প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৫টি দেশের এক লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে প্রত্যেক সন্দেহভাজনকে পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে করোনা মোকাবিলায় কারফিউ জারি করেছেন ইরাক, ফিলিপিন্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। বিদায় জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদের বিরামহীন সেবায় সুস্থ হয়ে মুক্ত বাতাসে এই চীনা নাগরিকরা। চীনে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাজয়ী রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে একে একে বন্ধ হচ্ছে অস্থায়ী হাসপাতালগুলো।
চীন যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল পরিণত হচ্ছে মৃত্যুপুরিতে। ইরানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। একদিনেই মারা গেছেন একশ’র বেশি মানুষ। সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
মৃতের সংখ্যা শ্লথ হলেও, দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রুতগতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরইমধ্যে দেশটিতে করোনারোগীর সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। তবে কোরীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতের মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন আরো একজন, সেইসঙ্গে দেশটিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়াও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়েসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। করোনা মোকাবেলায় কারফিউ জারি করেছে ইরাক, ফিলিপিন্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বিশ্বজুড়ে করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজনদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘প্রত্যেক দেশকে একটি বার্তা দিতে চাই। পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। যাদের দেহে করোনার উপসর্গ দেখা যাবে, তাদের প্রত্যেককে পরীক্ষা করে আক্রান্তদের আলাদা করতে হবে। অন্ধভাবে এ মহামারী প্রতিরোধ সম্ভব নয়।’
প্রাণঘাতী করোনায় এ পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মারা যাওয়ার পাশাপাশি, আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।