• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ক্যাবরেরার টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন ব্রাজিলের ভয়ংকর তিন কাতারের আমির ঢাকায় আসছেন ২২ এপ্রিল  অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা নকশায় ‘ত্রুটি নিয়ে’ গণশুনানিতে ক্ষোভ আড়ত ভাঙলে পাঁজর ভাঙবে ব্যবসায়ীদের গ্রামে সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন সহজ হচ্ছে ২৯ রমজান কি অফিস খোলা? বাংলাদেশ ইউনানী মেডিকেটেড কসমেটিক এর সম্ভাব্না শীর্ষক সেমিনার” ২০২৪ ইং। বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সীমান্তে হত্যা বন্ধে আগেই অনুরোধ করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনেগালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী ফায়ে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই

ফকির আলমগীরের জানাজা ও দাফনের স্থান নির্ধারণ

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, দেশবরেণ্য গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে শনিবার (২৪ জুলাই) বাদ যোহর রাজধানীর খিলগাঁও মাটির মসজিদে জানাজা শেষে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।

তিনি জানান, শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় পল্লীমা সংসদে ফকির আলমগীরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ফকির আলমগীরের মরদেহ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সবশেষ বাদ যোহর রাজধানীর খিলগাঁও মাটির মসজিদে শেষ জানাজা শেষে তাকে তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীর এর মৃত্যুতে শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিশিষ্টজনরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় রহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। শোকাহত পরিবারের সদস্য ও ফকির আলমগীরের অগণিত ভক্তের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরকে ভর্তি করা হয়। তার আগে কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। সেদিনই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
পরে গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকির আলমগীর ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। রাজপথে বিভিন্ন আন্দোলনে তাকে বহুবার দেখা গেছে। তিনি ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন এ গণসংগীত শিল্পী। এরপর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। তিনি একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।
জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.