">
এস এম বদরুল আলমঃ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নজরদারীর অভাব আর গাফিলতির কারণে ঢাকাসহ আঞ্চলিক এলাকা সমূহে ভেজাল ও নিম্নমানের হোমিও ঔষধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আঞ্চলিক ড্রাগ সুপারদের উপরি আয়ের কারণে ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত স্প্রীট মিশ্রিত হোমিও ঔষধের মরণ ছোবল বেড়েই চলছে। হোমিও ঔষধ কোম্পানীগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্বঘোষিত আইটেম বানিয়ে সেবার নামে সর্বনাশ করছে। ক্ষুধাবৃদ্ধি, রুচিবর্ধক, বলবর্ধক ও যৌনবর্ধক নামে অবাধ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও কেন ড্রাগ প্রশাসনের নজরে আসছেনা তা নিয়ে বির্তক চলছে। ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত ঔষধ ব্যবসায় যেসব হোমিও কোম্পানী মানুষের সাথে ডিজিটাল কারসাজী চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অন্যত হলো- ইউনিসান হোমিও , জে বক্স এন্ড কোঃ, ম্যাক্সফেয়ার কোম্পানী লিঃ, ইউনিক হোমিও ল্যাবরেটরীজ, হ্যানিম্যান হোমিও ফার্মাসিউটিক্যাল, লাইফ কেয়ার হোমিও , প্রগতি হোমিও ল্যাবরেটরীজ, জোহা হোমিও , মডেল হোমিও , ন্যাশনাল হোমিও ল্যাবরেটরীজ, গ্লোব ল্যাবরেটরীজ হোমিও , ইউনাইটেড হোমিও , বেঙ্গল হোমিও ল্যাবরেটরীজ, ওয়েস্টার্ন হোমিও ল্যাবরেটরীজ, ডিপলেট হোমিও , রাজধানী হোমিও ল্যাবরেটরীজ, কেয়ার হোমিও ল্যাবরেটরীজ ও ভার্টেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল হোমিও ।
ইউনিসন হোমিও ল্যাবরেটরীজ নামের কোম্পানী দীর্ঘ দিন ধরে স্প্রীট ব্যবসা করায় ১৯৯৮ সালে গাইবান্ধায় ৭১ জন, ২০০০ সালে বগুড়ায় ২২ জন এবং বগুড়া ট্রাজিটি রেকটিফাইড স্প্রীট খেয়ে ১৬ জন মৃত্যুবরণ করলেও কোম্পানী এখনো বহাল তবিয়াতে থেকে স্প্রীট ও জিনসেং ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় কোনো অপরাধই কোম্পানীর মালিককে ছুঁতে পারেনি। বর্তমানে জিনসেং প্লাস নামে যে ঔষধ সারাদেশে বাজারজাত করছে সেটি হরমোন শক্তি, বলবীর্য, যৌনশক্তি ও যৌন মিলনে দীর্ঘস্থায়ী ফরমুলা উল্লেখ রয়েছে। তবুও যৌনশক্তি বর্ধক সিরাপটি ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত হওয়ায় মানুষের যৌনশক্তি ক্রমশঃ হারানোর সম্ভাবনাই বেশি। তারপরও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধ ব্যবসা করায় কোম্পানীর মালিক এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। প্রশ্ন হলো, ইউনিসান হোমিওর ঔষধ সেবন করে এতগুলো মানুষের জীবন ঝরে গেল। অথচ প্রতিষ্ঠানটির মালিক এখনো বহাল তবিয়াতে থেকে স্প্রীট ব্যবসায় সক্রিয়। ড্রাগ প্রাশসনকে ম্যানেজ করে জিনসেং-প্লাস বিক্রি করায় কোম্পানীর মালিকের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। হোমিও ব্যবসা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটিপতি বনে যাওয়া বিশ্বাসযোগ্য না হলেও ইউনিসান হোমিওর বেলায় তা বাস্তবে রূপ দিয়েছে। যার সুবাধে বগুড়ায় ৮ বিঘা জমি ক্রয় এবং ফতুল্লায় ৪০ হাজার স্কয়ার ফিট জমিতে বিশাল কারখানা করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসন যদি আইনী ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আরো কোনো ট্রাজিটি সংঘটিত হওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।