• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভেজাল ঔষধে সয়লাব, ঝুকিতে রয়েছে সাধারন মানুষ !

এস এম বদরুল আলমঃ ভেজাল ওষুধ নকল ও নিম্নমানের ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। পাশাপাশি রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করে দেশের বিপুলসংখ্যক রোগী নিরাময় হওয়ার বদলে স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতার শিকার হচ্ছে। মূলত ওষুধের বাজারে পর্যাপ্ত তদারকি ও নজরদারি না থাকার কারণেই এক শ্রেণীর অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী ভেজাল, নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মফস্বলে নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারি হাসপাতালের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই। মিটফোর্ডসহ সারা দেশের পাইকারি ওষুধ মার্কেটে ভেজাল ওষুধের কারবার বহুদিন ধরে চললেও দেখার কেউ নেই। মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা করা হলেও লাভ কিছু হয় না। এর ফলে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু হয়। আমরা মনে করি, অভিযান কিংবা জরিমানা করে এ সমস্যার সমাধান হবে না। ভেজালবিরোধী আইন আরও কঠোর ও যুগোপযোগী করতে হবে। ভেজালকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন মহলের যে সখ্যতা রয়েছে, সেটা ভাঙতে হবে। সারা দেশে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ ছড়িয়ে দেয়ার মূলহোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যেসব দোকানের ব্যবসায়িক লাইসেন্স নেই, সেগুলো সিলগালা করতে হবে। মিটফোর্ড ওষুধ ব্যবসায়ী সংগঠন কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতিও যাতে ভেজাল ওষুধবিরোধী ভূমিকা রাখতে পারে, সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। জীবন রক্ষা ও অসুখে-বিসুখে ওষুধ ছাড়া উপায় নেই। বাংলাদেশেই এখন মানসম্মত অনেক ওষুধ তৈরি ও ইউরোপ-আমেরিকায় রফতানি হচ্ছে। তবে হতাশার দিক হল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধও এ দেশে প্রচুর তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ওষুধ বিপণনের ক্ষেত্রেও চলছে যাচ্ছেতাই অবস্থা। ওষুধের ট্রায়াল নিয়ে বিরাজ করছে বিপজ্জনক বিশৃঙ্খলা। এর ফলে ক্রেতারা আছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ওষুধ মানুষের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করার আগে সেটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে বেশির ভাগ ওষুধের ক্ষেত্রেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেয়া হয় না। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ রোধ করার ব্যাপারে কোনো ধরনের অবহেলা বাঞ্ছনীয় নয়। প্রতিটি ওষুধ বাজারে ছাড়ার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী যাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পতি ৩৭ ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল হলেও থেমে নেই নকল ও ভেজাল ওষুধের উৎপাদন। আদেশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাময়িক লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো তাদের ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ, বিতরণ ও প্রদর্শন করতে পারবে না। চিকিৎসকরা এসব কোম্পানির ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে পারবেন না। কেমিস্টদেরও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সর্বসাধারণকে এসব কোম্পানির ওষুধ কেনাবেচা ও ব্যবহার না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানি :ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নন্দনপুর এলাকার মেসার্স মনোমেদী বাংলাদেশ লি. নামে কোম্পানির উৎপাদন লাইসেন্স (ঝেব-৩৬৬) সাময়িক বাতিল করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উৎপাদন লাইসেন্স (জৈব-১৭৭) সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কামালপুর এলাকার মেসার্স মার্কার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং একই জেলার কুড়িবাড়ি এলাকার মেসার্স বায়োস ফার্মাসিউটিক্যালস, পিপলস ফার্মা, বিস্ট্রল ফার্মা, হলমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস, সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকার নোভাস ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদন লাইসেন্স (জৈবও অজৈব) বাতিল করা হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুরের দক্ষিণ ধনুয়া এলাকার মনিকো ফার্মার সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। নরসিংদীর ১৬/১ ভাগদী এলাকার ফিনিক্স কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিজের (বাংলাদেশ), একই জেলার শিবপুরের বিসিক শিল্প এলাকার কারারচরের টেকনো ড্রাগসের (ইউনিট-৩) সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুরে বিস্ট্রল ফার্মার বিস্ট্রল ডেল্টা ট্যাবলেটের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

