রাজগঞ্জের কৃষক নজরুল হত্যা মামলা অর্ধমাস অতিবাহিত হলেও মূল রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ফলে প্রকৃত খুনিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। উপজেলার তাজপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ৩০ মে বিকালে মাঠে ফসলী ক্ষেতের পানি নিস্কাশন করতে য়েয়ে খুন হয়। পরের দিন সকালে ক্ষেতের পাশে একটি ড্রেনে লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহ মূলক ভাবে ৩ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন এজাহার ভুক্ত আসামী করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ২দিন রিমান্ডে এনেও হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি। সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়, ৩০ মে বিকেলে একই সময় একই স্থানে মাঠের স্ব স্ব ক্ষেতের পানি বের করতে যায় গ্রামের নজরুল, আসাদুল ও মেহেদী।
এদিকে ৩১ মে দুপুরে তাদের বাড়িতে গেলে আসাদুলের সাথে থাকা ভাইঝি ৬ বছরের শিশু কন্যা লামিয়া জানায় আমার কাকু হাত দিয়ে আইল কেটে পানি বের করে অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বাড়ি চলে আসি। এ সময় মেহেদীও বাড়ি চলে আসে ও নজরুল মাঠে থেকে যায় বলে মাঠ সংলগ্ন বাড়ির মালিক মতিয়ার রহমান জানান।
এদিকে গ্রামের ফারুখ হোসেন নামের এক বক্তি ঐ দিন সন্ধার পর আসাদুলের ভাই আশিকুরকে ঐ মাঠের দিকে যেতে দেখেছে বলে জানা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে আসাদুলের জমির ভীতরে জমানো পানি বের করার জন্য কোদাল দিয়ে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী নালা কাটাসহ অন্যন্য যে সব কাজ করেছে সেটি আশিকুর করেছে। আর ঐ পানি বের হচ্ছে নজরুলের জমির উপর দিয়ে।
তখন নজরুল ও আশিকুরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় নজরুল খুন হতে পারে বলে ধারনা করছে গ্রামের অনেকেই। এবিষয়ে কথা হয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাহাবু আলমের সাথে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, জোর তদন্ত চলছে হত্যাকান্ডের আসল রহস্য অচিরেই উৎঘাটন করা হবে।