• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

ওষুধ প্রশাষনের নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে হারবাল ওষুধের কারখানা।

এসএম বদরুল আলমঃ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে হারবাল ওষুধ তৈরির কারখানা। ওষুধ প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় এসব কারখানায় ভেজাল ওষুধ ও নেশার সিরাপ তৈরি করা হচ্ছে। আর মাদক দ্রব্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাসহ সারাদেশে হারবাল  কাশির সিরাপ নেশার বস্তুু হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদকসেবীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকার কথিত হারবাল ল্যাবরেটরিতে এসব নেশা ও ভেজাল সিরাপ উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব সিরাপ বা ওষুধ খেয়ে একের পর এক শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব সিরাপ সেবন করা হলে মানব দেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এসব কোম্পানী গুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তাই এসব ক্ষতিকারক ঔষধ বাজারে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এসব কোম্পানির আন্তরিকতার কারনে অসাধু ফার্মেসী ব্যবসায়ী, হাকিম ও ডাক্তাররা প্রতিনিয়তই প্রেসক্রিপশন করে যাচ্ছেন। এসব ঔষধ খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় ক্ষতিকারক প্রভাব যেমন শরীরে জন্ডিস, কিডনি সমস্যা ও অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারনে হাড় জোড়া থেকে ছুটে যায়। এমনকি ব্রন সহ চর্মরোগের মত সারা শরীরে ও মাথায় ছোট-ছোট ফোড়া বের হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। গভীর অনুসন্ধানে জানাযায়, ইউনানী ও আয়ুবেদী প্রোডাক্টস এর ঔষধগুলো ভোক্তা অধিকার আইন এতো বেশি দাম কী করে হয়!  কিন্তু এসব ঔষধ গুলো বাজার মূল্য ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ইবনেসিনা (ইউনানী) কোম্পানির ভাল মানের ভিটামিন সিরাপ ভিনসিনা বাজার মূল্য ১৫০টাকা ও হামদর্দ সিনকারা বাজার মূল্য ১৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়।   গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারী মাসে দৈনিক সবুজ বিপ্লব সহ অনান্য পত্রিকায় প্রকাশিত নবীন হারবাল ল্যাবরেটরির ওষুধ খেয়ে কুষ্টিয়ায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

সূত্র জানায়, ঢাকাসহ সারাদেশে ভেজাল হারবাল ইউনানী আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এখন বাজারে সহজলভ্য। তাই কতিপয় কোম্পানি গণ মাধ্যম সহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এসব ওষুধ বাজারজাত করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সূত্র জানায়, সারা দেশে প্রায় ৯শ ইউনানী ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক কোম্পানির লাইসেন্স থাকলেও বাকিদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নাই বললেই চলে। এসব অবৈধ কোম্পানির ছত্রছায়ায় রয়েছে একটি বিশাল অবৈধ ও নিম্ম মানের কেমিকেল ব্যবসায়ী চক্ররা। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মধ্যে এই অবৈধ কোম্পানিগুলোতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও এই অবৈধ ব্যাবসা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ যাবত কালের মধ্য র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কতৃক হারবাল কোম্পানীদের মধ্যে মডার্ন হারবাল ৭৫ লক্ষ, অনিবার্ণ ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) ৩০ লক্ষ, ন্যাচার র্ফামাসিউটিক্যাল (ইউনানী) ২০ লক্ষ, ইকো র্ফামাসিউটিক্যাল ৮ লক্ষ, ভারটেক্স হোমিও, জে বক্স হোমিও, বর্ণালী ল্যাবরেটরিজ সহ শতাধিক কোম্পানীকে জরিমানা করেন। এদিকে ন্যাচার ল্যাবরেটরিজ দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে ওষুধের অনুমোদন ছাড়াই নিন্ম বর্নিত ওষুধ উৎপাদন করে আসছে, শরবত মুছার্ফফী (এন- ছাফী (তরল)), শরবত বেলগারী (ডাইসিড(তরল)), জিংগো বিলোবা (এন-জিংগো(ক্যাপসুল)), শরবত হায়াতীন মুরাক্কাব (এন-ভিট-বি)), হাব্বে মুনিশ (এন-মুনিশ ক্যাপসুল)) ,হাব্বে তাবাশীব (এন-সিড(ক্যাপসুল)), হাব্বে সূরঞ্জান (এন-মুভ(ক্যাপসুল)), পুদিনা এস, ওষুধ গুলো দীর্ঘ দিন বাজারে থাকলে ও গত ২৭.০২.২০২০ তারিখে বানিজ্যিক নামের জন্য আবেদন করেন। এছাড়া ও নামে বেনামে বিভিন্ন নকল ও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন আসছে।

