এসএম বদরুল আলমঃ নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প। প্রায় এক যুগ আগে প্রকল্পটির কাজ শুরু হলেও এখনো তা আলোর মুখ দেখেনি। বরং অধিগ্রহণ করা জমির একটি বড় অংশ দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল, যার কারণে হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দীন ফোন করে অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি নির্দেশনা ও বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দখলদাররা জমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি বিলম্বিত করছেন বলে তাদের অভিযোগ।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, অথচ দখলদারদের কারণে হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরুই হচ্ছে না। আজ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেওয়া অন্যায়ের শামিল।”
স্থানীয়দের ভাষ্য, ১২ বছর আগে জমি অধিগ্রহণের সময় বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা হলেও পরে তা ভেঙে বসতি গড়ে তোলে এক প্রভাবশালী গোষ্ঠী। এখন তারা এলাকাটিকে নিজেদের দখলে রেখে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক পরিষদের এক সদস্য বলেন, “এটি শুধু একটি প্রকল্প নয়, পুরো নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রতীক। প্রশাসনের উদাসীনতা এখন জনস্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হয়েছে।”
ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিকেলে এক জরুরি সভা করে। সভা শেষে তারা ঘোষণা দেন, “দুই-তিন দিনের মধ্যে আমরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করব যদি দ্রুত দখলমুক্ত না করা হয়।”
বর্তমানে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।






