বিশেষ প্রতিনিধি চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ১১ শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৩৫৯ পরীক্ষার্থী। আর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় বহিষ্কার হয়েছে ২৪ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা যায়।এদিন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলে হয় কুরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষা। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৬৪টি কেন্দ্রে ১৪ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ জন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। অনুপস্থিত ছিল ৯ হাজার ৭৩১ জন। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ২ হাজার ৩৪৫ জন, চট্টগ্রামে ৮০৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ১৮১, বরিশালে ৬৮২, সিলেটে ৫৬৪, দিনাজপুরে ১ হাজার ৪৩, কুমিল্লায় ১ হাজার ৩৭০, ময়মনসিংহে ৬০৪ ও যশোর বোর্ডে ১ হাজার ১৩৩ জন প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। এদিন বরিশাল বোর্ডে ২ ও ময়মনসিংহে ৪ পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়।অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭ হাজার ৬৬০ জন অনুপস্থিত ও অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৭ জন বহিষ্কার হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৯৬৮ জন এবং বহিষ্কার হয় ১১ জন।
যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সারারাত মাইক বাজানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ডিজে গান ও উচ্চস্বরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গভীর রাতেও মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলে। কিন্তু সারারাত মাইক বাজানো উচিত নয়। আমরা অনুরোধ করছি, যাতে এত রাত পর্যন্ত কেউ মাইক না বাজান।’
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নামাজের কারণে পরীক্ষা পেছানো হয়নি। তবে নতুন কারিকুলামে পেছানোর সুযোগ থাকবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমরা পরিদর্শনে যাইনি। তবে আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিম পরিদর্শনে থাকবে। সন্তানের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সবাই হলের বাইরে জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকুন।’প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা এটি করে। আরেকটি গোষ্ঠী প্রতারণার জন্য এসব করে।’