বিশেষ প্রতিনিধি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) বজলুর রশীদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।আজ রবিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল ও সৈয়দ মিজানুর রহমান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন।অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছরের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে রূপায়ণ হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি আট লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।
এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট কেনা সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। ফলে তার এই পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই মামলার রায় দেন। পাঁচ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তার তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় সর্বশেষ কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার আগে ডিআইজি হিসেবে ছিলেন রাজশাহীতে।বিচারিক আদালতের রায়ের পর গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদ খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। সেদিনই হাইকোর্ট তার জরিমানা স্থগিত করে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন হাইকোর্ট। এরপর তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন, সেটিই খারিজ করলেন উচ্চ আদালত।