জে বক্স এন্ড কোঃ লিঃ নামের কোম্পানীর মালিক স্প্রীট নান্নু নামেই সবাই চিনে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিদেশ থেকে ইথাইল এলকোহল আমদানী করে ঔষধ না বানিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় র্যাবের অভিযানে অসংখ্যা অনিয়ম পেয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করলেও বিগত বছরে ড্রাগ প্রশাসন নান্নুর কারখানায় উকি দিয়েও একবার দেখেনি। ফলে, স্প্রীট নান্নু এখনও স্প্রীটের মতোই সব অবৈধ্য কাজ বৈধ করে নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ড্রাগ প্রশাসনের ফাইলিং কর্মকর্তাকে মসোয়ারা দিয়ে প্রকাশ্যে স্প্রীট ব্যবসা করছে। এমনকি, ড্রাগ আইন বহির্ভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞান প্রচার করে অবৈধভাবে বাজারজাত করছে জিনসেং কিউ, জিংপোর্ট, ডায়াবক্স, জে আমব্রাফোর্ট, গ্যাস্টোকিউর, জিংগো-বি, ফাইটোলেক-প্লাস, প্রোফেস্ট এজমালিন, ক্যাকটাস, কার্ডিরেক্স, স্টোবক্স, এম্বালিকা, আলফাটোন, কেলি-ডি, লেক্সোকিউর,বেবিলিন কিউর নামের ঔষধ। র্যাব যেখানে অভিযান চালিয়ে বিষাক্ত ক্যামিকাল ও অবৈধভাবে মওজুদকৃত স্প্রীট জব্দ এবং অনুমোদহীন ঔষধের লেবেল-কার্টন জব্দ করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করেন। সেখানে ড্রাগ প্রাশসনের তদারিক বা নজরদারী কোনোটাই নেই। যার ফলে, প্রতিষ্ঠানটি স্বঘোষিত ফরমুলায় হোমিও ঔষধ বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সেবায় চরম ক্ষতিসাধন করছে। বিষয়টি ডিবির নজরে আসলে জেবক্স এন্ড কোঃ লিঃ এর মুখোশ উম্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ম্যাক্সেফেয়ার এন্ড কোম্পানী লিঃ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক এক সময় হোমিও ঔষধ শিল্প সমিতির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। যার সুবাদে হোমিও ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতে ড্রাগ আইনের তোয়াক্কাই করতেন না। ড্রাগ প্রাশসনের ফাইলিং কর্মকর্তাও তাকে সমীহ করে ফাইলের কাজ করে দিতেন। একই ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তৈরি ও বাজারজাতে প্রতিষ্ঠানটি সবার শীর্ষে। তিনি কোম্পানীর সাইনবোর্ডে ড্রাগ আইন বর্হিভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাজারজাত করছে আমলকি-কিউ, জাস্টিসিয়া, আলফা-প্লাস, গ্যাস্ট্রোবিন, টোম্যাক্স, এম-ফোর্ট, ডায়াবোম্যাক্স, নিউমাটক্স, ফাইটোলস, সেলোম্যাক্স, নার্ভোম্যাক্স, জিংকোম্যাক্স, স্যাবাম্যাক্স, অরামনেট-থ্রিএক্স নামের ঔষধ। প্রতিষ্ঠানটির বাজারজাতকৃত হোমিও ঔষধ জব্দ করে পরিক্ষা করলেই কারসাজী বেরিয়ে আসবে। সেহেতু ড্রাগ প্রশাসনের উচিৎ ম্যাক্সফেয়ার কোম্পানীর কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা। যদি সেটা বাস্তবে না হয়, তাহলে র্যাব বা ডিবির নজরে আসলে ঠিকই কারসাজী বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রগতি হোমিও ল্যাবরেটরীজ। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাগ আইন বহির্ভূত সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাজারজাত করছে জিনসেং-পাওয়ার, কফকিউর, আলফালফা-প্লাস, ব্রনক্যাপ, হোপাসিনা, জিনসেং কিউ, ভিটা-১২, প্রোডিক, গ্লাইক্যাপ, গ্যাস্ট্রোবিন-প্লাস, আমলকি, প্রোহেপা, ব্লাডজিন, ইউরিনেট, লিউকো-কিউর নামের ক্ষতিকারক হোমিও ঔষধ। তবে জিনসেং-পাওয়ারের ডিএআর নম্বর এইচ-৭৫-এ-১৩৬ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, পাওয়ার নামটি অনুমোদিত কিনা। যাই হোক, এসব ঔষধে ক্ষতিকারক উপাদান থাকায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে। কেননা, যৌন দূর্বলতা যৌন-অক্ষমতা, শারিরীক