">
এস এম বদরুল আলমঃ র্যারের ভ্রাম্যমান আদালত ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কর্তৃক ও ওষুধ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে গত এক বছরে প্রায় ২ হাজার ১৪৫টি মামলা দায়ের করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময় ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়। আর ৩৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। সিলগালা করা হয় ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। জব্দ করা হয় প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রায় ৪৭ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। সরকারের এতসব নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও ওষুধ নকল ও ভেজালকারীদের দৌরাত্ম বন্ধ হচ্ছে না। বরং ওসব অসাধু চক্র নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়াচ্ছে যে কারনে দেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত ইউনানী ওষুধ কোম্পানি ২৬৬টি এবং আয়ুর্বেদীক ওষুধ কোম্পানি ২০৫টি ,হোমিও ৭৫টি, হারবাল ২৫টি।
এর মধ্য অনেক কোম্পানীর লাইসেন্স নবায়ন নেই, তার পাশাপাশি নেই ওষুধের ট্রেড নামের অনুমোদনও চুড়ান্ত লেভেল কাটুনের অনুমোদন তারপরও বসৎরের পর বসৎর, কোন কিছু তোয়াক্কা না করে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী কিছু কোম্পানি ফর্মুলারি অনুযায়ী ওষুধ তৈরি করলেও বেশিরভাগ কোম্পানী ফর্মুলারির বাইরে গিয়ে অতি মুনাফার লোভে নানা ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করছে ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য।
পেশাদার ডিগ্রিধারী হাকিম কবিরাজদের স্থান দখল করেছে কেমিস্টরা। সম্প্রতি ফরিদ, মুয়াজ্জেলিন সহ কয়েকজন কেমিস্টের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা হার্বসের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট কেমিক্যাল ব্যবহারের নিয়ম বাতলিয়ে থাকে। তবে এখন অনেক হাকিম কবিরাজও কেমিক্যাল বিদ্যা রপ্ত করে অসৎ কাজে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও নকল ও ভেজাল ওষুধের কারবার থেমে নেই। নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে অপরাধীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে নিম্নবর্ণিত এসব কোম্পানীর উৎপাদিত ওষুধের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সত্ত্বেয় তারা বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এর কারন সরুপ জানাযায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কতিপয় অবৈধ সুবিধা ভূগী অসাধু কর্মকর্তারা উল্লিখিত ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের নিকট থেকে নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নিয়ে ঐ সমস্ত কোম্পানির ঔষধ সমূহ মানসম্মত বলে রিপোর্ট প্রদান করে ফলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাঠপর্যয়ের কর্মকর্তারা বাজার থেকে যে সকল ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করে গুনগত মান যাচাইএর জন্য নমুনা সমূহ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে প্রেরন করে ৬/৯মস অপেক্ষা করেও নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় না। ড্রাগটেস্টিং ল্যাবরেটরির ওই সকল দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে নকল ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজার জাত কারীদের সাথে নমুনা প্রতি মোটা অংকের অর্থের চুক্তি থাকায় প্রায় সব নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির ঔষধ সমূহ রাতের আধারে মন সম্পূর্ণ বলে রিপোর্ট পেয়ে যায়। মাঝেমধ্যে কিছু কোম্পানির ঔষধ সমূহ সাবস্টান্টার্ড বলে রিপোর্ট প্রধান করে থাকে যা উপরিমহলের আই ওয়াস মাত্র। এ ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে যে সমস্ত কোম্পানি নকল ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন ও বাজার জাতের শীর্ষে রয়েছে সেই সকল কোম্পানির বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশিত হলো।
