• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

পদ্মা সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখন শেষের পথে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২২ সালের জুনে সেতুতে যান চলাচলের লক্ষ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এগিয়ে চলছে কাজ। নভেম্বর মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৯ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৪৭৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা মোট বাজেটের ৮৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এদিকে সেতু প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৬ শতাংশ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য আট হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে সাত হাজার ৩১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, মূল সেতুর মধ্যে দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব, ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব ও পাঁচ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট বসানো হয়েছে। ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারপেট ওয়ালের মধ্যে ১২ হাজার ২৫৪টি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আর মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি ওবং ৮৪টি রেলওয়ে আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
এদিকে সেতুর সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ চার হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অন্যান্য (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) খাতে বরাদ্দ দুই হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রিনের কাজ ১৩ ভাগ, কার্পেটিং-২ দশমিক ০৫ ভাগ, মুভমেন্ট জয়েন্ট ৫৯ ভাগ, ল্যাম্পপোস্ট ৯ দশমিক ১৯ ভাগ কাজ এগিয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ৪৯ দশমিক ৩৫ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের কাজ ৬২ ভাগ এগিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.