ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগরীর বিএনপিতে হাসান ছিলেন একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্যেও মরহুম হাসান ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছিলেন নিজের সাংগঠনিক প্রতিভাবলে। করোনা ভাইরাসের ছোবলে তার মতো একজন যোগ্য ও দক্ষনেতা না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র জীবন থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দেশনেত্রীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে দলে যোগদান করার পর মাথা উঁচু করে সকল স্বৈরাচারের চোখ রাঙ্গানীকে উপেক্ষা করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছিলেন। এজন্য তাকে সইতে হয়েছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তার এই সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাসান সমাজ সেবাকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য করেছিলেন, তাই আমরা দেখেছি এই করোনাকালেও তিনি নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী। করোনা মোকাবিলায় সরকারি ব্যার্থতায় অন্যান্য মৃত্যুবরণকারীদের মতো চিকিৎসা না পেয়ে সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসানকেও জীবন দিতে হলো। এই শোক কাটিয়ে উঠা অত্যন্ত কঠিন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। করোনায় আক্রান্ত তার সহধর্মিনীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার আহসান উল্লাহ হাসান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার রাত পৌনে ৯টায় রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।