গাজীপুর র্বোড বাজার এলাকার বড় বাড়ি নামক স্থানে আল-সাফা ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) লিঃ, মেসার্স শেড ফার্মাসিউটিক্যালর্স আয়োর্বেদিক, এস এ ল্যাবরোটরীজ (ইউনানী), বগুরার সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), এবি ফার্মাসিউটিক্যালস(আয়ু), দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস(আয়ু), নারায়নগঞ্জের সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), জুরাইনের অনির্বান ফার্মাসিউটিক্যালস, নারায়নগঞ্জের বিসমিল্লাহ ল্যাবরোটরীজের (ইউনানী), পাবনার ইমপোল (ইউনানী) ল্যাবরোটরীজ, রাজধানীর যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইলে মডার্ন হারবাল, ঈশ্বরদী পাবনার ন্যাচারাল আয়ুবেদিক ল্যাবরেটরীজ, ম্যানসন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী), ঢাকার ডীপলেইড ফার্মাকো (হোমিও), গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যবরেটরীজ (ইউনানী) ,বগুড়ার বিজি ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, পাবনার ইউনিফিল ফার্মাসিউটিক্যাল(ইউ), রেমেক্স ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, কিউব ফার্মাসিউটিকাল ইউনানী, নিকো আয়ুর্বেদিক, জনতা ড্রাগ ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, আরকে ইউনানী, এডল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল আয়ু, ইউনিজেম ফার্মাসিউটিকাল ইউনানী, সিকো ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউ), ফেয়ার ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ল্যাব: ইউনানী, পিএম ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, নিরাময় ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, ফার্মাজেম ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, রেডরোজ ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, ইউনিকেয়ার বাংলাদেশ ইউনানী, ইউনিয়ন ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, উত্তরা ল্যাবরেটরিজ ইউনানী, ইষ্টল্যান্ড ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লিবারেট ল্যাবরেটরিজ আয়ু, এমএম ফার্মাসিউটিক্যালর্স (আয়ু), দি ওরিয়েন্ট ল্যাবরেটরিজ আয়ু, রাজশাহীর এলটি ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) , রাজধানীর হাইম্যাক্স ইউনানি ফার্মাসিউটিক্যালস ,ময়মনসিংহের ফাস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) ,গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যবরেটরীজ (ইউনানী, ঝিনাইদাহের প্রজ্ঞা ল্যবরেটরীজ (আয়ু) , নোয়াখালীর ইউনিক ফার্মা আয়ুর্বেদিক, লাইসেন্স নং-৮৭, আকসা ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৯৪,আরিভা ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৫৫, কুমিল্লার এনসি ল্যাবরেটরীজ আয়ু, বি-বাড়িয়া রিকন ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-৩০, নারায়নগঞ্জের সেফটি হেলথ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-১২৮, ঢাকার বাবু বাজারের ইউনিক ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২৭২, কুষ্টিয়ার বৃক্ষ ইউনানী ল্যাবরেটরীজ, লাইসেন্স নং-৫০, সাভারের জীনি ইউনানী ল্যাবরেটরীজ লি., লাইসেন্স নং-১৩, রংপুরের ইকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানী, লাইসেন্স নং-২২৪, সাভারের কে.ইউ ফার্মাসিউটিক্যাল আয়ু, লাইসেন্স নং-১৩৮।