বিভিন্ন সুত্রের মাধ্যমে জানা যায় রাজধানীর মিরপুর-১১ পলাশ নগর মেজর সাহেবের বাড়ীর নিচতলায়, ন্যাচারাল ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউনানী) কারখানায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। আরো জানা যায়, যে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত ফ্যাক্টরী সিলগালা না করার শর্তে যে নিদেশনা দিয়েছিলো সেগুলো না মেনে অগের থেকে আরও খতরনাক ভাবে নকল ও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন। তাছাড়া আদালত কতৃক জরিমানা পরিশোধের পর ঔষধ প্রশাষনের কতিপয় কিছু অসাধু ব্যাক্তিকে মেনেজ করে তার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আর ও কিছু ঔষধ কোম্পানী আছে যারা নকল ও ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন।

এই সব কোম্পানীর মধ্য রয়েছে সুরমা ল্যাবরেটরিজ (ইউনানী) কোম্পানীর ” সিরাপ সেব-এস ৪৫০মিলি , পুদিনা ৪৫০মিলি”  আশরাফুল ল্যাবরেটরিজের আশটোন ৪৫০ মিলিঃ, দিহান ফার্মাসিউটিক্যাল (আয়ু) বলারিস্ট সিরাপ ও দি-টন সিরাপ ,দি গোল্ড,  এনজয় প্লাস ক্যাপসুল, এনজয়প্লাস সিরাপ, শেড ফার্মাসিউটিক্যাল (আয়ু) জিম্যাক্স, জিও ভিটা, গ্লাক্টো, রুচিভিটা, গ্লাকটন, হাইপিক, জিন-কিং ট্যাবলেট, ফুলভিটা ক্যাপসুল ও সিরাপ, এবি ফার্মাসিউটিক্যালস(আয়ু) এবি কফ, এবি-টন, সোলার ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউনানী) সোলার জিনসিং৪৫০মিলি, আলসাফা (ইউনানী) শানপ্লেক্স৪৫০মিলিঃ সাফাপ্লেক্স, জেবিএল ড্রাগ(ইউনানী) রুচিটন, দামালিন, অ্যামবো-ডি, জিনটোরিন, নিশিক্যাপ, জেবিলেক্স, এবি ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) এবি কফ, এবি-টন, বগুড়ার বিজি ল্যাবরেটরিজ (ইউনানী) বিজিসেব৪৫০মিলি, সবুজ ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউনানী) সবুজ আমলকী প্লাস ৪৫০মিলিঃ, সবুজ জিনসিন ২০মিঃলিঃ+৪০মিঃলিঃ+৬০মিঃলিঃ+১০০মিঃলিঃ+৪৫০মিঃলিঃ , ময়মনসিংহের ফাস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) মেন ফাস্ট ,টিনভিট, নিকো আয়ুর্বেদিকের নিকোডেক্স, নিকোরেক্স-ডি এস, হাইম্যাক্স ফার্মাসিউটিক্যাল (ইউনানী) ট্যাবলেট নূখরা,ক্যাল-এক্স ,ম্যাক্সিন৪৫০মিলিঃ।

ইউনিসন হোমিও, প্রজ্ঞা ল্যাবরেটরিজ (আয়ু), গ্রেন ফার্মা (ইউনানী), ভারটেক্স হোমিও, ইউনিক হোমিও, ডিজিল্যাব (আয়ু), প্র্যারেন্ট ইউনানী, ন্যাশানাল হোমিও,  বেক্সটার হারবাল, এসবি হারবাল, ইন্ট্রা ফার্মা(ইউনানী) , নবীন ল্যাবরেটরিজ (ইউনানী), ইষ্ট ব্যাঙ্গল ল্যাবলোটরী (ইউ) , ওষুধী ল্যাবরেটরিজ (আয়ু),  অ্যাডরুক ফার্মাসিউটিক্যাল(ইউনানী)।এদিকে আর্য়ুবেদিক, ইউনানী, হোমিও, হারবাল শিল্পমালিক সমিতির সচেতন নেতারা জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থে নকল ও ভেজাল ওষুধ নিয়ে কোনো প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে আমরা ধন্যবাদ জানাই তবে সবাই ঢালোয়া ভাবে খারাপ নয়, অনেক কোম্পানী আছে যাদের ঔষদের গুনগত মান অনেক ভাল।

 


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ওষুধ প্রশাষনের নিয়ম না মেনে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে হারবাল ওষুধের কারখানা।”

  1. সুন্দর প্রতিবেদন। কিন্তু ভিনসিনার বাজার মূল্য ১৫০ নয়, ২০০ টাকা। তবে ১৪০ টাকাতেও কিনতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.