• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা হক প্লাজার সাবেক সাধারণ সস্পাদক কাজী আনিসুজ্জামান রক্তাক্ত

বিশেষ প্রতিনিধি ৩১-০৫-২২ইং তারিখ সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় মুক্তিযোদ্ধা হক প্লাজার সামনের পশ্চিম উত্তর পার্শ্বে এই মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা হক প্লাজা মার্কেট মালিক সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুজ্জামান, হক প্লাজা এর সামনে তার উপর অতর্কিত হামলা হয়। উল্লেখ্য কাজী আনিসুজ্জামানের বাবা মরহুম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল হক ছিলেন এই হক প্লাজার সমন্বয়কারী ও সাবেক সভাপতি। তিনি ছিলেন মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ১৯৮১-১৯৯০, ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ছিলেন ১৯৯৪-১৯৯৭ পর্যন্ত এবং ১৯৯৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সাংগঠনিক সম্পাদকনির্বাচিত হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বাবা মৃত্যুর পর কাজী আব্দুল হকের মৃত্যুর পর বড় ছেলে কাজী আনিসুজ্জামান পরপর ০৩ বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমান মার্কেটের সামনে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে জানা যায় মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষুদ্র সবমায় সমিতির মার্কেট হক প্লাজার সামনে অংশের ফুটপাতে ভাসমান হকার চায়ের দোকান, টুপির দোকান বসার কারণে রাস্তায় ফুটপাতের সাধারণ মানুষ চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ও এই মার্কেটের ভিতরে প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ থেকেও নির্দেশনা দেয়া আছে হক প্লাজা লাগোয়া বাহিরে ফুটপাতের জায়গা দখল করে ষ্ট্যান্ড ঝুলিয়ে রাখে। তাদের কারনে মার্কেটের ভিতরের দোকানে ক্রেতা সাধারণ ভোগান্তির শিকার হয়। গত ৩০/০৫/২২ইং তারিখে মার্কেট কমিটির মৌখিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক মার্কেটের কয়েকজন দোকান মালিক ও দোকান কর্মচারীদের ডেকে বলা হয় আগামীকাল সকালে সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে হক প্লাজা মার্কেটের বাহিরের ঝুলন্ত ষ্ট্যান্ড ভাসমান ফুটপাতের দোকান ও তাবুগুলোসরিয়ে ফেলার জন্য সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্বে দেওয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় পরের দিন সকাল বেলা ৩১-০৫-২০২২ইং তারিখে সিকিউরিটি গার্ড মার্কেটের বাহিরেরপাশের ফুটের দোকান ও ঝুলন্ত ষ্ট্যান্ড সরাতে বলে।ফুটপাতের দোকানদারগণ কোন মালামাল সরাতে বলেন কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত না করার কারণে সবকিছু সরাতে বলে মার্কেটের বাহিরের দোকান এ এবং বি দোকানের সামনে জুলন্ত স্ট্যান্ড ও তাবু সরাতে থাকে। তখন সিকিউরিটির দায়িত্বের লোকজন তাদের ফুটপাতের দোকান পাশে সরাতে শুরু করেন। তখন মার্কেটের বাহিরের দোকানে এ ও বি এর মালিক ও তার দুই শ্যালক এবং পাশের হকার ফারুকসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন সিকিউরিটি গার্ড আনসারের উপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সিকিউরিটি গার্ড আনসার সদস্য মার্কেট কমিটির সভাপতি কাজী আরিফুজ্জামান তরুও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মার্কেট কাজী আনিসুজ্জামানকে ফোন করে বিষয়টি জানান তার কিছুক্ষন পরেই মার্কেটের সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেট মালিক সদস্যকাজী আনিসুজ্জামান রিক্সা থেকে মার্কেটের সামনে এসে নামেন। উপস্থিত জড়ো লোকজনদের মার্কেটের সামনে থেকেচলে যেতে বলেন। এমন সময় বাহিরের দোকান মালিক কাজী মনির ও তার সহযোগীরা কাজী ওমর ফারুক, কাজী নজরুল ইসলাম, আনিস খান সহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দলএসে কাজী আনিসুজ্জামানের উপর দেশী অস্ত্র প্রদর্শন করে ও হাতুরী দিয়ে এলোপাথারী আঘাত শুরু করে ও হুমকি দেয় পরবর্তীতে দেখিয়ে দিবে। তাদের আঘাতে হক প্লাজার সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মাথা ফেটে যাওয়ায় অনেকগুলো সেলাই দেয়া হয়। বর্তমানে সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। শুধু তাকে হামলা করেই ক্ষান্ত হননি হক প্লাজা মার্কেট কমিটির ক্যাশিয়ার সোহরাব হোসেন খান ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মনা গাজীসহ আরো ৩-৪ জনকে আহত করে। হক প্লাজা মার্কেটের বাহিরের এ ও বি দোকান মালিক তার দোকান রেখে হামলা করার কারণে ভয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্কেট কমিটি সিকিউরিটি গার্ডের মাধ্যমে উপস্থিত মার্কেটের দোকান মালিক সদস্যদের সামনেএ ও বি দোকান তালাবদ্ধ করা হয়। এই হামলার বিষয়েদারুস সালাম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্ত অফিসার ইনচার্জ দারুস সালাম ঘটনাস্থলে তদন্ত করেন।কাজী আনিসুজ্জামানের বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কাজী মনির, কাজী ওমর ফারুক, কাজী নজরুল ইসলাম, আনিস খান তারা দাবি করেন হক প্লাজা মার্কেট সদস্য শেয়ারের সাথে সম্পৃক্ত আছেন দাবী করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলে তারা কোন সঠিক কাগজ পত্র প্রদর্শন করতে পারেনি। বরং মার্কেট তৈরীর সময় তাদের এক এক করে পরপর ০৩টি চিঠি দেওয়ার পরও তাদের শেয়ারের অনুকূলে অর্থ পরিশোধ করে নাই। অর্থ পরিশোধ না করার কারণে উল্লেখিত শেয়ার কারীরা স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করে চলে যায় ও সমবায় নীতিতে তামাদি হয়।যা রেজুলেশন আকারে ও চিঠিগুলো সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে সময় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অবহিত আছেন।বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে সমবায় অফিসের তদন্তের চিঠি ফটোকপি বিভিন্ন দোকানে বিলি করে একটি অরাজক শান্তি শৃঙ্খলা অবনতি করে চলছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করে যেমন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.