">
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগরে ‘সেবক মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’র গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গিকার করে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সেবক মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ অভয়নগর উপজেলা শাখার তৎকালীন ব্যাবস্থাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ২০১২ সালে গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা দিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে হোটেল কাকলী নামে পরিচিতি একটি ভবন ৭ শতক জমিসহ ক্রয় করা হয়। ২০১৩ সালে সরকারি নিষেধাজ্ঞায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভবনসহ ওই ৭ শতক জমি সেবক কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, আব্দুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। পরবর্তীতে গ্রাহকদের জমাকৃত ২ কোটি টাকাও পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে ২ হাজার ২শ সদস্যের জমাকৃত ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূলধন পরিশোধ করতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে আমরা ওই জমিতে মার্কেট নির্মাণের জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা তরিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে চুক্তি করি। তারা মার্কেট নির্মাণে ব্যার্থ হলে রাজনৈতিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে অভয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসলাম হোসেন বিশ^াসের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হই। এর পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একটি দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ সম্পন্ন করে। শর্ত মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তার প্রাপ্য অংশ রেজিস্ট্রি করে নিলেও জোরপূর্বক পুরো মার্কেট ভোগ দখল করে আসছে। যে কারণে জমিসহ মার্কেট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে দিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে কিছু গ্রাহকের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। তারপরও আমরা গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিতে আন্তরিক। তাই অভয়নগরে সেবকের সম্পত্তি বিক্রি করার মধ্য দিয়ে সকল গ্রাহকের জমাকৃত টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে পারি সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে অভয়নগর সেবকের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসলাম হোসেন বিশ^াস বলেন, ‘অভয়নগর সেবকের কর্মকর্তারা সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তারা সংবাদ সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ভবন নির্মাণ, অর্থনৈতিক লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয় ও চুক্তির ক্ষেত্রে সকল দালিলিক প্রমাণ রয়েছে।
Leave a Reply