">
পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে একই পরিবারে ৩ জনকে নৃশংস হামলার প্রতিবাদ, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পিরোজপুর জেলা নতুন বাস টার্মিনালে, পিরোজপুর জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পিরোজপুর জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো: সুমন শেখ সহ তাঁর ভাই মো: শাহিন শেখ এবং তাদের মাতা মোসা:ফরিদা বেগম (৬০) গুরুতর আহত কোনো তাঁর প্রতিবাদ জানিয়ে অতিবিলম্বে আওয়ামী সত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে, পিরোজপুর জেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সকল শ্রমিক এবং নেতৃবৃন্দ। এ সময় শ্রমিক দলের কান্ডারী আলিফ আহমেদ রাজিব সহ বক্তারা বক্তব্যকালে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আওয়ামী সত্রাসীদের অতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হউক। নইলে আমরা কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য থাকব।উক্ত ঘটনার সম্পর্কে স্থানীয়দের এবং ভুক্তভোগীদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের দু’জনকে কুপিয়ে জখম এবং এক নারীর পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী সত্রাসীরা, শনিবার (২৬ অক্টোবর) আনুমানিক বিকাল ৩ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষের এ হামলার ঘটনায় গুরুতর আহতরা হলেন- নামাজপুর গ্রামের মোঃ সুমন শেখ (৩৪), মোঃ শাহিন শেখ (২৮), উভয় পিতা: মৃত মজিবর রহমান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
মোসা: ফরিদা বেগম (৬০) স্বামী: মৃত মজিবর রহমান এর পা ভেঙে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ২০, জিআর ২১৭, তারিখ:২৭.১০.২৪ ইংরেজি।
আহতদের মধ্যে সুমন ও শাহিন দুই ভাই কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নামাজপুর গ্রামের সিরাজ ও সোমেদ এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধীয় জমি নিয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আদালত রায় দেয়। কিন্তু অভিযুক্তরা তা মানতে নারাজ। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকও বসে।কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
এরই জেরে সামাদ ও তার দুই ছেলে মোঃ মিঠু শেখ এবং মোঃ মাসুদ শেখ সহ আরো আনুমানিক ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী, সুমন ও শাহিন এর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের বৃদ্ধা মা আসলে তাকেও পিটিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
পরে আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুমন ও শাহিন’কে বিকেলেই পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন। তাদের আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।
Leave a Reply