দুর্বলতা, বিষন্নতা, মানসিক চাপ শ্লোগান দিয়ে বিক্রি করা জিনসেং-পাওয়ার নিয়ে বির্তক চলছে। বিষয়টি ড্রাগ প্রশাসনের নজরে নেয়া উচিত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কেয়ার হোমিও ল্যাবরেটরীজের বাজারজাতকৃত বোরাক্স, আলফা, আমলকি, রোমেক্স, জিনসেং কিউ। ইউনিক হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইউনিক জিনসেং, আমলকি ও আলফালফা। হ্যানিমান হোমিওর বেবিয়া-ভিটা, জিনসেং কিউ ও এসিড ফস। লাইফ কেয়ার হোমিওর ব্রেইনটনিক, জিনসেং কিউ ও আমলকি-প্লাস। মডেল হোমিওর জিনসেং কিউ, আমলকি, আইকিউর, বায়োলিভ ও কর্ন-কিউর। রাজধানী হোমিওর ভিভাটন, রাজলকি, রাজ আলফা ও কফরিন। কুষ্টিয়ার বেঙ্গল হোমিও ল্যাবরেটরীজের কালমেঘ, ন্যাশনাল হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইজি-ডেলিভারী ও ওয়েস্টার্ন হোমিও ল্যাবরেটরীজের ইজি ডেলিভারী ঔষধ নিয়ে সচেতন মহাল প্রশ্ন তুলেছেন। কেননা, এসব ঔষধ স্বাস্থ্যসেবায় কতটা নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ তা ড্রাগ প্রশাসন নজরে আনেনি। উল্লেখ্য, ওয়েস্টান হোমিওর ইজি-ডেলিভারী নামের ঔষধের লেবেল-কার্টনে বাচ্চা ও মায়ের ছবি ব্যবহার করে বাজারজাত করার বিষয়টি কুষ্টিয়ার ড্রাগ সুপারকে অবহিত করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ধরনের গাফেলতি আর অবহেলার কারণে হোমিও কোম্পানীগুলো স্বঘোষিত ফরমুলায় নামে বেনামে এবং প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছে। অবাক কান্ড, র্যাব ও ডিবি যেখানে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে নকলবাজদের পাকড়াও করছেন এবং কারখানা সিলগালা করে জরিমানাসহ মামলা করছেন। সেখানে ড্রাগ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাই নয়, ঔষধ সেক্টরে বির্তকের জন্ম দিয়েছে। সচেতন মহল বলছেন, ড্রাগ প্রশাসনের নিরবতা নকল-ভেজাল ঔষধ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। সেহেতু হোমিও ঔষধ কারখানায় সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ঔষধ জব্দ করে পরীক্ষা করলেই হোমিও ঔষধ কোম্পানীর স্বঘোষিত কারসাজী ও প্রতারণার মুখোশ উম্মোচিত হবে। কেননা, অভিযুক্ত কোম্পানীর হোমিও ব্যবসার আড়ালে স্প্রীট ব্যবসাই মূল পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে এসব ক্ষতিকারক ঔষধ স্বাস্থ্যসেবায় হুমকি হয়ে দাড়াবে।
সুপ্রিয় বদরুল আলম, আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় আমার লেখা ৭৮০ টি নিষিদ্ধ ওষুধ কভার স্টোরি হয়েছিল। হোমিও ওষুধ প্রস্তুত ফর্মূলা এবং আইনের ত্রুটি নিয়ে আমার বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। বেলায়েত ভাই ০১৭৯৫০৭৫৫৫৬।
Please Link
রিপোর্টটি পড়ে সবার ধারণা হবে যে, হোমিওপ্যাথি মেডিসিন মরণঘাতী বিষ। বিষয়টি অন্যভাবে লেখা যেতো। আপনাদের রিপোর্টটি কেমন যেন হোমিওপ্যাথিক কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। বিষয়টি সংশোধন করা প্রয়োজন মনে করি।
ক্ষতিকর ঔষধ নিয়ে লেখা যুক্তিসংগত, তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে কোন ভুল ধারণা জনবমনে জন্ম নিচ্ছে কিনা তা দেখা প্রয়োজন মনে করি।
যে সকল কোম্পানি এই কাজ গুলি করছে বা করেছে তাদের কে কঠিন ভাবে পাকড়াও করা দরকার।তবে রিপোর্ট যিনি করেছেন তার যদি কান্ডব জ্ঞান থাকতো তাহলে এই ভাবে শিরোনাম করতো না,,,,
মি. এস এম বদরুল আলম, আপনি যে ওষুধগুলোর নাম লিখেছেন সেগুলি কি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ?