ময়মনসিংহের নকল ও ভেজালকারী মোঃ কামরুল ইসলাম যুবদল, বিএনপি ও সমনিত্ব সড়ক পরিবহনের নেতা বলে পরিচয় দেয় । ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানীর লেভেল কাটুন নকল করে ঔষধ উপাদন করে আসছে বলে সুত্র মতে জানা যায় । যার মধ্য রয়েছে জেসি আই, সবুজ ফার্মাসিউটিক্যাল, জেনিয়াল ইউনানী, প্রিভেন্টিস বাংলাদেশ ইউনানী, এমী ল্যাবলোটরী আয়ু, কনফিডেন্স ফার্মাসিউটিক্যাল (আয়ু) , ভিগো ল্যাবলোটরী , একরাম ল্যাবলোটরী সহ বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ , যা সরাসরি স্টার মেডিকেল হল, রনি মেডিকেল হল ,জয়দের মেডিকেল হল, পারুল মেডিকেল হল, একতা ফার্মেসী , কামরুল মেডিকেল হল, সায়মন ড্রাগস, শিরিন মেডিকেল হল, গৌরঙ্গ বাজার কিশোরগঞ্জের উজ্বল হোমিও হলে সরাসরি বিক্রয় করছে, এছাড়া ময়মনসিংহের দূর্গাবাড়ি কামরুলের নিজের দোকান সৃজন ফার্মেসীতে সরাসরি নকল ও ভেজাল ওষধ বিক্রয় হচ্ছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ঔষধ তত্বাবধায়কের কার্যালয়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মালিক গন অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করে নাই।
গাজীপুর র্বোড বাজার এলাকার বড় বাড়ি নামক স্থানে আল-সাফা ফার্মাসিটিকেল উইনানী এবং পাওনিয়ার উইনানী নামক একই মালিকের দুইটি কোম্পানীতে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষধ যার মালিক আতাউর রহমান ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাপ বেটা মিলে বিভিন্ন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ সমূহ নকল করে বাজারজাত করছে। র্বোড বাজার এলকায় আল-সাফা দাওয়াখানায় গেলে বিভিন্ন প্রকার নকল ভেজাল ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ঔষধ পাওয়া যাবে। কুনাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত আল-সাফা ও পাওনিয়র ল্যবরেটরিজের কারখানায় অভিযান চালালে অত্র রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যাবে। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধ সমূহের মধ্যে সাফাক্যাল, হাসিটন, মাস্তিটন, গোলাপটন, আপেলটন, সাফা-জিনসিন সহ উক্ত কোম্পনির ৪৫০মিলি সিরাপ বাজারে মাত্র ৪০-৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে যার লেবেল কার্টুনের মূল্য মুদ্রিত রয়েছে ৩৫০টাকা ৪৫০টাকা।
ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) লিঃ পুদিনা-এস, এন মুন্ইশ, এন জিংগো, এন ভিট-বি, রুচি ভিট-বি, নিশাত রেইনবো, ভিয়েক্স নামক ঔষধ সমূহের লেভেল কার্টুনের চুরান্ত অনুমোদন ব্যতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানী এর কারখানা মিরপুর পলাশ নগর এবং মিরপুর স্টেডিয়ামের পিছনে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর মালিক খলিল একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে সেখানে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর গোপন একটি ঔষধের ডিপো বানিয়েছেন এখান থেকে ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ সমূহ নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নিজস্ব কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঔষধ ডেলিভারি দেয়। ইতি পূর্বে নেচার ল্যাবরেটরিজ কে ভ্রাম্মমান আদালত ২০,০০০,০০/- (বিষ লক্ষ) টাকা জরিমানা করে। একই এলাকায় (মিরপুর পলাশনগর) অবস্থিত
মেসার্স শেড ফার্মাসিউটিক্যালস আয়ুর্বেদিক এর কারখানায় র্যাব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমান এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ জিম্যাক্স এর উৎপাদন কালে সেড ফার্মার মালিক ডা.সনজয় বারই ও কয়েকজন কর্মচারী হাতেনাতে ধরাপড়ে। এ সময়ে ভ্রাম্মমান আদালত কতৃক শেড ফার্মার মালিকের জেল জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে। উক্ত কোম্পনির জিও ভিটা, গ্লাক্টো, রুচিভিটা, গ্লাকটন, হাইপিক, জিন-কিং ট্যাবলেট, ফুলভিটা ক্যাপসুল ও সিরাপ সহ প্রায় শতাধিক আইটেমের ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে।
