• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ তীব্র গরমের পরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি ভারত সিরিজের দল দিল বিসিবি রিয়ালের রেকর্ডে ভয় পান না গার্দিওলা  উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপি ও জামায়াতের স্মরণসভায় বক্তারা ডা. জাফরুল্লাহ ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার: কাদের টেস্ট পরীক্ষার নামে বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি বিজিপির আরও ১৮ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে ইরান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, পুতিনকে টেলিফোনে রাইসি আমাদের অঞ্চলে আর সংঘাতের প্রয়োজন নেই: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মী জারনির নাম প্রস্তাব ইসরায়েলকে সহায়তা করায় বিক্ষুব্ধ জর্ডানের নাগরিকরা

আজ ঐতিহাসিক ২৩ অক্টোবর, “উপজেলা দিবস” প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ঐতিহাসিক ২৩ অক্টোবর, “উপজেলা দিবস”। যে দিনটি দিয়েছে আমাদের নেতা আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ‘কে শ্রেষ্ঠ “সংস্কারক” এবং পল্লীবন্ধু হিসেবে উপাধি। আজকের এই দিনে আমি উপজেলা, গুচ্ছগ্রাম,ও পথকলী ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ১৯৭১ সালে দেশস্বাধীন হওয়ার পরে থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চারটি সরকার গঠিত হলেও অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের ৯টি বছর হিংসা প্রতিহিংসায় কেটে যায়।
হাজারো স্বপ্ন আর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ গঠনের দৃঢ় শপথ নিয়ে ১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় আসার পর পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর হাজারো জনমুখী কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উপজেলা পদ্ধতি প্রনয়ণ। একটি অন্ধকার ঘরে বিদ্যুৎ এর সুইচ চাপলে যেমন সঙ্গে সঙ্গে আলোকিত হয়ে যায়, তেমনি করে উপজেলা পরিষদ গঠন করে অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ’ কে একযোগে আলোকিত করেছিলেন আমার নেতা পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯ টি মহকুমা কে ৬৪ টি জেলায় রুপান্তর এবং ৬৪ টি জেলাকে ৪৬০ টি উপজেলা গঠন করে -ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে রাজধানী এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে সরাসরি রাজধানী ঢাকার সাথে যে যোগাযোগ ব্যবস্হা উনি করেছেন তা ইতিহাসে আজও মাইলফলক হয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জেলায়, উপজেলায় যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা পাকা করন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পল্লী বিদ্যুৎ এর আলোর ঝলকানির মধ্যে দিয়ে গ্রামকে শহরে রুপান্তর করেছেন আজ থেকে ৩৪ বছর আগে ১৯৮৬ সালের ২৩ অক্টোবর।অথচ বর্তমান সরকার গ্রাম’ কে শহরের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা আমার নিকট হাস্যকর মনে হয়। কারন,এই কাজটিই পল্লীবন্ধু ৩৪ বছর আগে বাস্তবায়ন করে গিয়েছেন।
বিচার ব্যবস্হা কে মানুষের দারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় আদালত স্হাপন করা হয়।একরাতের স্বীদ্ধান্তে ৪৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিটি উপজেলায় ১৭ জন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগ প্রাপ্ত হন।যার মাধ্যমে হাজার হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।সৃষ্টি হয় LGRD নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৯০ সালের পরবর্তিতে হিংসা, প্রতিহিংসার কারনে পল্লীবন্ধুর উপরে যেমন অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে,তেমনি করে তার সকল ভাল কাজ গুলোকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।সেই ধারাবাহিকতায় সর্বপ্রথম আঘাত করা হয় উপজেলা ব্যবস্হার উপর।
আদালত উঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থগিত করা হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। গনতন্ত্রের নামে ক্ষত বিক্ষত করা হয় বাংলাদেশের মানচিত্র। বোমা হামলা,গ্রেনেড হামলা, ক্রস ফায়ার, খুন,গুম,দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ধর্ষণে সেঞ্চুরি, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি, সর্বশেষ ভোট বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের কবর খোরা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং পল্লীবন্ধু’র বাংলাদেশকে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে যেমন আওয়ামী লীগ তার দলকে সংগঠিত করে, স্বাধীনতার ঘোষক,খাল কাটার কর্মসূচি কথা বলে বিএনপি যেমন তার দলকে সংগঠিত করে, তেমনি জাতীয় পার্টির রয়েছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই “উপজেলা”। সাথে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ইসলামি মূল্যবোধ।
মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব গোলাম মোহাম্মদ কাদের এম.পি- বর্তমান প্রজন্মের নিকট পল্লীবন্ধুর এই ঐতিহাসিক কাজটি তুলে ধরতে জাতীয় পার্টিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে প্রতিটি জেলায়, উপজেলায় ২৩ শে অক্টোবর “উপজেলা দিবস” পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন,তা পালন করার জন্য সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় পার্টি আরো সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.