| বঙ্গাব্দ
add1
add7

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ

রিপোর্টারের নামঃ নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 14-09-2025 ইং
  • 167014 বার পঠিত
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ
ছবির ক্যাপশন: নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম

এস এম বদরুল আলমঃ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ ও তার সংস্কার কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়টির উপর নজরদারী ও ক্ষমতার ভাগ বসাতে দেশের ক্ষমতাশীলরা সর্বদাই তৎপর থাকে। এই মন্ত্রণালয় ঘিরে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পাদন হয়। আর এ কারণেই এই মন্ত্রণালয়টি অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের নিকট। গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে এর সাথে সম্পৃক্ত ঠিকাদার ও কিছু দুর্নীতি পরায়ণ প্রকৌশলী শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এই কার্যক্রম অতীতেও ছিলো এবং বর্তমানেও চলমান আছে। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মূল ভুমিকার কর্তারা জড়িত। কর্তাদের পুজি করেই কিছু প্রকৌশলী হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম। অভিযোগ রয়েছে, কমিশনের বিনিময়ে কাজ প্রদান, উন্নয়ন কাজ না করেই সরকারি বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে ঠিকাদারের সাথে ভাগাভাগি, চাকুরী জীবনে অসততার আশ্রয় নিয়ে অঢেল ধন সম্পদের মালিক এবং গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০২৪ সালে আব্দুল হালিমের নিম্নমানের লিফট ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা কান্ডে একই বছরে দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়। লিফটকান্ড ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিলেও অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় আব্দুল হালিম এখনও বহাল তবিয়তে।  

যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিলেন তখনই তার গুনগান গেয়েছেন। ২০২২ সালে ঢাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম- ৮ নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে স্টাফ অফিসার জোবায়ের আহমেদ স্বাস্থ্যখাতের সব টেন্ডারে আব্দুল হালিমের নির্দেশে ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রতি টেন্ডারে ৫ শতাংশ (প্রাক্কলিত দর) অনুযায়ী কাজ দিয়েছে। পিপিআর অনুযায়ী এলটিএম (লিমিটেড টেন্ডার মেথড) অনুযায়ী দরপত্র হওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ওটিএম এর মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করে কাজ দিয়ে বিপুল অর্থ লোপাট করেছে। এছাড়াও স্টাফ অফিসার জোবায়ের টেন্ডার আইডি হাইড করে নির্দিষ্ট ঠিকাদার’দের আইডি ও রেট দেখিয়ে ইচ্ছেঅনুযায়ী দাম হাকাতো। ‘সাধারণত পিপিআর অনুযায়ী ইজিপিতে এলটিএম এর বাইরে দরপত্র আহবানের সুযোগ নেই। এলটিএম এর ক্ষেত্রে প্রতি টেন্ডারে ১০ শতাংশ লেসে দর জমা হয়ে, লটারির মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। এতে সরকারের সিডিউল বেশি বিক্রি হওয়ায় সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হওয়ার পাশাপাশি ১০ শতাংশ লেসের কারনে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হয়’। হালিম ও জোবায়ের সিন্ডিকেট নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের প্রাক্কলিত মুল্যে কাজ দেওয়ার কারনে সরকারের ১০ শতাংশ লেসের অর্থ লোকসান হয়। উক্ত ১০ শতাংশ টাকা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদার ভাগ করে নেয় তাদের নির্ধারিত কমিশনের বাইরে। সংস্লিষ্ট সুত্র জানায়, স্বাস্থ্য খাতে বেশির ভাগ দরপত্রে মাত্র ১ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। অভিযোগ রয়েছে, ‘যারা ৫ শতাংশ টাকা দিতে রাজি হয়নি তাদেরকে ১০ শতাংশ লেসে কাজ নিতে বাধ্য করা হয়েছে’।

২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মুহুর্তে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বৈদ্যুতিক কাজ ও তিনটি এয়ারকুলার লাগানোর জন্য এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। হাসপাতালের ২য় তলা প্রশাসনিক ভবনে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও সুইচ পরিবর্তনের জন্য ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, গার্ডেন লাইট ও সিকিউরিটি লাইটের জন্য ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইমার্জেন্সি ব্লাকে এসির জন্য ১৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, রেটিনা ব্লাকের এসির জন্য ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ও প্রশাসনিক ব্লকে ভিআরইএফ এসির জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাধারণত অর্থবছরের শেষমূহুর্তে প্রকল্পের নামে অর্থ-বরাদ্দ দিয়ে লুটপাটের সিদ্ধান্ত নিয়ে হালিম-জোবায়ের সিন্ডিকেট নানা তড়িঘড়ি করেছিলেন। মূলত আব্দুল হালিম অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ ও আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় অর্থবরাদ্দে কোনো বাধাবিপত্তি হতো না।

