| বঙ্গাব্দ
add1
add7

আরইউটিডিপি প্রকল্পে পিডি মঞ্জুর আলীর ‘টাকার খনি’: শুরুতেই শত কোটি টাকা হজমের অভিযোগ- পর্ব ২

রিপোর্টারের নামঃ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 09-10-2025 ইং
  • 43496 বার পঠিত
আরইউটিডিপি প্রকল্পে পিডি মঞ্জুর আলীর ‘টাকার খনি’: শুরুতেই শত কোটি টাকা হজমের অভিযোগ- পর্ব ২
ছবির ক্যাপশন: ফাইল ফটো

এসএম বদরুল আলমঃ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বৃহৎ প্রকল্প ‘রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (RUTDP)’ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোঃ মঞ্জুর আলীকে ঘিরে উঠেছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়েই নানাভাবে শত কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগে শীর্ষে থাকা মঞ্জুর আলী সংক্রান্ত প্রথম পর্ব প্রকাশের পর আজ দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করা হলো, যেখানে উঠে এসেছে আরও বিস্তৃত দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য। 

সূত্র জানায়, মঞ্জুর আলী দীর্ঘদিন ধরে ঘুষের টাকায় বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। RUTDP প্রকল্পে জনবল নিয়োগ ও কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। প্রকল্পের ইন্ডিভিজুয়াল কনসালটেন্ট পদে পাঁচজনকে ৮-১০ লাখ টাকার হার ও CMSU পদে দশজনকে ৭-১০ লাখ টাকার হার ঘুষ দিয়েছেন। অন্যান্য পদেও ২-৫ লাখ টাকার হার ঘুষ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গত ৮ অক্টোবর ১৫ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, মঞ্জুর আলী প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকেই জনবল নিয়োগ, কেনাকাটা ও বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত কোটি টাকা নিজের পকেটে রেখেছেন। প্রকল্পের চারটি দামি গাড়ি তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যবহার করেন। ফেসিস্ট আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়ি এখন মঞ্জুর আলীর অফিসের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তার স্ত্রী, কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও শ্যালিকা বিভিন্ন গাড়ি ব্যবহার করেন। ছেলে পেনসিলভানিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে এবং নিয়মিত গাড়ি পরিবর্তন করে পরিবারের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে।

মঞ্জুর আলী সম্প্রতি তার অফিসে কয়েকজন নিকটতম কর্মীর সঙ্গে আলাপে বলেছেন, “সুইডেন আসলাম বেঁচে থাকলে সাংবাদিকদের রাস্তায় জবাই করে মেরে ফেলত।” এছাড়া জানা গেছে, এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলামের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দুর্দিনে মঞ্জুর আলী সুইডেন আসলামের ব্যাপক সহায়তা করেছেন।

সম্পদের দিক থেকে তিনি ঢাকার মধুমতি মডেল টাউনে পনের কাঠা জমির মালিক। এর মধ্যে ৫ কাঠা জমি তার ছোট ভাইয়ের নামে রয়েছে। এছাড়া ঢাকার কলেজ গেটের পাশে তিনটি ফ্ল্যাট, আমিন বাজারের বলিয়া পুর পেরিয়ে বনগাঁ ইউনিয়নের গান্ধারিয়ায় ১০ বিঘা জমি এবং গান্ধারিয়া রিভার সিটির পাশে আরও জমি রয়েছে। বিদেশেও তার পেনসিলভানিয়ায় বাড়ি ও জমি রয়েছে। নিজ জেলা দিনাজপুরে ও বিরলে কমপক্ষে দশ একর জমি ক্রয় করেছেন।

সূত্র জানায়, ১/১১–এর সময় সেনাবাহিনী তল্লাশি চালানোর পর দুই কোটি টাকা বাবার কাছে দিয়ে সে জমি ক্রয় করেছেন। মধুমতি মডেল টাউন ও সাভারের গান্ধারিয়ায় মঞ্জুর আলীর সম্পদের অনুসন্ধানে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মঞ্জুর আলী ও তার পরিবার নিয়মিত সেখানে এসে সবজি ও মাছ নিয়ে যান।

RUTDP প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান কাজের সুবিধার্থে তিনি এলজিইডির দ্বিতীয় শহর প্রকল্পের মাধ্যমে বলিয়াপুর কন্ডা গান্ধারিয়া সড়ক উন্নয়ন ও গান্ধারিয়া নদীর উপর সেতু নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সড়ক থাকা সত্ত্বেও এই রাস্তা বিশেষভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে মঞ্জুর আলীর নির্দেশে।

মঞ্জুর আলীর ঘুষ, সম্পদ ও বিদেশি সম্পর্কের এই তথ্য পাঠক ও স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
add5
add10
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ দৈনিক সবুজ বিপ্লব | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় মােজোহোস্ট