"> কারিগরি বোর্ডের ‘আসল সার্টিফিকেট’ বিক্রির হোতা গ্রেপ্তার কারিগরি বোর্ডের ‘আসল সার্টিফিকেট’ বিক্রির হোতা গ্রেপ্তার – doiniksabujbiplob.com
  1. info@doiniksabujbiplob.com : News Dex : News Dex
  2. arrayitlimited@gmail.com : sony :
  3. maswapan2021@gmail.com : maswapan :
  4. nazmulalam.nan@gmail.com : nazmulalam :
  5. dailysabujbiplob@gmail.com : tuhin02 : news dex
  6. royellab@gmail.com : masterid :
  7. tuhin77th@gmail.com : tuhin :
September 20, 2024, 11:22 am

কারিগরি বোর্ডের ‘আসল সার্টিফিকেট’ বিক্রির হোতা গ্রেপ্তার

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, April 2, 2024
  • 64 Time View

বিশেষ প্রতিনিধি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানের কাঁধে ছিল প্রতিষ্ঠানটির সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির যাবতীয় দায়িত্ব। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে ‘আসল সার্টিফিকেট’ বিক্রি শুরু করেন তিনি। এ জন্য একটি সিন্ডিকেটও গড়ে তোলেন।

এ সিন্ডিকেট বোর্ড থেকে চুরি করে নিয়েছে হাজার হাজার আসল সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি। অন্তত ৫ হাজার লোকের হাতে টাকার বিনিময়ে তারা তুলে দিয়েছেন আসল সার্টিফিকেট।শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও দেখা যায় সেসব সার্টিফিকেটের তথ্য। অবশেষে এ সিন্ডিকেটের হোতা শামসুজ্জামান ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির সরঞ্জাম। এর পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। সোমবার বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।সোমবার রাজধানীর মিরপুর ও আগারগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাবনা ও কিশোরগঞ্জে এ চক্রের চারজনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন। সেই সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।

অভিযানের পর সোমবার ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আর কোনো কর্মকর্তা এ সিন্ডিকেটে জড়িত কিনা, ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, মিরপুর দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকা থেকে শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা, গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি জানান, গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এগুলো আবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যে কোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলো সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে মনে হবে।

তিনি বলেন, শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। দেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ, গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বোর্ডের সব ধরনের ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশনের মূল দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে।ডিসি বলেন, শামসুজ্জামান তাঁর অফিসের কিছু লোক এবং বাইরের বিভিন্ন বিভাগের কিছু দালালকে দিয়ে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট তৈরির এ বাণিজ্য করে আসছিলেন। দালালরা কখনও ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতেন– তারা অরিজিনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট দিবেন, যা অনলাইনে ভেরিফাইড হবে।ডিবির এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট-সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগে শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হন। এর পর থেকে পাঁচ হাজার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category

  • dailysabujbiplob@gmail.com
Theme Customization By onlinechannel.Com