">
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বেলা ১টা ২০ মিনিটে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালের এজলাস থেকে পর্যায়ক্রমে সবাইকে বের করা হয়।তখন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক হাতজোড় করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। এ ছাড়া সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু হাত নেড়ে উপস্থিত সবাইকে অভিবাদন জানান।
এদিন সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য দিনের মতো তাদের হাতকড়া, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হেলমেট ছাড়াই ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়।তবে অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গারদখানা থেকে তাদের এজলাসে তোলার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেপ্তার দেখান। পরে বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে ফের প্রিজনভ্যানে করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে, সাবেক পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন।
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন দমাতে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূলের লক্ষ্যে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মামলায় গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ট্রাইব্যুনালে আগামী ২০ নভেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলার এডিসি আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক এডিসি আরাফাতুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে হাজির করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
Leave a Reply