সরকার বিএনপির মানবিক কাজকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২১জুন) দলটির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে দেশে যখন গরিব ও ছিন্নমূল মানুষ দু’মুঠো ভাতের জন্য হাহাকার করছে, তখন ক্ষুধার্ত ও নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সেই মানবিক কাজটিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বর্তমান হিংসাশ্রয়ী সরকার। তাই দলীয় লোকজনদের দিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হিংস্রতার থাবা বিস্তার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠীর বর্বরোচিত শাসনে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশটি ক্রমান্বয়ে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগকেও হার মানাতে চাচ্ছে। অদৃশ্য আততায়ী করোনাভাইরাসের মরণ ছোবলে ভীত সন্ত্রস্ত ও নিরন্ন মানুষকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা সাহায্যের মহৎ উদ্যোগকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধাগ্রস্ত করতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে চলমান দুঃশাসনেরই ভয়াবহ নজির।’
ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক এ ধরনের পৈশাচিক হামলা ও রক্তাক্ত সন্ত্রাসী ঘটনার কারণেই করোনা মহামারির এই সংকটময় সময়ে দেশ আরও গভীর নৈরাজ্যের মধ্যে নিপতিত হয়েছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে গরিব ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা অশুভ ইঙ্গিতেরই ইশারা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’