নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়ের করা দুর্নীতির অভিযোগের পর অতিরিক্ত সচিব জিয়া উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবু ইউছুফের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন যুগ্ম-সচিব রোকেয়া বেগম এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন উপসচিব এস এম নোমান হাসান খান।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন সময়ে জিয়া উদ্দীনের বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ দাবি ও হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়। বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগটি করেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রূপসী ফ্লাওয়ার রাইস অ্যান্ড পুষ্টি মিলের মালিক মো. মহিদুল হক। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বগুড়ার জেলা প্রশাসক তার মিলকে ওএমএসের একক পেষণ ক্ষমতা প্রদানের সুপারিশসহ প্রস্তাব খাদ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পরবর্তীতে সেই অনুমোদন নথি অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদের টেবিলে গেলে তিনি নথিতে স্বাক্ষর না করে মহিদুল হকের নিকটাত্মীয়, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমকে সচিবালয়ে ডেকে আনেন। সেখানে অনুমোদনের শর্ত হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মহিদুল হক অভিযোগ করেন, তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জিয়াউদ্দিন ফাইল অনুমোদন না দিয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে তার মিলের পক্ষে ইতিবাচক প্রতিবেদন এলেও জিয়াউদ্দিন তা উপেক্ষা করে তাকে হয়রানি করতে থাকেন।
এ ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। গঠিত কমিটিকে প্রাসঙ্গিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে তদন্ত পরিচালনা এবং সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।








