বিশেষ প্রতিবেদক মতিঝিল আওয়ামী লীগ নেতা টিপুসহ জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুটারকে মোটরসাইকেলে বহনকারী এবং এক সময়ের কমলাপুর রেল স্টেশনের ত্রাস মোল্লা শামীম এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কব্জায়। চারদিন আগে এ খুনের ঘটনায় সোহেল শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কব্জায় নিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। মোল্লা শামীম শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে পরিচিত। জিসান ওরফে মন্টির হয়ে শামীম মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও বিভিন্ন গ্রুপ লালন-পালন করতো। ঘটনার দিন খুনে অংশ নেয়া শুটারকে নীল ও কালো মোটরসাইকেলে বহন করেছিল শামীম।মোটরসাইকেলে বহনকারী মোল্লা শামীম ছিল বলে র্যাব নিশ্চিত করেছে। মোল্লা শামীম মতিঝিলের টেন্ডারবাজ দামালের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতো। দামালকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। মোল্লা শামীমকে সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে।সূত্র জানায়, ঘটনার পর র্যাব এবং পুলিশ মোল্লা শামীমের বাসা খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু, তাকে পাওয়া যায়নি।তবে তার বাসা থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করে র্যাব। এ খুনের ঘটনার পর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং শুটারকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা যায়নি। ডিবি পুলিশ বলছে, মোল্লা শামীমকে ধরা গেলেই মোটরসাইকেল এবং অস্ত্রটি উদ্ধার করা যাবে।কারণ ধরা পড়া শুটার মাসুম ডিবি পুলিশকে জানিয়েছে যে,মোটরসাইকেলে করে মোল্লা শামীম তাকে নামিয়ে অন্যস্থানে চলে যায়। সঙ্গে করে তার কাছ থেকে অস্ত্রটিই নিয়ে যায়। গত ২৪শে মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকার সড়কে খুন হন টিপু।ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা ইসলাম ডলি পরদিন সকালে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে এলিট ফোর্স র্যাব। তারাও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুনুর রশীদ জানান, ‘শুটারকে কে মোটর সাইকেলে বহন করেছে তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। মোটরসাইকেল বহনকারী মোল্লা শামীম কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত না হলে কিছু বলতে পারছি না।’ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পরই তারা ছায়া তদন্তে নামেন। ভিডিও ফুটেজ চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।