• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, অগ্রগতির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন : হাইকোর্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের তদন্তে এবার ঢাকার টিম 

যশোর প্রতিনিধি যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতিসহ সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত এবার শুরু হয়েছে। তদন্ত করতে বুধবার বোর্ডে আসেন ঢাকার পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের  পরিচালকসহ কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবারও তারা গভীরভাবে তদন্ত করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আসেন বলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কতদিন তদন্ত করবেন।সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। চেক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ১১ জরুরি সভা করে হিসাব সহকারী আব্দুস সালামকে শোকজ করে।১৮ অক্টোবর দুদক মামলা করে ওই সময়কার বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব  আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালামসহ ৫ জনের নামে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যান সচিবকে ও এসডি করা হয়।

চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবরণী গঠন করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ । ২২ ফেব্রুয়ারি  হিসাব সহকারী সালামকে শোকজ করা হয়। ১০ কর্মদিবসে জবাব দিতে বলা হয়। সুচতুর কালক্ষেপণ করেন।এ সময়ে সালাম জবাব না দিয়ে ৬ মার্চ সময় প্রার্থনা করেন। ১০ মার্চ শোকজের জবার দেন। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ ২৭ এপ্রিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্রকে আহবায়ক করে আবারও তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ২৮ এপ্রিল সালামকে শোকজ করে। ১০ কর্ম দিবসে জবাব দিতে বলা হয়। ১৮ মে সালাম শোকজের জবাব দিলে সেটা সন্তোষ জনক হয় না। এরপর বোর্ড থেকে সালামের কাছে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে বলা হয় কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। এর কোন জবাব সালাম না দেয়ায় ১৪ জুলাই বোর্ড কর্তৃপক্ষ সালামকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে। বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান এতকিছুর পরও কেন চেক জালিয়াতি ঘটনার  কিছুই হচ্ছে না, কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত সম্পৃক্ত  অপরাধীরা এখনো সামনে আসেনি।

সালামকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করার পর চেকজালিয়াতির ঘটনায় তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। এতে বোর্ডের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা হতাশ হয়ে পড়েন।বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশে ঢাকার পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমত পীরসহ কর্মকর্তারা বোর্ডে তদন্তে আসেন।  চেয়ারম্যান, সচিব, অডিট অফিসার, হিসাব শাখার উপপরিচালকরে সাথে নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন। হিসাবের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন।  তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বোর্ড কর্মকর্তারা। এ কারনে বাইরের কাউকে চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।তদন্ত কর্মকর্তার বিষয়ে প্রশ্ন করলে হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপপরিচালক এমদাদুল হক কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে হবে। চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীবের সাথে কথা বললে তিনি জানান,তদন্ত কর্মকর্তার নাম বলা নিষেধ। এতটুকু বলতে পারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বোর্ডে সকল অনিয়ম, দুর্নীতির তদন্ত করতে কর্মকর্তারা এসেছেন। আমরা চাই এ তদন্তের মাধ্যমে চেকজালিয়াতির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধী সামনে আসুক। থলের বিড়াল বেরিয়ে আসুক এবং তাদের শাস্তি হোক।এ ব্যাপারে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমত পীর জানান, বোর্ডে তদন্তের বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার পর জানা যাবে।  তিনি ছাড়া বেশ কিছু কর্মকর্তা তদন্তে এসেছেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব দেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.