"> কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড় কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড় – doiniksabujbiplob.com
  1. info@doiniksabujbiplob.com : News Dex : News Dex
  2. arrayitlimited@gmail.com : sony :
  3. maswapan2021@gmail.com : maswapan :
  4. nazmulalam.nan@gmail.com : nazmulalam :
  5. dailysabujbiplob@gmail.com : tuhin02 : news dex
  6. royellab@gmail.com : masterid :
  7. tuhin77th@gmail.com : tuhin :
November 10, 2024, 2:30 pm

কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়

Reporter Name
  • Update Time : Saturday, April 23, 2022
  • 362 Time View

ঝামেলা ছাড়াই মিলছে বাস-লঞ্চের টিকিট
এনআইডি ছাড়া মিলছে না ট্রেনের টিকিট
ঢাকার ফুলবাড়িয়া স্টেশন খুঁজে পেতেই ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে। ট্রেনের টিকিট পেতে ভোর থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারের দাঁড়িয়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
কথা হয় শাখাওয়াত হোসেন নামে এক টিকিট প্রত্যাশীর সঙ্গে। তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রতিবারের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি খুলনায় ঈদ করবেন। আগামী ২৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনার একটি প্রথম শ্রেণির টিকিট নিতে চান তিনি।
শাখাওয়াত বলেন, ভেবেছিলাম ঈদ যাত্রার প্রথম দিন ২৭ এপ্রিলের টিকিট ভালোভাবেই পেয়ে যাবো। কিন্তু আমার মতো আরও অনেকেই ভোরে এসে কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন।
ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার আগাম টিকিট পেতে যারা এসেছেন তাদের বড় অংশই শিক্ষার্থী। সবাই দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষারত মানুষের কেউ কেউ সেহরি করেই চলে এসেছেন কাউন্টারে।
সাবরিনা সারজি নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস আগেই ছুটি দিয়েছে। তবে একটা পার্টটাইম জব করায় দেরিতে বাড়ি ফিরছি। আজ টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন হলেও টিকিট পাবো বলে আশা করছি। আমি সেহরি খেয়েই চলে এসেছি, ঘুমিয়ে গেলে হয়তো আর পাবো না এজন্যই। কষ্ট যা হবার আজ হোক, যাত্রা যেন ভালো হয়।
এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে আগামী ৫ মে থেকে। ৫ মের টিকিট বিক্রি হবে ১ মে।
ঢাকার ফুলবাড়িয়া স্টেশন খুঁজে পেতেই ভোগান্তি, টিকিটে স্বস্তি : বাংলাদেশ রেলওয়ের ফুলবাড়িয়া পুরাতন স্টেশনে ঈদ উপলক্ষে ২০১৯ সাল থেকে সিলেট রুটের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এবারও এখান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। পুরোনো এই স্টেশনটিতে টিকিট কাটায় তেমন ভিড় না থাকলেও স্টেশন খুঁজে পেতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকালে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারে মানুষের তেমন ভিড় নেই। টিকিটপ্রত্যাশীরা এখানে এসে স্বস্তিতেই টিকিট পাচ্ছেন। সিলেট-কিশোরগঞ্জ রুটের যাত্রীরা এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন। তবে কাউন্টার থেকে টিকিট দিতে বেশি সময় নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
স্টেশনে যাত্রী কম থাকায় টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইন ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। কিন্তু স্টেশনটি খুঁজে পেতেই বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানান কাউন্টারে আসা মানুষজন।
ফার্মগেট থেকে আসা আব্দুর রহিম বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি। বহুবার চেষ্টা করেও পারিনি। তাই এখানে চলে আসলাম টিকিট কাটতে। সহজেই টিকিট কাটতে পেরেছি। কিন্তু টিকিট দিতে কাউন্টারে বেশি সময় নিচ্ছে।
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রুমান বলেন, কমলাপুরে গিয়েছিলাম সকাল ৭টায়। সেখানে টিকিট পায়নি। পরে শুনলাম কিশোরগঞ্জের টিকিট ফুলবাড়িয়া স্টেশনে দেওয়া হচ্ছে। জায়গাটা চিনে আসতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে। তবে ভিড় না থাকায় কাউন্টারে এসে সহজেই টিকিট নিতে পেরেছি।
ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী স্বস্তি রঞ্জন দাস বলেন, শনিবার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে তেমন চাপ নেই। রোববার চাপ বাড়তে পারে। সহজেই টিকিট দিতে পারছি। মাঝে মাঝে টিকিট প্রিন্ট হতে একটু সময় লাগছে।
জানা গেছে, ঈদের সম্ভাব্য দিন আগামী ৩ মে ধরে নিয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার। সে হিসেবে এ দিন দেওয়া হচ্ছে ২৭ এপ্রিলের টিকিট। এছাড়া ২৪ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ২৫ এপ্রিল পাওয়া যাবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল কাটা যাবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ১ মের টিকিট। আর ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২ মের ট্রেনের টিকিট।
এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে আগামী ৫ মে থেকে। আর ৫ মের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে।
ঝামেলা ছাড়াই মিলছে বাস-লঞ্চের টিকিট : ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হলেও ব্যতিক্রম চিত্র বাস ও লঞ্চের ক্ষেত্রে। বড় কোনো লাইন ছাড়াই বেশ সাবলীলভাবে বাসের আগাম টিকিট কিনতে পেরেছেন যাত্রীরা। তবে দুই-একদিনের মধ্যে টিকিট প্রত্যাশীর চাপ বাড়তে পারে বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, বাসের মতোই ঝামেলামুক্ত উপায়ে লঞ্চের আগাম টিকিট কিনতে পেরে স্বস্তিতে নৌপথের যাত্রীরা।
উৎসব প্রিয় বাঙালির ঈদযাত্রা মানেই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ আর কিছুই নয়, শুধুমাত্র গণপরিবহনে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের আসন নিশ্চিত করার। বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় এমন সময়ে বাসের টিকিটের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন।
শনিবার সকাল থেকে খুব বেশি টিকিট প্রত্যাশীর দেখা না মিললেও কিছুটা বাড়তে থাকে দুপুরের পর থেকে। চাপ কম থাকায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাঙ্ক্ষিত দিন ও সময়ের টিকিট পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। আবার ঈদ পূর্ববর্তী ঝামেলা এড়াতে আগেভাগে বাড়ির পানে ছুটতে শুরু করেছেন অনেকে।
যাত্রীরা বলেন, ঈদের সামনে যে যানজট সেটা না পাওয়ার জন্যই আগে বাসায় চলে যাচ্ছি। টিকিট কাটার সময় কোনো সমস্যা বা ভোগান্তি পাইনি। টিকিটের যে দাম সে দামই নিয়েছে।
সড়কপথে টিকিট প্রত্যাশীর চাপ কম থাকায় হতাশা থাকলেও আগামী দু’একদিনের মধ্যে চাপ বাড়ার আশাবাদ পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, আগামী ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল এই তিনটা দিনের জন্য যাত্রীদের চাপ আছে। তাছাড়া আমাদের ওরকম কোনো যাত্রীর চাপ নেই। কোনো বাড়তি ভাড়া নেই, চার্ট অনুযায়ী আমরা ভাড়া নিচ্ছি।
এদিকে, বাসের মতো লঞ্চ যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দ্যে আগাম টিকিট সংগ্রহের সুযোগ পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে লঞ্চের জন্য সদরঘাটে স্থায়ী কাউন্টার থাকলেও সেগুলো ফেলে রেখে বেশিভাগ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেই দেখা গেছে লঞ্চের ভেতরে কাউন্টার খুলে টিকিট বিক্রি করতে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট দিচ্ছি। আর ২৬ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন থেকে যে কেউ টিকিট কাটতে পারবে।
এক যাত্রী বলেন, টিকিট কেনার জন্য অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করে। টিকিট কাটতে কোনো রকম সমস্যা হয়নি। ঈদে বাসায় যাওয়ার জন্য আগে আগেই লঞ্চের কেবিনে টিকিট কাটলাম।
ঈদে ৪১টি রুটকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে যাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে। আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে নৌপথের ঈদযাত্রা।
প্রসঙ্গত, টানা দুদিন অনলাইনে বিপর্যয় আর কাউন্টারে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঈদযাত্রায় রেলের ২৭ এপ্রিলের আগাম টিকিট বিক্রি। শুক্রবার রাত থেকেই টিকিট পেতে উপচেপড়া ভিড় কমলাপুর রেলস্টেশনে। অনলাইনে ঢুকতে না পেরে কাউন্টারে ভিড় করেন যাত্রীরা। সেখানেও সার্ভার হ্যাং আর ধীর গতিতে নাজেহাল তারা। শনিবার (২৩ এপ্রিল) ২৭ তারিখের ঈদযাত্রায় ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৬ হাজার ৭০০ টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এনআইডি ছাড়া মিলছে না ট্রেনের টিকিট : কালোবাজারি ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে না। এতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ট্রেনের টিকিট পাননি অনেকে। কেউ কেউ আবার আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে পরিচয়পত্র এনে টিকিট সংগ্রহ করছেন। শনিবার রাজধানীর কমলাপুর, ফুলবাড়িয়া ও বিমানন্দর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া স্টেশনের সুপারভাইজার ও রেলওয়ের পরিবহন পরিদর্শক (বাণিজ্যিক) তৌফিকুল আজিম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকিট দেয়ার নিয়ম নেই। টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেয়েছি। টিকিট নিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বলতে হয়। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে চারটি টিকিট পাওয়া যায়। বেশি নিতে হলে অধিক জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হয়।
এবার কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমাতে রাজধানীর ৫টি স্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। স্টেশনগুলো হলো- কমলাপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
  • dailysabujbiplob@gmail.com
Theme Customization By onlinechannel.Com