বিশেষ প্রতিনিধি প্রসূতিকে স্বাভাবিক বা সিজারিয়ান যেটাই করা হোক না কেন, তার পক্ষে যেন যথেষ্ট কারণ থাকে এবং তা সম্পর্কে প্রসূতি মাকে যেন অবগত করা হয়– তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রসূতি সেবা সংক্রান্ত তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। রোববার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
সভায় জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর ব্লাস্টের দায়ের করা জনস্বার্থবিষয়ক মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালাটিকে রায়ের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রুলটি নিষ্পত্তি করেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১১ অনুসারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা নীতিমালাটি রায়ের মর্যাদা পায় এবং রায়টি এখন সবার জন্য অবশ্য পালনীয় বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্লাস্টের উপদেষ্টা (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং) তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন ব্লাস্টের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মাহবুবা আক্তার। তিনি আদলতের নির্দেশনা কার্যকর করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়কে কীভাবে সচেতন করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ব্লাস্টের রিটের আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রণয়ন করা শুরু হয়েছিল এবং এটি একটি লিভিং গাইডলাইন। নির্দেশনাটি অনুসরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।