প্রতিবেদন লিখার পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। যা আপনার নেই ….. আপনার প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর সহিত প্রতিবেদনের হেড লাইনের সমন্ধ কী? হোমিওপ্যাথিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপরাধে আপনার উপর মামলা করা উচিত।
Dulal ch das আপনি কি বুঝাতে চান এগুলো হোমিওপ্যাথি ওষুধ নয় যদি হোমিওপ্যাথি ওষুধ নাই হয় তবে কাভারে কেন সুস্পষ্টভাবে লেখা হোমিওপ্যাথি মেডিসিন তার জবাব কি আপনার কাছে আছে।
আসলে রিপোর্টে উল্লেখিত গুলো কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নয়।এগুলো হোমিও ঔষধের কম্বাইন্ড বা মনগড়া মিশ্রন। যাকে পেন্টেডও বলা হয়। কোম্পানিগুলো এসব কম্বাইন্ড বা মনগড়া ঔষধ তৈরীকরে হোমিওপ্যাথির নামে চালাচ্ছে।
জনাব MD kamrul hasan, ‘এগুলি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নয়’ তার সুস্পষ্ট জবাব আমার কাছে রয়েছে। কিন্তু এগুলির গায়ে কেন সুস্পষ্টভাবে “হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন” তার জবাব সংশ্লিষ্ট কোম্পানি, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশ সরকার দেবে। ধন্যবাদ!
হোমিওপ্যাথির বড় কর্তা ব্যক্তিরা বড় বড় পদ দখল করে আঙ্গুল চোষে মধু খায়। তাদের কাজের চেয়ে দাপট বেশি। ভাল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের কোন আগ্রহ নাই। অনেক বিষয় থেকে সামান্য একটা বিষয়ে বলি, বি এইচ এমন এস ভর্তির পূরা প্রক্রিয়াটাই অন্ধকারে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা যখন শেষ তখন এদের আবেদন শুরু। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যখন শেষ তখন এদের পরীক্ষা। এই সিদ্ধান্তটা হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা জগণ্য সিদ্ধান্ত। তার উপর আবেদন ফরমে ভূল সংশোধন করার কোন অপশন নাই। বছর শেষে কিছু গাধা মার্কা শিক্ষার্থী ছাড়া এখানে পড়ার জন্য কেউ অপেক্ষা করে না। কতৃপক্ষের নজর শুধু মধু খাওয়ার দিকে।
CONGRATULATION FOR THIS NEWS
যদিও বর্তমানে হোমিওপ্যাথির নামে পেটেন্ট, টনিক, মিকচার, মলম, ভিটামিন, ড্রপের বৈধতা দেয়া হয়েছে- তা হোমিওপ্যাথিক নিরাপদ ও স্হায়ী চিকিৎসার নামে প্রতারণার হাতিয়ার। হাতুড়ে চিকিৎসক সহ জ্ঞানপাপী হোমিওপ্যাথদের প্রিয় এই পেটেন্ট টনিক…। কথনও কথনও এসব ঔষধ এ্যালোপ্যাথির চাইতেও ঝুঁকিপূর্ণ। এসবের নেই কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি, মনগড়া ও বিতর্কিত ফার্মাকোপিয়ার ফর্মূলায় প্রস্তুত । এই ঔষধের মাধ্যমে অপচিকিৎসার খড়গ পাড়া গ্রাম থেকে এখন জেলা শহরেও পাড়ি দিয়েছে। নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ সহ দেশের অধিকাংশ জেলা শহরের অধিকাংশ হোমিওপ্যাথিক চেম্বারেও এসব তথাকথিত হোমিওপ্যাথির নামে অপচিকিৎসার রমরমা ব্যবসা চলছে।
বিজ্ঞাপন সর্বস্ব হাতুড়ে চিকিৎসক,বিবিধ হোমিওপ্যাথিক কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা ব্যক্তি স্বার্থে এসবের প্রসার ঘটাচ্ছে। বিবিধ হোমিপ্যোথিক কলেজের পিয়নরাও এসব প্র্যাক্টিস করে সেজে গেছেন ডাক্তর।
মনে রাখবেন প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা ১ সময়ে ১টি মাত্র ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন যা রোগী চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিক, আরাগ্যদায়ক এবং নিরাপদ।
বেশী ঔষধে বেশী ক্ষতি,১ টি ঔষধেই হোমিওপ্যাথি
পেটেন্ট টনিক মিকচার মলম সব ভন্ডপ্যাথি।