বগুরার সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) সবুজ আমলকী প্লাস ৪৫০মিলিঃ, সবুজ জিনসিন ২০মিঃলিঃ+৪০মিঃলিঃ+৬০মিঃলিঃ+১০০মিঃলিঃ+৪৫০মিঃলিঃ সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত সবুজ জিনসিন নামক সিরাপে সিনড্রেনাফিন সাইট্রিয়েট ও ট্রাডালাফিন সাইট্রিয়েট ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও বগুড়ার ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা বরাবরই বগুড়ার চিহ্নিত নকল ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রয়াশ রহস্য জনক ভূমিকায় রয়েছে। এব্যাপারে সবুজ ফার্মাসিউটিক্যালস মালিক মোঃ সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বগুড়া ওষুধ প্রশাষণ আমার নিয়ন্ত্রনে আমার চাচাতো ভাই আওয়ামিলীগের নেতা এখান থেকে কেউই আমার কিছু করতে পারবে না, তিনি আরও বলেন ঢাকায় ওষুধ প্রশাষনের বড় অফিসারদের তিনি মাসুহারা দিয়ে থাকেন ফলে সেখান থেকেওকিছু হবে না বলেও দাবি করেন।
জুরাইন এর দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) একই ডি এ আর নাম্বার ব্যবহার করে বলারিস্ট সিরাপ ও দি-টন সিরাপ নামে একি বলারিস্ট দুই নামে ভিন্ন ভিন্ন লেবেল কার্টোনে বাজারজাত করছে এছাড়া উক্ত কোম্পানি দি গোল্ড, এনজয় প্লাস ক্যাপসুল, এনজয়প্লাস সিরাপ, সহ প্রায় শতাধিক আইটেমের ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন বাজারজাত করছে। এ ধরনের অভিযোগে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস এর কারখানায় ৩-৪ বার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং র্যাবের ভ্রাম্মমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্নপ্রকার অনিয়মের ধায়ে উক্ত কোম্পানি একাধিক বার সিলগালা ও সাময়িক লাইসেন্স বাতিল সহ মোটা অংকের জরিমানা আধায় করে। এদিকে অতি সম্পতি দিহানের মালিক মোঃ লিটন ইষ্ট ব্যাঙ্গল ল্যাবলোটরী (ইউ) নামে কিশোরগঞ্জ শিল্প নগরীতে আর একটি কোম্পানী খুলে একই প্রতিষ্ঠানে দিহান ও ব্যাঙ্গল ল্যাবলোটরী (ইউ) ওষুধ উৎপাদন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে কোম্পনীর কর্মরত ব্যাক্তিরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পালিয়ে গেলে প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের কেউ কে না পেয়ে প্রতিষ্ঠাটিকে সিলগালা করে দেয়।
নারায়নগঞ্জের সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালসের (ইউনানী) আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব) নামক ৪৫০মিলি সিরাপ রাজধানীসহ সারাদেশে মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে এর কারন সরুপ জানা যায় উক্ত ভিটামিন সিরাপ দুটিতে মাত্রাতিরিক্ত গবাদিপশু মোটাতাজা জাত করন ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে কারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ সেবন করলে অতিদ্রুত স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, রুচি বৃ্দ্ধি হয় যে কারনে জনসাধারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ কিনতে ঔষধের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নারায়নগঞ্জ এলাকার দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তা একাধিকবার সুরমা র্ফামাসিউটিক্যালস এর উৎপাদিত ভিটামিন সিরাপ আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব) এর গুনগত মান যাচাই এর জন্য ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে উল্লেখিত দুটি ভিটামিন ঔষধের নমুনা পাঠিয়ে ও অধ্যবধি নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি। এর কারন সরুপ জানা যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষ এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নিয়মিত অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক ফিরোজ।
