• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ক্যাবরেরার টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন ব্রাজিলের ভয়ংকর তিন কাতারের আমির ঢাকায় আসছেন ২২ এপ্রিল  অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা নকশায় ‘ত্রুটি নিয়ে’ গণশুনানিতে ক্ষোভ আড়ত ভাঙলে পাঁজর ভাঙবে ব্যবসায়ীদের গ্রামে সর্বজনীন পেনশন নিবন্ধন সহজ হচ্ছে ২৯ রমজান কি অফিস খোলা? বাংলাদেশ ইউনানী মেডিকেটেড কসমেটিক এর সম্ভাব্না শীর্ষক সেমিনার” ২০২৪ ইং। বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সীমান্তে হত্যা বন্ধে আগেই অনুরোধ করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেনেগালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ৫৪ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী ফায়ে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়ছে সংক্রমণ

ডেল্টা-বিটার চেয়ে ওমিক্রন তিনগুণ বেশি শক্তিশালী

 

ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের ডেল্টা বা বিটা ধরনের চেয়ে এর নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমণের ঝুঁকি তিনগুণ বেশি। শুক্রবার এনডিটিভি এ খবর জানায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে এটাই প্রথম কোনো গবেষণা প্রতিবেদন, যেখানে করোনার এ নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে।
এ গবেষণা প্রতিবেদন রিভিউয়ের আগে মেডিকেল সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। এখনো গবেষণার পর্যালোচনা সম্পন্ন হয়নি।
গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ২৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৩৫ হাজার ৬৭০ জনের পুনঃসংক্রমণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৯০ দিনের ব্যবধানে পরীক্ষা চালানোর পর কারো সংক্রমণ ধরা পড়লে সেটাকে পুনঃসংক্রমণ বলে ধরে নেয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার এপিডেমিওলজিক্যাল মডেলিং এন্ড অ্যানালাইসিসের ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সেলেন্সের প্রধান জুলিয়েট পুলিয়াম এক টুইটে বলেন, ‘সম্প্রতি অনেক লোকের পুনঃসংক্রমণ দেখা গেছে, যারা আগের তিন (করোনা) ঢেউয়ের সময়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন।’
অনেকে প্রাথমিকভাবে করোনার ডেল্টা ধরনের ঢেউয়ের সময় সংক্রমিত হয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। জুলিয়েট পুলিয়াম বলেন, ‘যাদের পূর্ব সংক্রমণের ইতিহাস রয়েছে এবং ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতার সাথে সম্পর্কিত তাদের ডাটা জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়ছে সংক্রমণ : গত একদিনে সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ৪২ জন। নতুন মৃত্যু নিয়ে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৪০ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৪৪ লাখ ২ হাজার ৮৭২ জনে।
অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫ হাজারের বেশি। শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে গত একদিনে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৮ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ২১৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৬ হাজার ৩৪৮ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২২১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৮৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৭ লাখ ৩ হাজার ১০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪০ জনের।
এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৪৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৫৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২ হাজার ৯০৯ জন মারা গেছেন।
এছাড়া গত একদিনে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ১৪১ জন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩১ জন এবং মারা গেছেন ৫২৫ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৯১০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৭৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭২৪ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.