প্রতিবেদনে যে সকল কেম্পানীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বেশীর ভাগ পাশ করা ডাক্তারগণ সে সকল কোন কোম্পানীর প্যাটেন্ট তো দূরের কথা কোন ঔষধই ব্যবহার করেন না। কাজেই প্রতিবেদনের শিরোনামটি মোটেই সঠিক নয়।
এই প্রতিবেদনটি দেখে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন আসবে বা আসাটায় সাভাবিক। তাই সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ এইসব হোমিও পেটেন্ট ঔষধ ব্যবহার থেকে দুরে থাকুন। আর যদি নিজের ক্ষতি করে অন্যের(কম্প্যানির) আর্থিক উপকার করতে চান তাহলে আলাদা ব্যাপার।
আর যদি হোমিও চিকিৎসা-ই করতে চান তাহলে সেই হোমিও চিকিৎসকের কাছে যান যিনি সত্যিই হোমিও চিকিৎসক। যিনি রোগীর থেকে শুনে একটা ঔষধ নিয়েই ভাবে, পেটেন্টের কি আছে না ভেবে। যদিও দেশে খুব কম চিকিৎসকই পাওয়া যাবে, একটু কস্ট করে খুঁজে নিতে হবে।
আমার মনে হয় হোমিও চিকিৎসকের ডিগ্রী টাই বড় কথা নয়, রোগীর রোগ নয় রোগী অনুযায়ী একটা ঔষধ নির্বাচন করে রোগীকে সুস্থ করা।
মিলন সরকার
(ডা: রবিন বর্মন স্যারের ছাত্র)
এই প্রতিবেদনটি দেখে আমি এতই মর্মাহত হয়েছি যে কোন একটা বিষয়ের প্রতি সম্পূর্ণ না জেনে এরকম মনোভাব পোষণ করা সত্যিই খুবই দুঃখের বিষয়। শুধু তাই নয়, এ প্রতিবেদনটি যাঁরা দেখবেন তাঁরা হোমুওপ্যাথি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করবেন, যা নাকি কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। এখানে যে সমস্ত ঔষধ গুলোর ছবি দিয়ে বিকৃত মনোভাব পোষণ করা হয়েছে, এগুলো মূলতঃ হোমিও ঔষধ নয়। হোমিও নাম দিয়ে কোনো ঔষধ বানানো হলেই, তা হোমিও এর হয়ে যায় না। এ ঔষধ গুলোর হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিষয়ে গ্রহনযোগ্য নহে। এ ঔষধ গুলো মুনাফা লাভের আশায় একশ্রেণীর মানুষ তা তৈরী করেছে। প্রকৃত হোমিওপ্যাথরা এ ঔষধ গুলোর সঠিক নামও জানেনা। এ ধরণের পেটেন্ট ঔষধ গুলো যাঁরা রোগের নামে ব্যবহার করেন, তাঁরা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে থাকেন। হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান শক্তিকৃত ঔষধ দ্বারা খুবই সূক্ষ্ম মাত্রায় একবারে একটি ঔষধ কয়েকটি পাত্র পরিবর্তন করে পানি সহযোগে ব্যবহার করার বিধান দিয়েছেন। মাদার, পেটেন্ট, বাহ্যিক ব্যবহার ইত্যাদির চূড়ান্ত নিষেধ প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রতিবেদনকারীর এ বিষয়ে হোমিওপ্যাথির লিজেন্ডদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ জেনে নিলে এ ধরণের একটি বিষয়ে তিনি এমন কথা গুলো লিখতে পারতেন না। আমি আশা করবো প্রতিবেদনকারী হোমিও বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত হয়ে, অনাকাঙ্খিত এ বিষয়টির বিপরীতে হোমিওপ্যাথির প্রকৃত রূপটি তুলে ধরে মানুষের ভুল বুঝার অবসান ঘটাবেন।
Absolutely right sir 🙏🏻
হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগন তারা মাদার টিংচার ডায়লুশন ও বায়োকেমিক এই তিনটা হোমিওপ্যাথি ওষুধ বটে তবে তারা যে কোম্পানির রেট অথবা কমিশন ভালো পায় ওই কোম্পানি থেকেই ওষুধ নিয়ে থাকে। ওষুধের মান নিয়ে তাদের মনে কখনোই প্রশ্ন জাগে না। যে কোম্পানি বেধে ঔষধের দামের মধ্যে এত পার্থক্য কেন
আপনার ছোট করে কিছু বলতে মনে চাচ্ছে কিন্তু জনসম্মুখে বলতে বিবেকে বাধা দিচ্ছে, তার পরেও একটু না বলতে পারলে মনের ভেতরে খুলে মুল করছে,যাই হোক একটু বলি না?
আপনি একটা মাদারচোদ,মন খারাপ করবেন না আপনি বসবাস করেন মাদারচোদ দের সাথে,
মনে রাখবেন রাখবেন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা রং মতো সব কম্পানি না
মূর্খ রিপোর্টার নিজে জানেনা হোমিওপ্যাথি কি আর কম্বিনেশন কি