| বঙ্গাব্দ
add1
add7

চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কারণ দর্শানোর নোটিশ

রিপোর্টারের নামঃ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 21-09-2025 ইং
  • 26523 বার পঠিত
চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কারণ দর্শানোর নোটিশ
ছবির ক্যাপশন: ফাইল ফটো

এসএম বদরুল আলমঃ চট্টগ্রাম ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তাদের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক তদন্ত শেষে এই সিদ্ধান্তে আসে মন্ত্রণালয়।

অভিযোগ অনুসন্ধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপসচিব লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব আরিফা জোহরা এবং বর্তমান উপসচিব আবু সাঈদ। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি এবং সীম্যানশিপ ইনস্ট্রাক্টর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

মন্ত্রণালয়ের নৌশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শাখা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পৃথক স্মারকে জারি করা নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষ আতাউর রহমান ছাত্রদের ট্রেইনিং ব্লকের জরুরি ফায়ার এক্সিট বন্ধ করে সেখানে দোকান বসিয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠানের পুকুরে বাণিজ্যিক মাছ চাষে সহযোগিতা করেছেন। তদন্তে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর আলোকে অসদাচরণের অন্তর্ভুক্ত।

একই তারিখে ইস্যুকৃত আরেকটি নোটিশে সীম্যানশিপ ইনস্ট্রাক্টর মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, অধ্যক্ষের সহযোগিতায় পুকুরে মাছ চাষ এবং রিসিভিং কমিটির প্রধান হিসেবে নিম্নমানের মালামাল গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোও অসদাচরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, উভয় কর্মকর্তাকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাবপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে কারণ দর্শানো নোটিশে আরও বহু অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান ও মেহেদী হাসান নামে-বেনামে ব্যবসায়িক লাইসেন্স গ্রহণ করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন। এমনকি ক্যাম্পাসে অবস্থান না করেও মিথ্যা অজুহাতে টিএ-ডিএ বিল নিয়েছেন, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করেছেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য উৎপাদনের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, হাউজিং ব্যবসায় জড়িত থাকা, নাবিক ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম, দালাল চক্রের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, অবৈধ নাবিক সিডিসি প্রদান এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিদেশে অর্থ পাচার ও জমি কেনার তথ্যও উঠে এসেছে।

সুশীল সমাজ মনে করছে, এইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের প্রতি তারা স্বচ্ছ তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
add5
add10
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ দৈনিক সবুজ বিপ্লব | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় মােজোহোস্ট