নিজস্ব প্রতিবেদক : নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইন্দোনেশিয়ার আবারও তেল রফতানির সিদ্ধান্তে খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম কমতে শুরু করেছে। ঘোষণার মাত্র এক দিনের মধ্যে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ৩-৫ টাকা কমেছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে প্রতি লিটার অন্তত ৩০ টাকা কমে এখন ব্যবসায়ীরা পাম তেল বিক্রি করছেন।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে এখন আবার তেলবাহী ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। অথচ দাম চড়া হওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে এ বাজারে তেলের আকাল চলছিল।
বিশ্বের অন্যতম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাম তেলের সরবরাহ যেমন বেড়েছে, তেমনি দরও কমেছে। এক দিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে মণপ্রতি ১০০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটারে ৩ টাকার বেশি পাম তেলের দাম কমেছে।
দাম কমার বিষয়ে একজন তেল ব্যবসায়ী বলেন, ইন্দোনেশিয়া তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন পুনরায় চালু করায় বর্তমানে পাম তেলের দাম কমে গেছে।
ইন্দোনেশিয়া আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় কাল সোমবার (২৩ মে) থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। তবে তার আগেই প্রতি মেট্রিক টন পাম তেলের বুকিং রেট ১৫০-২০০ মার্কিন ডলার কমেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স এ এম এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল আলম লিটন বলেন, সব মিলিয়ে এখন বাজারে দাম কমেছে। তবে সরকারের নির্ধারিত রেটের তুলনায় দাম অনেক কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়তে থাকায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে অনেক কম দামেই তারা পাম তেল বিক্রি করছেন। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স সবুজ ট্রেডার্সের মালিক শাহেদ উল আলম বলেন, সরকারের নির্ধারিত দাম ১৬৯ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে দাম হচ্ছে ১৭২ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম বর্তমানে কম।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি মালয়েশিয়া থেকেও পাম তেল আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। মালেয়শিয়ায়ও রফতানি পর্যায়ে প্রতি মেট্রিক টন পাম তেলের বুকিং রেট এক হাজার রিংগিত কমে এখন সাড়ে ছয় হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে পাম তেলের সরবরাহ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামের অন্তত ৩০ টাকা কমে তারা বিক্রি করছেন। ভবিষ্যতে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল এলে দাম আরও কমবে।