আয়ুর্বেদিক কোম্পানি :আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মধ্যে ঝালকাঠি জেলার কবিরাজ রোড এলাকার সেবাশ্রী ঔষধালয়, গাজীপুরের কোনাবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার ট্রেডিংটন কেমিক্যাল ওয়ার্কস, রংপুরের নিউ শালবন এলাকার দ্য মৌভাষা ইসলামিয়া ঔষধালয়, কুমিল্লা সদরের থানারোড এলাকার আর বল আয়ুর্বেদিক ফার্মেসি, গাজীপুরের বি-৮৪, বিসিক শিল্প এলাকার রেডিয়েন্ট নিউট্রিসিউটিক্যালস (আয়ুর্বেদিক ডিভিশন) উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ১২/দুর্গাবাড়ী এলাকার শ্রী কৃষ্ণ ঔষধালয় (আয়ুর্বেদিক) ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। রাজশাহীর শাহমখদুম উত্তর নওদাপাড়া এলাকার অরিজিন ল্যাবরেটরিজের (আয়ুর্বেদিক) আমলকী রসায়ন (তরল), অরিটলিন তরল (বলারিস্ট) এবং হার্বেজিন সেমিসলিডের (শুক্র সঞ্জীবনী মোদক) নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকার নিকো আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরিজের নিকোডক্সের (ভীমরস) নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ঢাকার শ্যামপুরের পূর্ব জুরাইন এলাকার নবীনবাগের দিহান ফার্মাসিউটিক্যালসের (আয়ুর্বেদিক) ট্যাবলেট জাতীয় আইটেমের উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। নরসিংদীর বিরামপুরের ঔষধি ল্যাবরেটরিজের কারখানায় ভস্মজাতীয় আইটেম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। ময়মনসিংহের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মুন ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্যাপসুল লিলা বিলাস ২৫০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল যৌবন শতদল ২৫০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল রতি বিলাস বটী ৫০০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল বৃহৎ বাত চিন্তামনি ১২৫ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল মকরধ্বজ রসায়ন ২৫০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল মহাশংখ বর্টী ২৫০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল বৃহৎ পূর্বচূর্ণ রস ১৫০ মিলিগ্রাম, সিরাপ লৌহসব এবং সিরাপ লিকোরিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে।

ইউনানী কোম্পানি :রংপুরের জিলএল রায় রোড এলাকার বি. এন. ল্যাবরেটরিজ, চাঁদপুর সদরের বাবুরহাট বিসিক শিল্পনগরী এলাকার অরিক্স ইউনানী ল্যাবরেটরিজ, ময়মনসিংহ ৯ নম্বর এমএম সিংহ রোড (তেরী বাজার) এলাকার ফয়েজী দাওয়াখানা, ফেনীর তাকিয়া রোড এলাকার বেঙ্গল ইউনানী দাওয়াখানার উৎপাদন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ঢাকার খিলগাঁও নন্দীপাড়া শেখের জায়গা এলাকার র‌্যাপিটেক ইউনানী ল্যাবরেটরিজ, টঙ্গীর ইসলামপুরের ৪২, ইশানদি সরকার রোড এলাকার মল্লিক ইউনানী ল্যাবরেটরিজ, কুমিল্লার রেইস কোর্সের ১২০৩, হোসেন লজ এলাকার নিউটন ল্যাবরেটরিজের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। পাবনার আটঘরিয়ার সিংহরিয়া এলাকার একে ল্যাবরেটরিজের শরবত জিনসিন (বাণিজ্যিক নাম- এক্সোজিন সিরাপ) শরবত মিছালির (বাণিজ্যিক নাম এ কে প্লেক্স সিরাপ) নিবন্ধন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিপাড়া রোড এলাকার আল সাফা ল্যাবরেটরিজের এস এরমল (তরল), আরক (গাওজাবান), বগুড়া সদরের মালগ্রাম এলাকার সবুজ হেলথ ল্যাবরেটরিজের শরবত জিনসিনের (বাণিজ্যিক নাম সাফা জিনসিন সিরাপ), চকসূত্রাপুর এলাকার নিরাময় হেলথ ল্যাবরেটরিজের আরক মাউল লাহম (তরল) আইটেমের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরিজের জেসিলভা (ক্যাপসুল হাব্বে আম্বর মোমিয়ায়ী), নিশিক্যাপ (ক্যাপসুল হাব্বে নিশাত), জেবিএল বয়জা (সেমিসলিড হালওয়া বয়জা) ও সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার নতুনপাড়ার গুডহেলথ ল্যাবরেটরিজের হাব্বে হায়াতীন মুরাক্কাব (ক্যাপসুল বাণিজ্যিক নাম লুমাটন), হাব্বে হায়াতীন মুরাক্কাব জওয়াহারদার ক্যাপসুল (বাণিজ্যিক নাম ইপিওজি), আরক আজীব (তরল) (বাণিজ্যিক নাম জি আজীব), কুরছ রিয়াহিন ক্যাপসুল (বাণিজ্যিক নাম জিএইচ ২০), মরহম আজীব (মলম) (বাণিজ্যিক নাম টাররাসিল) আইটেমের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে।

গাজীপুরের মলিপাড়া রোড এলাকার আলসাফা ল্যাবরেটরিজ ইউনানী এবং পাওনিয়ার উইনানী নামক একই মালিকের দুইটি কোম্পানীতে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষধ যার মালিক আতাউর রহমান ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম। বাপ বেটা মিলে বিভিন্ন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ সমূহ নকল করে বাজারজাত করছে। র্বোড বাজার এলকায় আল-সাফা দাওয়াখানায় গেলে বিভিন্ন প্রকার নকল ভেজাল ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ঔষধ পাওয়া যাবে। কুনাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত আল-সাফা ও পাওনিয়র ল্যবরেটরিজের কারখানায় অভিযান চালালে অত্র রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যাবে। উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত ঔষধ সমূহের মধ্যে এন্টার্নাল(হুমুজিন সাসপেনশন), সাফারেক্স (শরবত তুলসী), রুচিনীড (আরক জিরা), সাফা কফ (শরবত বাসক) আমটন (শরবত আনার), জেলিটন(শরবত আমলা), ফাইটেক্স(হাব্বে আম্বর মোমা ইয়ী) সাফা আম্বরি (হাব্বে আম্বুরি) হরমো ফাস্ট(হাব্বে মুনিশ), সাফাক্যাল, হাসিটন, মাস্তিটন, গোলাপটন, আপেলটন, সাফা-জিনসিন সহ উক্ত কোম্পনির ৪৫০মিলি সিরাপ বাজারে মাত্র ৪০-৪৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে যার লেবেল কার্টুনের মূল্য মুদ্রিত রয়েছে ৩৫০টাকা ৪৫০টাকা। এস এরমল (তরল), আরক (গাওজাবান)উৎপাদন ও বাজারজাত করন স্থগিত করা হয়েছে।

ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানীলিঃ পুদিনা-এস, এন মুন্ইশ, এন জিংগো, এন ভিট-বি, রুচি ভিট-বি, নিশাত রেইনবো, ক্যাপসুল হাব্বে মুনিশ, শরবত আমলা ৪৫০মিলি, ক্যাপসুল হাব্বে নিশাত, শরবত জিনসিন ৪৫০মিলি, এনভিট, এনভিট-ছাফী,ভাইটন-এস,জিমি,শরবত হাজমন, ভিয়েক্স নামক ঔষধ সমূহের লেভেল কার্টুনের চুরান্ত অনুমোদন ব্যতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে উক্ত নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানী এর কারখানা মিরপুর পলাশ নগর এবং মিরপুর স্টেডিয়ামের পিছনে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর মালিক খলিল একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া করে সেখানে নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর গোপন একটি ঔষধের ডিপো বানিয়েছেন এখান থেকে ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ সমূহ নেচার ল্যাবরেটরিজ ইউনানীর নিজস্ব কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঔষধ ডেলিভারি দেয়। এছাড়া ভিটোন,বনফশা-এন, ইরেক্সপ্লাস, রুচিতা-এন,ভাইটোন-বি, এনসিড ক্যাবসুল, ক্যাপসুল এন মুভ, লিকোক্যাব,সিরাপ  এন-ট্রন ওষধ তৈরী করছে যাহার মান নিম্নমানের।

নারায়নগঞ্জের  সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালসের (ইউনানী) আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব)  নামক ৪৫০মিলি সিরাপ রাজধানীসহ সারাদেশে মুড়িমুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে এর কারন সরুপ জানা যায় উক্ত ভিটামিন সিরাপ দুটিতে মাত্রাতিরিক্ত গবাদিপশু মোটাতাজা জাত করন ক্যামিকেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে কারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ সেবন করলে অতিদ্রুত স্বাস্থ্য বৃদ্ধি, রুচি বৃ্দ্ধি হয় যে কারনে জনসাধারন এই দুটি ভিটামিন সিরাপ কিনতে ঔষধের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নারায়নগঞ্জ এলাকার দায়িত্বরত একাধিক কর্মকর্তা একাধিকবার সুরমা র্ফামাসিউটিক্যালস এর উৎপাদিত ভিটামিন সিরাপ আরক পুদিনা (সুরমিন্ট), সেব-এস (শরবত সেব) এর গুনগত মান যাচাই এর জন্য ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে উল্লেখিত দুটি ভিটামিন ঔষধের  নমুনা পাঠিয়ে ও অধ্যবধি নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি। এর কারন সরুপ জানা যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উর্ধতন কতৃপক্ষ এবং ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কর্মকর্তাদের নিয়মিত অবৈধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে সুরমা ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিক ফিরোজ।

নারায়নগঞ্জের বিসমিল্লাহ ল্যাবরোটরীজের (ইউনানী) নামক ঔষধ কোম্পানি কতৃপক্ষ গ্লোবিরোন (শরবত ফওলাদ) ২০০মিলি সিরাপ, আমলা (শরবত আমলা) ৪৫০ মিলি, পুদিনা (আরক পুদিনা) ক্যাপসুল বি-নিশাত ও নিশাত৪৫০মিলি, পিউ-বি (শরবত গাওজবান) ৪৫০মিলি, তুলশী (কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, বাসক (কফসিরাপ) ১০০মিঃলিঃ, রুচি-বি (হাব্বে হেলতিন), সিরাপ, এট্রোজিন (জিনসিং সিরাপ)১০০মিঃলিঃ এবং ক্যাপসুল বি-জিনসিন, বি-জিনসিন নামক ১০০ মিঃ লিঃ সিরাপ একই ডিএআর নম্বর ব্যবহার করে দুই নামে যথাক্রমে এট্রাজিন ও বি-জিনসিন নাম ব্যবহার করছে। বর্তমানে বিসমিল্লাহ ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) কাগজে কলমে বন্ধ দেখানো হলেও ঔষধের উৎপাদন ও বাজারজাত থেমে নেই।

এস ল্যাবরোটরীজ (ইউনানী) একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করে সরবত সেব দুই নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে যার ট্রেড নাম হিটোন (শরবত শেব) ও আপেল-জি (শরবত শেব), হেপঠো, ম্যাগফেরল, ম্যাগোজিন (শরবত জিনসিন), মিকোরেক্স (শরবত ছদর) নামক ঔষধ সমূহ লেবেল কার্টুনে চূড়ান্ত অনুমোদন ব্যাতিত উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উটেছে। আরো জানা যায় যে কোম্পানীটি লাইসেন্স নবায়ন না করে কোম্পানীর মালিক অন্য কোম্পানীর ওষুধনিম্ন মানের কেমিক্যাল ব্যাহার করে দীর্ঘ দিন ধরে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

আইকে ফার্মাসিটিক্যাল আয়ুর্বেদিকঃ সিরাপ কার্ড এফএক্স-১০০মিলি, সিরাপ মুন, হরমোন এক্স, সিরাপ লিভোম্যাক্স, সিরাপ নাইট্রিন, সিরাপ লিও প্লাস, সানতারা, ওডিনাল,ইত্যাদি তৈরী করছে তাছাড়াও সরাসরি জেনিরিক নাম ব্যাবহার করে আমলকি রসায়ন, বলারিস্ট, দাক্ষা হৃষ্ট, জাম্বাদ্যরিষ্ট, চন্দ্রনাসেব, মহা দাক্ষা হৃষ্টতৈরী করছে।

প্যারেন্ট ইউনানীঃ সিরাপ সিবটাপ্লাস ৪৫০মিলি, সিরাপ লাইপোটন, ক্যাপসুল রাখি ক্যাপ, ক্যাপসুল জি ক্যাপ, ক্যাপসুল রিমকেল ডি, সিরাপ প্যানাটন ৪৫০মিলি, ক্যাপসুল সাদ (হাব্বে নিশাত), সিরাপ জিনসিন (শরবত জিনসিন), সিরাপ শিফট প্লাস (শরবত সেপ), ক্যাপসুল মনিশ (হাব্বে মুনিশ), ক্যাপসুল মৃগা সেঞ্জ (জিনসিং) । ট্যাবলেট এ্যাস্থিমাসিন, (আরক নুকরা), নিশাট্যাব(হাব্বে নিশাত),মুনাডেক্স(হাব্বে মুনিশ),মুনিশ পি(হাব্বে মুনিশ)

হাইম্যাক্স ল্যাবলোটরীজ (ইউনানী): হাইম্যাক্স ল্যাবরেটরীজ ইউনানী এর মালিক ইমদাদুল হক সবুজ এর স্ত্রী বর্তমানে ইমদাদুল হক এর মৃত্যুর পর কোম্পানিটির এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এমতো অবস্থায় হাইম্যাক্স কোম্পানির ক্যাল এক্স (হাব্বে সূর্গেন) , ম্যাক্সিন৪৫০মিলি (শরবত কিশওয়ার), ম্যাক্স বিন৪৫০ মিলি (শরবত শেভ), ডিউম্যাক্স ক্যাপসুল,ক্যাপসুল জ্ঞানো,ক্যাপসুল হাইম্যাক্স, ক্যাপসুল পিকে সেভেন, ইউরেটিক ম্যাক্স, অফ রুচি ম্যাক্স , সফুফ জিরিয়ান,নূকরা, ম্যাক্স-জেট, মুকাব্বি খাছ, ম্যাক্স কার্ড, এলবো সিল, শরবত জিনসিন ,নাইট পিল (ট্রেড নামের অনুমোদন নেই) ম্যাকরিন, ক্যাল-এক্স নামক ঔষধ সামগ্রির বাজারজাত অব্যহত রেখেছে। এতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করছে ফলে সাধারণ ক্ষতির মুখে পড়ছে মানুষ ।

গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যবরেটরীজ (ইউনানী) মালিক পক্ষ রুচিটন, দামালিন, অ্যামবো-ডি, জিনটোরিন, নিশিক্যাপ, জেবিলেক্স, জেবিএল বাসক, সিরাপ নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন কি উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত এ্যাকোহল ব্যবহার করার ফলে জেবিএল এর কফ সিরাপের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। অতি সম্প্রতি গাজীপুরের জেবিএল ড্রাগ ল্যাবরেটরিজের জেসিলভা (ক্যাপসুল হাব্বে আম্বর মোমিয়ায়ী), নিশিক্যাপ (ক্যাপসুল হাব্বে নিশাত), জেবিএল বয়জা (সেমিসলিড হালওয়া বয়জা) আইটেমের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের ফাস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এর লাইসেন্স বাতিল হওয়া সত্ত্বেও উক্ত কোম্পনির মালিক নূর মোহাম্মাদ দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে মেনফাষ্ট (যৌবন শতদল) ক্যাপসুল, ভিটাফাষ্ট (বলারিস্ট) নামক ঔষধ সহ ২০-৩০ প্রকার ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন। এ বিষয়ে ময়মনসিংহের ড্রাগ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওষুধ প্রশাসন থেকে ফাস্ট ফার্মাসিটিক্যালস আয়ুর লাইসেন্স বাতিল করা হলেও কোম্পানির মালিক নূর মোহাম্মদ মহামান্য আদালতের কাছে আপিল করলে মহামান্য আদালতের নির্দেশনা সম্প্রতিকালে কোম্পানির লাইসেন্স নতুন করে নবায়ন করা হয় । সুত্র মতে, জানা যায় কোম্পানীটির লাইসেন্স নবায়ন হবার আগথেকেই কোম্পানীর মালিক তার পুরানো ধারা বজায় রেখে নামে-বেনামে অনুমোদন ছাড়াই বাজারে নিম্নমানের ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয় অব্যহাত্য রেখেছে।

হামজা ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী): এইচপি তুলসী ১০০মিলি, ট্যাবলেট হামজা রুচিক্যাপ, ক্যাপসুল পেনকুল, ক্যাপসুল হামজা গ্যাসকুল, সিরাপ হামজাপ্লেক্স (শরবত আমলা), ট্যাবলেট সুপার ক্যাপ (ভিটামিন এ টু জেড), ক্যাপসুল নিমভিট, ট্যাবলেট স্লিফিট, হামজাক্যাল-ডি, সিরাপ কফকুল, ক্যাপসুল নোএ্যাজমা, সিরাপ জিনবিট (শরবত জিনসিন), হালুয়া গ্রেফোট, সিরাপ এ্যাপেলটন ৪৫০মিলি, ক্যাপসুল হাব্বে নিশাত, সিরাপ হামজা তুলসী। টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এমন কি উক্ত কোম্পানির উৎপাদিত কফ সিরাপে মাত্রাতিরিক্ত এ্যাকোহল ব্যবহার করার ফলে  এর কফ সিরাপ গুলো মাদকের কাজ করছে ফলে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

সিকো ল্যাবরেটরীজ ইউনানীঃ সিরাপ সিকো জিং ৪৫০মিলি, সিরাপ সিকো সেব সিরাপ সিকোরন, সিরাপ সিকো মিনা, ক্যাপসুল সিকো রেক্স, ট্যাবলেট ক্যাল-সিকো, ট্যাবলেট টাইটান, ক্যাপসুল সিকোপেইন, সিরাপ ফালসা, ট্যাবলেট সিকোজল, সিরাপ সিকোজবান, সিরাপ সিকোডেক্স, সিরাপ সিকোরিয়া, সিরাপ সিকোহেপ, ক্যিাপসুল ডিউলাক্স, সিরাপ সিকোসানা, সিরাপ সিকোভিটা,ক্যাপসুল সিকো নীম, সিরাপ হাইম্যাক্স, সিরাপ সিকোফেম, ট্যাবলেট বিলোভার, ক্যাপসুল রিউলিক, সিকোমিনা,  সিরাপ ফালসা নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে বলে সুত্র মতে জানা গেছে।

নেপলস ল্যাবরেটরীজ লিমিটেডঃ সিরাপ ওমেন ৪৫০মিলি, সিরাপ টুল অফ, সিরাপ নেপজিন৪৫০মিলি (শরবত জিনসিন), ট্যাবলেট ভিটফেম গোল্ড, ক্রিম স্কেরিশ, সিরাপ নেপ-কফ ১০০মিলি, ট্যাবলেট এ বি ট্যাব, ট্যাবলেট গ্রিন-টি, সিরাপ পোলিন, সিরাপ এল টিউরিন ২০০মিলি, ট্যাবলেট নিম ট্যাব, ট্যাবলেট হারবোম্যাক্স, সিরাপ লিভোদিন, সিরাপ বিটকষ্ট, ক্যাপসুল জিংভাস, নেপলস্ চিরতা, ট্যাবলেট এন-লিকো।নেপ-জিন(শববত জিনসিং),তুলকফ(শববত তুলসী) সিরাপ নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ।

ময়মনসিংহের নকল ভেজালকারী মো. কামরুল ইসলাম যুবদল, বিএনপি ও সমন্বিত সড়ক পরিবহনের নেতা বলে পরিচয় দেয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানীর লেভেল কার্টুন নকল করে ওষুধ উপাদন করে আসছে বলে সূত্র মতে জানা যায়। যার মধ্য রয়েছে জেসিআই, শেড ফামাসিউটিক্যাল আয়ু, দিদার ল্যাবরেটরীজ আয়ু, এস.বি ল্যাবরেটরীজ আয়ু,গ্রীন-লাইফ ন্যাচারাল হেলথ কেয়ার আয়ু, জেনিয়াল ইউনানী, প্রিভেন্টিস বাংলাদেশ ইউনানী, এমী ল্যাবলোটরী আয়ু, কনফিডেন্স ফার্মাসিউটিক্যাল (আয়ু), ভিগো ল্যাবলোটরী, একরাম ল্যাবলোটরীসহ বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ, যা সরাসরি স্টার মেডিকেল হল, রনি মেডিকেল হল, জয়দের মেডিকেল হল, পারুল মেডিকেল হল, কামরুল মেডিকেল হল, সায়মন ড্রাগস, মা-বাবার দোয়া মেডিকেল হল, প্রভাতী মেডিকেল হল মাওনা গাজীপুর, স্বপ্ন ফার্মেসী, মাহি মেডিসিন কর্ণার,শিরিন মেডিকেল হল, খান মেডিকেল হল, ময়না মেডিকেল হল জামালপুর রোড,মধুপুর,টাঙ্গাইল সহ গৌরঙ্গ বাজার কিশোরগঞ্জের উজ্বল হোমিও হলে সরাসরি বিক্রয় করছে, এছাড়া ময়মনসিংহের দূর্গাবাড়ি কামরুলের নিজের দোকান সৃজন ফার্মেসীতে সরাসরি নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ঔষধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মালিকগণ অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। এদিকে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ের দায়ে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মেডিকেল হলের মালিককে ওষুধ প্রশাষনও ভ্রাম্যমান আদালত কতৃক অভিযান পরিচালনা করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।

দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) একই ডি এ আর নাম্বার ব্যবহার করে বলারিস্ট সিরাপ ও দি-টন সিরাপ নামে একি বলারিস্ট দুই নামে ভিন্ন ভিন্ন লেবেল কার্টোনে বাজারজাত করছে এছাড়া উক্ত কোম্পানি দি গোল্ড, এনজয় প্লাস ক্যাপসুল, এনজয়প্লাস সিরাপ,দিটালিন সহ প্রায় শতাধিক আইটেমের ঔষধ সামগ্রি উৎপাদন  বাজারজাত করছে। এ ধরনের অভিযোগে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালস এর কারখানায় ৩-৪ বার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং র‌্যাবের ভ্রাম্মমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্নপ্রকার অনিয়মের ধায়ে উক্ত কোম্পানি একাধিক বার সিলগালা ও সাময়িক লাইসেন্স বাতিল সহ মোটা অংকের জরিমানা আধায় করে।বতমানে দিহান ফার্মাসিউটিক্যালসের (আয়ুর্বেদিক) ট্যাবলেট জাতীয় আইটেমের উৎপাদন স্থগিত করা হলেও তাদের উৎপাদন ও বাজারজাত করন বন্ধ নেই।

পাবনার ইমপোল (ইউনানী) ল্যাবরোটরীজ এর মালিক রফিক অবৈধ ভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানাতে গিয়ে ভ্রাম্মমান আদালত কতৃক দন্ডিত হয়। উক্ত কোম্পানি ইমোফিল (শরবত জিনসিন) ১০০মিঃলিঃ ও হরমোফিল (জিনসিন সিরাপ) এবং শরবত জিনসিন নামক ১০০মিঃলিঃ সিরাপে একই ডিআর নম্বার ব্যাবহার করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এছাড়া শরবত সেব-ই৪৫০মিলি, ভিটাপেল ৪৫০ মিলিঃ, আই-কফ (শরবত এজায) ১০০মিলিঃতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যাবহার হচ্ছে বলে সুত্রমতে জানা গেছে।

ঝিনাইদাহের প্রজ্ঞা ল্যবরেটরীজ (আয়ু) এর মালিক আকরাম হোসেন ভিগোরিষ্ট (ভিমরস) নামক ১০০মিঃলিঃ সিরাপ ১০-১১টাকায় পাইকারী বাজারজাত করছে এছাড়াও উক্ত কোম্পানি একই ডিএআর নম্বর দিয়ে একাধিক ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরও উক্ত কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। উক্ত কোম্পানি অদ্যবধি কালার ফ্লেবার ও বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর ক্যামিকেল দিয়ে ঔষধ সামগ্রির উৎপাদন ও বাজারজাতে দুঃসাহস দেখিয়ে আসছে।

গুড হেলথ ল্যাবরেটরীজ ইউনানী লিমিটেডঃ রিফিট (শরবত গাউজাবান), ইউ কেয়ার (শরবত বুজুরি), লিভার সেল (শরবত দিনার), জি সিং (শরবত জিনসিন), ভেনাপ্রো (শরবত শেব), ব্রণ স্যার (শরবত তুলসি), ছেমনিকস (হাব্বে মুনিশ), নিম্ন মানের ক্যামিকেল ব্যাবহার করে উৎপাদন করছে বলে জানা গেছে, সম্পতি সময়ে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার নতুনপাড়ার গুডহেলথ ল্যাবরেটরিজের হাব্বে হায়াতীন মুরাক্কাব (ক্যাপসুল বাণিজ্যিক নাম লুমাটন), হাব্বে হায়াতীন মুরাক্কাব জওয়াহারদার ক্যাপসুল (বাণিজ্যিক নাম ইপিওজি), আরক আজীব (তরল) (বাণিজ্যিক নাম জি আজীব), কুরছ রিয়াহিন ক্যাপসুল (বাণিজ্যিক নাম জিএইচ ২০), মরহম আজীব (মলম) (বাণিজ্যিক নাম টাররাসিল) আইটেমের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ফাইল অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আমাদের অনেক অভিযোগ আছে আমরা যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

গ্রামো ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী): এর লাইসেন্স বাতিল হওয়া সত্ত্বেও উক্ত কোম্পনির মালিক মোহাম্মাদ শাহীন দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ক্যাপসুল নিউ পাওয়ার প্লাস, সিরাপ জিনসিন জি-পি ৪৫০মিলিঃ, জিন কোলা (শরবত সেভ), তুলসী (শরবত তুলসী) সিরাপ নামক ঔষধ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। এ বিষয়ে সাভারের ড্রাগ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওষুধ প্রশাসন থেকে গ্রামো ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) লাইসেন্স বাতিল করা হলেও কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ শাহীন মহামান্য আদালতের কাছে আপিল করলে মহামান্য আদালতের নির্দেশনা সম্প্রতিকালে কোম্পানির লাইসেন্স নতুন করে নবায়ন করেন। সুত্র মতে, জানা যায় কোম্পানীটির লাইসেন্স নবায়ন হবার পরথেকেই কোম্পানীর মালিক তার পুরানো ধারা বজায় রেখে বেপরোয়া ভাবে নামে-বেনামে অনুমোদন ছাড়াই বাজারে নিম্নমানের ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয় অব্যহাত্য রেখেছে। এ ব্যাপারে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নবীন ল্যাবরেটরীজঃ থামছে না নবীন ল্যাবরেটরীজের ভেজাল বানিজ্য ক্যাপসুল মোমিক্যাপ, ক্যাপসুল ক্যালসিমন, ট্যাবলেট নবীন খারাতিন, সিরাপ সাইকোপ্লেক্স, ক্যাপসুল নবীন চিরতা, ক্যাপসুল হিমোজিন, ক্যাপসুল মুদিন, সিরাপ ডায়জিন, সিরাপ লিভারিন, সিরাপ জাফরান সিরাপ সমূহ টেস্টিং ক্রাইটেরিয়া অনুসরন না করে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।এর আগে ২০১৯ সালে নবীন ল্যাবরেটরীজের ভেজাল ওষুধ মেরী গোল্ড নামক কাশির সিরাপ খেয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়ায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়।

জুরাইনের জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) এবং খুলনার ইউনিট ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) কোম্পানী দুটির মালিক তাসলিমা বেগম। তার বিরুদ্ধে জেনেসিস ফার্মাসিউটিক্যালস (আয়ু) ইউনিটি ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) এবং জেনেসিস ম্যানুফেক্সারিং কোম্পানি নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাতের অভিযোগে একাধিক বার রিপোর্ট প্রকাশের পর অভিযোগ থেকে অব্যহাতি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে রাতের আধারে নকল ভেজাল ও অবৈধ ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। উক্ত কোম্পানীর বলারিষ্ট ও জিও-ভিট নামক ৪৫০ মিলি সিরাপে (আয়ু-১২৮-এ-০১০) একই ডিএআর নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। আবার দশ মুলারিষ্ট ও বিগো-১০ নামক ৪৫০ মিলি সিরাপে ফ্যামেলি ছবি ব্যবহার করেছে এবং এই দুটি সিরাপের ডিএআর নম্বর ও একই (আয়ু-২২৮-এ-০৩২) একটা রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারে একাধিক ওষুধ বাজারজাত হয় কিভাবে? আবার ইউনিট ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) এর ব্যানারে ইউলিকা সিরাপে মানুষের ছবি এবং মুমসিক নামক যৌন উত্তেজক ক্যাপসুলের প্যাকেটে ঘোড়ার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে জেনেসিস ম্যানুফ্যাক্সারিং নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে পাওয়ার প্লাস নামক ভিটামিন সিরাপে ও মানুষের ছবি ব্যবহার করা কতোটা আইন সিদ্ধ তা ওষুধ প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঔষধ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনঃ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও নকল ভেজাল ওষুধের কারবার থেমে নেই। নিত্য  নতুন কৌশল অবলম্বন করে নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে ভেজালকারীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে বর্ণিত এসব কোম্পানীর উৎপাদিত ওষুধের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সত্ত্বেয় তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, কারন সরুপ জানা যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত মাঠ পযায়ের ড্রাগ সুপার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির কতিপয় অবৈধ সুবিধা ভোগী অসাধু  কর্মকর্তারা উল্লিখিত ঔষধ কোম্পানির মালিক পক্ষের নিকট থেকে নিয়মিত অবৈধ সুবিধা নিয়ে সমস্ত কোম্পানির ঔষধ সমূহ মানসম্মত বলে রিপোর্ট প্রদান করে। ফলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বাজার থেকে যে সকল ঔষধের নমুনা সংগ্রহ করে গুনগত মান যাচাই এর জন্য নমুনা সমূহ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে প্রেরন করে /৯মস অপেক্ষা করেও নমুনা পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পায় না। ড্রাগটেস্টিং ল্যাবরেটরির ওই সকল দূর্নীতি পরায়ন  কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে নকল ভেজাল ঔষধ  উৎপাদন বাজার জাত কারীদের সাথে নমুনা প্রতি মোটা অংকের অর্থের চুক্তি থাকায় প্রায় সব নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির ঔষধ সমূহ রাতের আধারে মন সম্পূর্ণ বলে রিপোর্ট পেয়ে যায়। মাঝেমধ্যে কিছু কোম্পানির ঔষধ সমূহ সাবস্টান্টার্ড বলে রিপোর্ট প্রধান করে থাকে যা উপরিমহলের আই ওয়াস মাত্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.