এছাড়াও ২০২১ সালে আশকোনাস্থ হজ্ব ক্যাম্পের পাওয়ার লাইন, কম্বাাইন্ড সুইচ সকেট পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক বৈদ্যুতিক কাজের অর্থ বরাদ্দ করানো হলেও নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ ছিলো। কারিগরি অনুমোদন পেতে নিজ উদ্যোগেই টেন্ডার নেওয়ার প্রস্তাব দেন গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৮ (মিরপুর) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম। গণপূর্ত ই/এম উপবিভাগ-১৬ (মিরপুর) একজন উপ- সহকারী প্রকৌশলীর কাছ থেকে প্রাক্কলন পেতে সহযোগিতাও করেন তিনি। উক্ত প্রাক্কলনের কারিগরি অনুমোদন পেতে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্বাক্ষর করেন আব্দুল হালিম। তখন ২ লাখ ২৮ হাজার ১৪৪ টাকার মুল্যের একটি প্রাক্কলনের কারিগরি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আটকে যায় ই/এম-৩, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর টেবিলে। স্মারক নং- ই/এম-৮ ৭০/২৩০৩ ২০২১ সালের ২৫ মার্চে প্রাক্কলনটিতে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম। ই/এম উপ-বিভাগ-১৬ (মিরপুর) উপ-প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলামের নামে প্রাক্কলনটির কাজ দেখানো হয়।

প্রাক্কলন প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘প্রাক্কলনের আইটেম সমূহের দর গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর অনুমোদিত সিডিউল ২০১৮ থেকে নেওয়া হয়েছে। যাতে প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২,২৮,১৪৪ টাকা। কাজটির ব্যয়ভার ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কোড নং-৩২৫৮১০৭ অনাবাসিক ভবন খাতের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার (এপিপি)ক্রমিক নং-৬৭ হইতে নির্বাহ করা হইবে’।

তবে প্রাক্কলনটি প্রেরণের পর অন্যান্য প্রকৌশলী কারিগরি অনুমোদনে স্বাক্ষর করে দিলেও যথা সময়ে স্বাক্ষর করেননি নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম। তিনি এ প্রাক্কলন আটকে রেখে ভুক্তভোগী আসিফকে মাসের পর মাস ঘুরিয়েছেন, পরবর্তীতে সাক্ষরের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা সুবিধা নিয়েছেন।

গাজীপুর তাজউদ্দিন হাসপাতালের লিফটটি যেই ব্র্যান্ডের তার মেরামত এবং অন্যান্য কাজ নিয়ম অনুযায়ী সেই ব্র্যান্ডকে দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকার লোভে জনাব আব্দুল হালিম কাজটি দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানকে যাদের এই ধরনের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতাই নাই। যার ফলে লিফটে প্রোপার মেরামত বা মেইনটেনেন্স হয়নি। ফলশ্রুতিতে সঠিক সময়ে লিফট সঠিক তলায় না আসায় এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। তৎক্ষণাৎ শুরু হয় জনাব আব্দুল হালিমের ম্যানেজমেন্ট এর প্রক্রিয়া, প্রথমে তিনি মৃতের পরিবারকে ম্যানেজ করেন তারপর তিনি তার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে টাকা খরচ করেন। তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল গঠন করে।তবে লিফটে আটকে পড়ে মারা যাওয়া মমতাজ বেগমের ছেলে আবদুল মান্নান চিঠির প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে সকাল সাড়ে ৯টায়। চিঠিতে বলা হয়েছে সোয়া ১১টায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল এবং দায়ীদের রক্ষা করতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে’।

গণপূর্তের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে  জানান, ‘হাসপাতালে ছয়টি লিফট রয়েছে। ২৭ প্যাসেঞ্জারের প্রতিটি লিফট কেনায় খরচ হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী ইতালির বিখ্যাত মভি ব্র্যান্ডের লিফট সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ইলেকট্রিক মোটর ছাড়া কেবিন ও যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে চীনের’।

