নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ, শতভাগ নিরাপত্তা ও জেলা প্রশাসনের অবহেলার বিরুদ্ধে চোখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা চোখে কালো কাপড় বেঁধে ১৫ মিনিট মৌন নীরবতা পালন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে প্লাকার্ড প্রদর্শন করে।
এ কর্মসূচিতে শিক্ষকরাও একাত্মতা প্রকাশ করে চোখে কালো কাপড় পরেন এবং বিচারের দাবি জানান। এছাড়া সন্ধ্যায় ৭টায় মোমবাতি জ্বেলে আলোর মিছিল পালনের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ৭/৮ যুবক একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে তাদের তুলে নিয়ে হ্যালিপাডের পাশে নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের বারান্দায় যায়। ওই ছাত্রীর সাথে থাকা তার বন্ধুকে মারধর ও শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে।
পরে খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে। ওই ছাত্রীকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকালে প্রশাসনের সাথে সমঝোতা বৈঠক হবার পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী সড়ক থেকে না সড়লে বরিহাগতদের হামলায় ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। ছাত্রী ঘর্ষণের ঘটনায় র্যাব ছয় জনকে ও পুলিশ আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করে।