নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ যাতায়াতের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন—সোমবার ও বৃহস্পতিবার—দুপুর ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এই সময়ের বাইরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কোনো প্রতিনিধি থাকতে পারবেন না।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাক্ষাতের সময় অবশ্যই কোম্পানির দেওয়া পরিচয়পত্র দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে কোনোভাবেই রোগীর তথ্য সংগ্রহ বা প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলা যাবে না।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় রোগীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে এবং কর্মপরিবেশ ব্যাহত করেছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই নতুন এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখা যাবে না এবং হাসপাতালের সরবরাহ থাকা ওষুধের বাইরে অন্য কোনো ওষুধ লিখে দেওয়া বা পরীক্ষার জন্য রোগীকে বাইরে পাঠানো যাবে না। সরকারি হাসপাতালে কোনো বেসরকারি সিল ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে; তবে বিজ্ঞাপনবিহীন জেনেরিক নামের সিল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির সরবরাহকৃত ওষুধের তালিকাও টেবিলে রাখা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, এসব নির্দেশনা কার্যকর হলে রোগী সেবা ব্যাহত না করে চিকিৎসকরা স্বাভাবিক পরিবেশে কাজ করতে পারবেন এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রভাবও কমবে।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |