">
মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুখে ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট থেকেই উপজেলার সর্বত্র মারপিট, ভাংচুর, লুট, চুরি, দখল ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে চলছে।
ইতোমধ্যে মোরেলগঞ্জে কমপক্ষে ১২টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর, লুট, বহু দোকান বন্ধ করে দেওয়া ও মৎস্য ঘের দখলের ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশ নির্লিপ্ত থাকায় অবাধে চলছে এসব তাণ্ডব। বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী ঘরানার নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।জানা গেছে, বুধবার রাতে মধ্য বরিশাল গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জামান, মজিবুল বয়াতী ও পূর্ব চিপাবারইখালী গ্রামে একটি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। একই রাতে কেসি চালিতাবুনিয়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের বসতঘর ভাংচুর শেষে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে,মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফাসিয়াতলা গ্রামের নুরুজ্জামান আকন, মনির আকন, বড়পরি গ্রামের ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, কাটাবুনিয়া গ্রামের বাহার ফকির, মুনসুর ফকির, হারুন ফকির, এসকেন্দার ফকির ও গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের বসতবাড়ির মালামাল লুট করে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পুলিশ মোস্তফা খানের স্ত্রী মিনা বেগম ও ইউপি মেম্বার বাহার ফকির বলেন, রাত ১১টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি বাহিনী একযোগে ৪টি ঘরের মালামাল লুট করে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা ৩টি গরু, ৫০ টি হাস ও ঘরের যাবতীয় মামলামাল ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, অনাকাঙ্খিত যা কিছু ঘটছে এর কোন ঘটনার সাথে জামায়তে ইসলামী বা ছাত্র শিবিরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়েছি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল বলেন, যা কিছু ঘটছে সবই ব্যক্তিগত ও পূর্বের বিরোধের কারণে এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই। তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছি।
এসব বিষয়ে জানার জন্য থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে থাকায় কেউই থানা পুলিশের সাড়া ও সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
Leave a Reply