশ পরিপন্থি।

বি-বাড়িয়া রিকন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-৩০। প্রতিষ্ঠানটির ৩৪টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেডনামে বাজারজাত করছে রিকোভিট, জিনোসিন, রিক্যাল-১৩, পি-ক্যাপ, নাইট-ক্যাপ, রিজাইম, হামক্যাপ, রাফি, রিকোভিট-ডিএস, ইউ-রেস, আরক্যাল-১০, আইরোকন, রিকোলান ও ডিবালিন। রিকন ল্যাবরেটরীজ ইউনানীর মালিকের আরো একটি প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম রিড ফার্মা। উক্ত কোম্পানির প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ১৪টি শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় রিড ফার্মার বিরুদ্ধে ড্রাগ কোর্টে মামলা হয় এ বিষয়টি নিয়ে সারাদেশ ব্যাপি ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধিন অবস্থায় আছে।

নারায়নগঞ্জের সেফটি হেলথ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-১২৮। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ৬জন বলে জানা গেছে। তারা নিজেরা ওষুধ বাজারজাত করে এই ব্যক্তি ট্রেড নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে সেফগ্লোবিন, ডায়মোসেফ, সেফবিউটন, জিনসিন, বাসক, সেফটোলিভ ও সেইফটিন নামের ওষুধ। ১২টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগ প্রশাসনের সেলস অনুমতির তোয়াক্কা না করে নকল-ভেজাল ক্ষতিকারক ওষুধ ফ্লাট রেটে বিক্রি করছেন। প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঢাকার বাবু বাজারের ইউনিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৭২। প্রতিষ্ঠানটির ২২টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে-ভেজটন, সারবোলিন, ক্যাবডিন, ইউনিটন, ইউনিড, মেসটিনন, জুবুভিট, জেবরিং, জিংজেং ও ইজটন নামক ঔষধ। এছাড়াও উক্ত কোম্পানির ঔষধ সমূহের লেবেল কার্টোনের চুড়ান্ত অনুমোদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়নি।

কুষ্টিয়ার বৃক্ষ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-৫০। প্রতিষ্ঠানটির ৮টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও সাস্ত্রিয় নাম ও ট্রেড নামে একই ঔষধ একই ডিএআর নম্বর ব্যবহার করে বাজারজাত করছে-রুচি-প্লান্ট, প্লানভিট, জিনসিন ও জিং-প্লান্ট, প্লান্ট-গোল্ড, আমলা ও আমলা-প্লান্ট, লিভো-প্লান্ট, ফিমো-প্লান্ট, কার্গো-প্লান্ট, প্লান্ট-কফ, গ্যাস্টো-প্লান্ট ও তুলসী নামক বিভিন্ন প্রকার ঔষধ। এসব ঔষধের লেবেল কার্টোনের চুড়ান্ত অনুমোধন নেওয়া হয়নাই। উক্ত কোম্পানির মালিক পক্ষ এলেক্স ইউনানী নামক আরো একটি কোম্পানি কিনেছেন বর্তমানে ঐ কোম্পানির স্থানন্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উক্ত ফাইলটি বর্তমানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ইউনানী বিশেষজ্ঞের টেবিলে লেবেল কার্টোনের চুড়ান্ত অনুমোদন ও কোম্পানি স্থানান্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

সাভারের জীনি ইউনানী ল্যাবরেটরীজ লি., লাইসেন্স নং-১৩। প্রতিষ্ঠানটির ২৫টি ওষুধ জেনেরিক নামে অনুমোদন থাকলেও ট্রেড নামে বাজারজাত করছে টনোলিভ, জীনি-ভিট, হার্বভিটা, ভিগরাস, বিফিগ্রা, ইউট্রাজেন, হাইপারলিক্স, লিভোজিন, বেবী-কেয়ার, ভিসেনিল ও গাইনোরিক নামে ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এমনকি লেবেল-কার্টনের চুড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই ডিলারদের পছন্দ মতো লেবেল-কার্টন বানিয়ে ঔষধ সামগ্রি সরবরাহ করছে এবং বিফিগ্রা নামক ক্যাপসুলের গায়ে ঘোড়ার ছবি দেওয়া আছে যা ঔষধ নিষন্ত্রন অধ্যদেশ পরিপন্থি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়ম অনুসারে অনুমোদিত ঔষধের লেবেল কার্টোনে কোনো জন্তু জানোয়ারের ছবি দেওয়া যাবে ন।

