| বঙ্গাব্দ
add1
add7

বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক: রামপুরায় ১২ কোটি টাকার বাড়ি, আরও বহু সম্পদের সন্ধান

রিপোর্টারের নামঃ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 13-10-2025 ইং
  • 17895 বার পঠিত
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক: রামপুরায় ১২ কোটি টাকার বাড়ি, আরও বহু সম্পদের সন্ধান
ছবির ক্যাপশন: ফাইল ফটো

এসএম বদরুল আলমঃ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বৃহৎ প্রকল্প ‘ড্রেজার ও জলযান সংগ্রহ এবং অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে’ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে। 

সূত্র জানায়, ৩৫টি ড্রেজার, ১৬১টি জলযান, তিনটি ড্রেজার বেইজ এবং নারায়ণগঞ্জে একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে এই বিশাল প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা পরে সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। একাধিকবার মেয়াদ বাড়িয়ে এখন এটি ২০২৭ সালে শেষ হওয়ার কথা।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন রাজধানীর রামপুরার মৌলভীরটেকে ২৭/এ/১ নম্বর ঠিকানায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া খিলগাঁও রিয়াজবাগে একটি ফ্ল্যাট এবং টাঙ্গাইলের নিজ গ্রামে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পদ রয়েছে তার। দুদকের মতে, সরকারি চাকরির বৈধ আয়ের মাধ্যমে এত বিপুল সম্পদ অর্জন সম্ভব নয়।

এই প্রেক্ষিতে দুদক নির্বাহী প্রকৌশলী মতিন, তার স্ত্রী শাহানা আক্তার জলি ও দুই সন্তানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, রাজউক, সিটি করপোরেশন, এনবিআর ও ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াতকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল মতিনের প্রভাব ও ক্ষমতার পেছনে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র একজন প্রধান প্রকৌশলী এবং একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। তাদের ছত্রছায়ায় প্রকল্পের অনেক ড্রেজিং কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে মাঠপর্যায়ে তা হয়নি। এসব অনিয়মে বিআইডব্লিউটিএ’র তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে এন্টারপ্রাইজের মালিক আবু জাফরও জড়িত বলে জানা গেছে।

এছাড়া রাজধানীর রামপুরায় “ডিএলআই বাংলাদেশ লিমিটেড” নামে একটি আবাসন কোম্পানিতে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রায় ২০ জন প্রকৌশলীর বিনিয়োগের তথ্যও পেয়েছে দুদক। সংস্থাটি জানিয়েছে, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন চলতি মাসেই অবসরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি এবং সরাসরি যোগাযোগেও পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
add5
add10
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ দৈনিক সবুজ বিপ্লব | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় মােজোহোস্ট