জুরাইনের অনির্বান ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক ডাঃ সেলিম মোহাম্মাদ শাহজাহান বাংলাদেশ আয়োর্বেদিক শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তিনি তার মালিকানাধীন অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামক ঔষধ কোম্পানিতে সিলগোল্ড এভোরিন (চন্দ্রনাসব) ৪৫০মিলি সিরাপ, এনিসিড (আমলকি রসায়ন), এসপারমোভিট ৪৫০মিলি সিরাপ, রিকহক (উপসম) ৪৫০মিলি সিরাপ, ইস্কিনা ৪৫০মিলি সিরাপ নামক ঔষধ সমূহের বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, এছাড়াও সম্প্রতি উক্ত কোম্পানিতে ভ্রাম্মমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ ৫জন কর্মচারীকে আটক করে। বর্তমানে অনির্বান মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রিজ (আয়ু) নারায়নগঞ্জে স্থানান্ত্রিত হয়েছে।
নারায়নগঞ্জের বিসমিল্লাহ ল্যাবরোটরীজের (ইউনানী) নামক ঔষধ কোম্পানি কতৃপক্ষ গ্লোবিরোন (শরবত ফওলাদ) ২০০মিলি সিরাপ, আমলা (শরবত আমলা) ৪৫০ মিলি, পুদিনা (আরক পুদিনা) ৪৫০মিলি, পিউ-বি (শরবত গাওজবান) ৪৫০মিলি তুলশী(কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, বাসক (কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, রুচি-বি (হাব্বে হেলতিন), সিরাপ, এট্রোজিন (জিনসিং সিরাপ)১০০মিঃলিঃ এবং বি-জিনসিন নামক ১০০ মিঃ লিঃ সিরাপ একই ডিএআর নম্বর ব্যবহার করে দুই নামে যথাক্রমে এট্রাজিন ও বি-জিনসিন নাম ব্যবহার করছে। বর্তমানে বিসমিল্লাহ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) কাগজে কলমে বন্ধ দেখানো হলেও ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত থেমে নেই।
এস এ ল্যাবরোটরীজ (ইউনানী) একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে সরবত সেব দুই নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার ট্রেড নাম হিটোন (শরবত শেব) ও আপেল-জি (শরবত শেব), হেপঠো, ম্যাগফেরল, ম্যাগোজিন (শরবত জিনসিন), মিকোরেক্স (শরবত ছদর) নামক ঔষধ সমূহ লেবেল কার্টুনে চূড়ান্ত অনুমোদন ব্যাতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উটেছে।
এ বি ফার্মাসিউটিক্যালস’র (আয়ু) এবি কফ, এবি-টন সহ প্রায় শতাধিক বৈধ-অবৈধ ও নিম্ন মানের ঔষধ সামগ্রির উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এক প্রকার বেপরোয়া ভাবে ভাটারা এলাকায় এবি ফার্মাসিটিক্যালস এর কারখানায় অতর্কিত অভিযান চালালে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম ধরা পরবে।
ম্যানসন্স ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) কতৃপক্ষ সাসটিনা, ম্যানভিক্যাপ, ম্যানসিন (শরবত জিনসিন) নামক ঔষধ সমূহে বিভিন্ন প্রকার অপদ্রব্য ব্যবহার পূর্বক উৎপাদন ও বাজারজাত করায় জনস্বাস্থ আজ হুমকির সম্মুখীন।
ঢাকার ডীপলেইড ফার্মাকো (হোমিও) লিবোনেক্স, ভিমেক্স প্লাস, জিনসেং ট্যাবলেট ও সিরাপে মানব দেহের ক্ষতিকর ক্যামিকেল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যবরেটরীজ (ইউনানী) মালিক পক্ষ রুচিটন, দামালিন, অ্যামবো-ডি, জিনটোরিন, নিশিক্যাপ, জেবিলেক্স নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন কি উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত এ্যাকোহল ব্যবহার করার ফলে জেবিএল এর কফ সিরাপের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।
অবৈধ ভাবে ট্রেড নামে বাজারজাতকারী এসব কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রচলিত ধারায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী বাংলাদেশ আয়ুর্বেদীক শিল্প সমিতি ও বাংলাদেশ ইউনানী শিল্প সমিতির সচেতন নেতাদের।
Leave a Reply