রংপুরের ইকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২২৪। ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও ওষুধের নাম অন্তর্ভূক্ত না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ট্রেড নামে বাজারজাত করছে ইকোলাক, পিউরিটিক, ইকোমেন, ইকোসিড, ইকো-জিনজিন, সাইট্রল ও ইকোপার নামক ঔষধ সমূহ।

চট্টগ্রামের প্রগ্রেসিভ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-১০২। ড্রাগের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও প্রডাক্টের তালিকা না থাকা সত্ত্বেও বাজারজাত করছে-রুচিট্যাব, রেস্টোসিভ, আমলাসিভ, পাওয়ার-৫০, এসকে-সিভ ও ইউনিক্যাপ। কোম্পানীর ৬/৭ জন পার্টনারশীপ থাকলেও দেলোয়ার মূল ভূমিকায় থেকে অবৈধভাবে কোম্পানীর নবায়ন ছাড়াই ট্রেড নামে ব্যবসা করে আসছে। এদিকে চট্টগ্রামের সেই কথিত কোম্পানী রাতারাতি কিভাবে নারায়নগঞ্জ থেকে ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ময়মনসিংহের নকল ভেজালের হোতা মোঃ কামরুল ইসলাম ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানীর লেভেল কাটুন নকল করে ঔষধ উপাদন করে আসছে বলে সুত্র মতে জানা যায় । যার মধ্য রয়েছে জেসি আই, ম্যাবকো, ভিগো, একরাম সহ বিভিন্ন কোম্প্নীর ঔষধ , যা সরাসরি স্টার মেডিকেল, রনি মেডিকেল,পারুল মেডিকেল, একতা ফার্মেসী , উজুল হোমিও ইত্যাদি ফার্মেসীতে সরাসরি বিক্রয় করছে, এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ঔষধ তত্বাবধায়কের কার্যালয়ে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করে নাই।

সাভারের কে.ইউ ফার্মাসিউটিক্যাল আয়ু, লাইসেন্স নং-১৩৮। ড্রাগের ওয়েবসাইটের তালিকায় কোম্পানীর নাম ও প্রডাক্টের নাম না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি বাজারজাত করছে কে.ইউ জিনসিন, কে.ইউ-ভিট, কে.ইউ-রুচিতা। এমনকি, অসাধু ব্যবসায়ীদের পছন্দের বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ নকল করে সরবরাহ করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অবৈধ ভাবে ট্রেড নামে বাজারজাতকারী এসব কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রচলিত ধারায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী বাংলাদেশ আয়ুর্বেদীক শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ ইউনানী শিল্প সমিতির সচেতন নেতাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

2 responses to “ওষুধ প্রশাসন ও ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক যৌথ অভিযানের পরও থেমে নেই  নকলও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন।”

  1. Md.Nurul Alam says:

    গত 3/11/2020 কিশোরগন্জ জেলার বিসিকে অবস্হিত ইষ্ট বেঙ্গল ইউনানী ল্যাবরেটরীজ নকল রেনিটিডিন উৎপাদনের সময় AD . Drug Administration, Kishoregonj , Md.Nurul Alam অভিযান পরিচালনা করে কারখানাটি সীলগালা করেন । মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে Special Power Act – 1974 এর 25 C ধারায় মামলা রুজু করা হয় ।

  2. mir shah Jahan says:

    Those who passed part of one Life span, later now in mother country Bangladesh is known a Muslim country with mass population ! But only one strongest figure with full of Loving country,who is only Loving Bangladesh & all others lotings verious wayes ! So what’s the courses behind that is That’s ‘ Democracy’ because I served longer period in Smallest but wealthy not only money but also Strongest Rules for native & expats!
    Now could assessed my painfull blog against ‘Democracy’! now one big Terms of unLossing Business no doubt !

Leave a Reply to mir shah Jahan Cancel reply

Your email address will not be published.