• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

টাইগারদের স্মরণীয় জয়

ঘুরে দাঁড়ানোর নজির স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিনিয়র ক্রিকেটারই শুধু পারফর্ম করেন, তরুণরা পারছেন না- বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই আক্ষেপ এবার বুঝি ঘুচলো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সিনিয়র ক্রিকেটার তথা টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোর নজির স্থাপন করে স্মরণীয় এক জয় উপহার দিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাামের প্রথম ওয়ানডে ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৬ উইকেট পড়লো ৪৫ রানে। হারের চোখ রাঙানিতে হতাশার ছবি ফুটে ওঠে বাংলাদেশ ক্যাম্পে। তবে ওই শেষ, আর উইকেটই পড়তে দেননি আফিফ-মিরাজ। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। আফগানদের ৪৯.১ ওভারে ২১৬ রানে অলআউট করে জয়ের পথ সহজ করলেও ব্যাটিংয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে তামিম ইকবালদের। তারপরও দুর্দান্ত জুটিতে জয় তুলে নিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অথচ এক ফজলহক ফারুকির পেস বোলিংয়েই খেই হারায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৮ রানে পড়ে ৫ উইকেট! পরে মাহমুদউল্লাহও বিদায় নেওয়ায় সাজঘরে ফিরেছেন ছয়জন। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা অবিশ্বাস্য একটি কাজ। সেটিই করে দেখিয়েছেন দুই তরুণ। কেউই সেঞ্চুরি করেননি, তবে স্মৃতির মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখার মতো ইনিংস খেলে ফেলেছেন তারা। আফিফ খেলেছেন হার না মানা ৯১ রানের ইনিংস। আর মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৮১ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন এই অলরাউন্ডার।
চট্টগ্রামে শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার। ছন্দপতন ঘটে তৃতীয় ওভারেই। ফারুকির তৃতীয় বলে শুরুতে গ্লাভসবন্দি হন লিটন (১)। আফগানিস্তান রিভিউ নেওয়ার পরেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। এক বল বিরতি দিয়ে এলবিডাব্লিউ হন তামিমও (৮)। শুরুতে অবশ্য অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। সফরকারীরা রিভিউ নেওয়ার পর মিলেছে সাফল্য।
দুই ওপেনার ফেরার পর মুশফিক পরিস্থিতি সামাল দেবেন কী? উল্টো নিজেই ফাঁদে পড়েন এলবিডাব্লিউর। পঞ্চম ওভারে ফারুকির ভালো লেংথের বল খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি! ফিরেছেন মাত্র ৩ রানে। বিপদ পড়ে যাওয়া পরিস্থিতিতে অভিষিক্ত ইয়াসির আলীও দাঁড়াতে পারেননি। একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন রানের খাতা না খুলে! বিপর্যয়ের সেই শুরু। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানও সাজঘরের পথ ধরলে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ১০ রানে মুজিবের বলে আন্ডার এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন বামহাতি অলরাউন্ডার!
ধ্বংসস্তূপ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাননি মাহমুদউল্লাহ-আফিফও! কিছুক্ষণ ক্রিজে থেকেও থিতু হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরং রশিদ খানের ঘূর্ণিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮ রানে। তবে চাপের মাঝে থেকেও বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে মিলে ১২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন। আফিফ তো ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে ফেলেছেন। ক্রিজে আছেন ৬০ রানে, মিরাজ ৬৬ রানে।
অথচ দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ২১৫ রানে আটকে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করা আফগানিস্তান একটা সময় মোহাম্মদ নবী-নাজিবুল্লাহ জাদরান জুটিতেই ভালো স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু তাসকিন আহমেদের বলে জুটি ভাঙার পর বেশি দূর যেতে পারেনি তারা। পরে সাকিবও উইকেট উৎসবে যোগ দেওয়ায় ২১৫ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস। পুরো ইনিংসে জাদরানের ৬৭ রানই ছিল মূল আকর্ষণ।তার কারণেই স্কোর দুইশো ছাড়িয়েছে। আফগান ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। তার ৮৪ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। তার বিদায়ের পর পর ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তাসকিন, সাকিব ও শরিফুল দুটি উইকেট নিলেও খরুচে ছিলেন দুজন। তাসকিন ৫৫ রান দিয়েছেন আর সাকিব দিয়েছেন ৫০ রান। এক ওভারে ৪ রান দিয়ে একটি উইকেট মাহমুদউল্লাহর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.