নিজস্ব প্রতিবেদক : সাহিত্যিক, সমাজসেবক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল এর ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। ৬ মে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ, ইসমাইল হোসেন ফাউন্ডেশন, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ ও জন্মদিন উদযাপন পরিষদ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া জন্মদিনের কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে রাতে ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে আনন্দ আড্ডা (ভার্চুয়ালী) অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের বাংলাদেশের আহবায়ক অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, কবি তৌহিদুল ইসলাম কনকের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট কবি- সাহিত্যকগণ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। ৮ মে রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ও জন্মদিন উদাযাপন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জন্মদিন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কবি তৌহিদুল ইসলাম কনকের সঞ্চালনায় লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস্ সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল মজুমদার, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক মো. কামাল হোসেন খান, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোখলেসুর রহমান ও মহাসচিব মো. আবুল বাসার, কবি ইকবাল বাশার, দৈনিক কালের সমাজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. মাসুদ আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল ৮০’র দশক থেকে জাতীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ও কলাম লিখে ইতিমধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছোটদের শিক্ষামূলক ছড়া ও গল্প, শুভ্রতা চলে গেছে নীড়ে, একটি কবিতা, ভালবাসতে বাসতে, সিডর বিধ্বস্ত বকুলতলা, নীলজলে প্রেম, একটি বক্তৃতার পংক্তিমালা, নবম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা সহায়ক বই, কিছু কথা, কৃষি ডিপ্লোমা ভর্তি সহায়ক বই উল্লেখযোগ্য।
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ১৯৭১ সালের ৬ মে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের টেপিরবাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ইসমাইল হোসেন এর ঔরসে ও মহিয়সী নারী আয়েশা খাতুন এর গর্ভের গৌরবান্বিত সন্তান তিনি। তার নিজ এলাকায় তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, শিশু গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তার রয়েছে বিশেষ অবদান। তিনি বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব, গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা, ইসমাইল হোসেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা, কবি সংসদ বাংলাদেশ স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান, গাজীপুর প্রেসক্লাবের অন্যতম দাতা সদস্য, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান, নিরাপদ নিউজের যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেলভিন জোন ফেলো- এমজেএফ সম্মাননা পদক, সাংবাদিকতায় ট্রাব পদক ২০২১ এবং শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে শতাধিক সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন। শিক্ষা বিস্তারে তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সহায়তায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।