">
বিশেষ প্রতিনিধি সেই ১৮ বছর বয়স থেকে বিএনপি করছেন উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, বিএনপি করছি এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি করব। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদে দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে শনিবার অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এক নম্বর হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে তাঁকে অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়। ব্যারিস্টার খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন তাঁর বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে আত্মস্বীকৃত অপরাধী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। তিনি কীভাবে আমাকে বহিষ্কার করেন? তাঁর তো ক্ষমতাই নেই? যতক্ষণ পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। এটা আইনত কার্যকর নয়। আমি বিএনপি করছি, ভবিষ্যতেও বিএনপি করব। কুলাঙ্গাররা শহীদ জিয়ার বিএনপিতে থাকুক, এটা আমি চাই না।’
কায়সার কামালের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী। তিনি কীভাবে আইনজীবীদের নেতা হন? নৈতিক স্খলনের কারণে আইনজীবী ফোরাম থেকে এই অর্বাচীন বালকের সদস্যপদ থাকা উচিত নয়। সরকারের এই এজেন্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। আমি মনে করি কায়সার কামালের ভূমিকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের তদন্ত করা উচিত।’
বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান নির্বাচনে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করেছেন। বিএনপির পার্টি অফিসে সবার উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তারেক রহমান তো বলেননি তোমরা ভোট গণনায় যেও না, সভাপতির দায়িত্ব নিও না। তাহলে দায়িত্ব না নিতে কায়সার কামাল বলার কে?
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘যদি আমরা ১২ পদে জয়ী হতাম তাহলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের আন্দোলন শক্তিশালী করতে পারতাম। কার সঙ্গে আঁতাত করে কায়সার কামাল সরকারকে পূর্ণ প্যানেলে জয় করার পেছনে কাজ করছিলেন? তাঁর উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে ওয়াকওভার দেওয়া।’
Leave a Reply