এছাড়াও নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায় লোড বেশি হলেই আটকা পড়ে লিফট। প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণের কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমেই দেখানো হয়। তিন শিফটে ৯ জন লিফটম্যান কাজ করে দেখানো হলেও দুই-তিনজনের বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। তৎকালীন সময়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম সারাক্ষণ বার্তাকে জানান, লিফট সমস্যার কথা প্রায়ই কর্মচারীরা তাঁকে জানান। তিনি গণপূর্ত বিভাগকে জানিয়ে দেন। পরিদর্শনে গিয়ে প্রায়ই লিফটম্যান কম পান। লিফটের ভেতরে থেকে দায়িত্ব পালনে নিষেধের বিষয়টিকে তিনি ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেন। ‘ছয় লিফটের চারটিই নষ্ট’ ।

তাই যত সময়ে লিফটের কোন মেরামত না হওয়ায় কিছুদিন পরে ওই লিফটে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং আরো একজন ব্যক্তি মারা যায়। এ বিষয়ে ডিসি অফিসের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেন যে উক্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্তের কথাও বলা হয় উক্ত পত্রে। তারপরেও তিনি বহাল তবিয়তের দায়িত্ব পালন করছেন।

গণপূর্ত ই.এম বিভাগ ১০ এর আব্দুল হালিমের নির্দিষ্ট ঠিকাদার ‘জামিমা এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘জাফর ব্রাদার্স’ । তাদের নামে ব্যবসা করে মোঃ আব্দুল হালিম নিজেই কাজ করেন, যা ওপেন সিক্রেট।

পাহাড় সমান সম্পদ, একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক:

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় সমান সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক। পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর আলাউদ্দিন এর আশ্চর্য প্রদীপ এর কল্যাণে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ও জনতা বিজয়ের পর দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা গেল এই কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বটতৈল ঈদগাঁও পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম তিন ভাই এক বোন মধ্যে দ্বিতীয় আব্দুল হালিম বাবা আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা পিডিবির সিকিউরিটি চাকরির সূত্রে কুষ্টিয়ায় আসেন তিনি। যে পরবর্তীতে সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আনোয়ার হোসেন চাকরি জীবনে অর্থ বিত্ত ও সম্পদের মালিক তেমন একটা না হতে পারলেও ছেলে আব্দুল হালিম কারিশমা অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন । আনোয়ার হোসেন কে বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে চিনে থাকেন। বটতৈল ইউনিয়নের শিশির মাঠ নামক জায়গায় এই আনোয়ার মন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জমি কেনায় জায়গাটি এখন মন্ত্রীর মাঠ নামে পরিচিত। আব্দুল হালিম তার অবৈধভাবে অপরিচিত অর্থ বৈধ করতে বাবা আনোয়ার হোসেন সহ স্ত্রী শশুর কুলের নিকট আত্মীয়-স্বজনের নামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমি স্বল্প মূল্যে রেজিষ্টেশন করে নেন। এছাড়া বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে পরিচিত অর্থ ও সম্পদ তিনি বৈধ করে থাকেন।

ভূমি অফিস থেকে জানা যায়, পিডব্লিউডি ই এম ডিভিশন-১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম নিজ নামে ঢাকার দুটি জমি সহ বাড়ি রয়েছে যার একটি মোহাম্মদপুরে আ/এ- ০৩ নং মৌজায়। এই মৌজায় নির্মাণকৃত বাড়িটির হোল্ডিং নং নাম্বার ১৭৫/৩০ খতিয়ান নম্বর ১২৪১৪ দাগ নং ২১।উল্লেখিত মৌজায় আব্দুল হালিমের জমির পরিমাণ ৪১/৯১ কাঠা।

পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম’র  আরেকটি জমিনসহ বাড়ি রয়েছে যার হোল্ডিং নং ১৭৯/২৪০ খতিয়ান নম্বর ৭৩ ৯ ৩ ২ দাগ নং ২/২৩ উল্লেখিত মৌজায় তার নিজ নামীয় জমির পরিমাণ ২৭.৭২ কাঠা । বাড়ি বাদে দুটি জমি একত্রে ৭৫.৩৬ কাঠা। জমি দুটি আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ কোটির উপরে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের দশকে ঢাকায় জমি সহ কারী এবং দেশের বেশ কয়টি জেলায় জমি ফ্লাট ক্রয় করেছেন এই কর্মকর্তা।  বটতৈল এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরানো আনোয়ার মন্ত্রী পরিবারের এখন তারা সম্পদের পাহাড় তার ছেলে হালিমের টাকায় বটতৈল এলাকায় বীঘার পর বিঘা জমে কিনেছেন তারা সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বল্প সময়ের এত টাকার মালিক বনে যাওয়া সেটা হালিমকে না দেখলে বোঝা যায় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
add5
add10
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ দৈনিক সবুজ বিপ্লব | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় মােজোহোস্ট