• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ Mostbet 314 Casino Azərbaycanda Bukmeker Kontoru Mostbet Azerbaycan Yukle Android Os Apk Və Ios App-d Mostbet Az-90 Kazino Azerbaycan ən Yüksək Bukmeyker Rəsmi Sa 0898520760 ফের আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে শক্তিশালী জবাবের হুঁশিয়ার ইরানের গাজায় এক গণকবরেই মিলল ৩০০ লাশ ইসরায়েলের গভীরে হামলার দাবি হিজবুল্লাহর বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক দুর্নীতির একটা সীমা থাকে, এটা সাগরচুরি বেনজীরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট প্রভাবমুক্ত থেকে দুদককে অনুসন্ধান করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই রেয়াত সুবিধা বাতিল, ঢাকা থেকে ১৫ রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া চলমান তাপপ্রবাহ আরো কতদিন থাকবে, যা জানা গেল রংধনুর রফিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

লুমিনাস এর  বিরুদ্ধে ভেজাল সার ও কসমেটিক্স সামগ্রীর উৎপাদন ও  বাজারজাতকরনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  এমএলএম প্রতিষ্ঠান লুমিনাস এবং ইউনানী ঔষধ কোম্পানী মেডিসেফ (পূর্বের নাম নাবাতি ল্যাবরেটরীজ,  ময়মনসিংহ ) যৌথভাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর অনুমোদন ব্যতিত ভেজাল ও নিম্ন মানের ঔষধ,সার,ফিস ফিড ও প্রসাধনী বিভিন্ন ট্রেডনাম দিয়ে বহু-স্তর বিপণন পদ্ধত্বিতে (এমএলএম) বাজারজাত করছে বলে জানাগেছে। প্রচলিত বাজারদরের তিন থেকে চারগুন মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। এমনকি তাদের প্রশাধনীর দাম বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার ও দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডের চেয়েও দ্বিগুণ,তিন গুণ।

তাদের বেশির ভাগ ঔষধ আইটেম ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত নয়। আবার উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত প্রসাধনী আইটেমও বিএসটিআই বা ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত নয়।আবার সার ও ফিস ফিড কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

মেডিসেফ ইউনানী ব্যালেন্স প্লাস,গো ফ্রেস,উইম্যান হেলথ,সেফটিক্যাল-ডি,পেইন ফ্রেস,মেডিসেফ ডায়া,জিরো পাইলস,ইজি সিলিম,ইয়ো ফ্রেস,ব্যালেন্স প্রেসার,এ্যাজমা সেফ,থ্রোম্যাক্স ও সেফ হার্ট ট্রেডনামে ঔষধি আইটেম এবং টুথপেস্ট, সোপ, শ্যাম্পু, বডিলোশন, হেয়ার অয়েল, ডিটারজেন্ট সহ বিভিন্ন প্রসাধনী ট্রেডনামে এমএলএম প্রতিষ্ঠান ”লুমিনাস” উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।উল্লেখ্য, ইউনানী ঔষধ কোম্পানী মেডিসেফ এর মালিকানা লুমিনাসের মালিক রাকিব হোসেনের নয়, এছাড়াও “এজমা সেফ” ট্রড নামটি “রয়েল ল্যাবরেটরীজ আয়ুর্বেদিক” নামক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত ট্রেড নাম যা মেডিসেফ ইউনানি ব্যাবহার করছে এমনকি মেডিসেফ ইউনানি নামক প্রতিষ্ঠানের কোনো ঔষধের -ই ট্রেড নামের অনুমোদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়নি মেডিসেফ ইউনানি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রেড নাম দিয়ে ঔষধ তৈরি ও বাজারজাত করছে, যা রীতিমতো ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী অবৈধ।  অন্যের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঔষধ তিনি নিজের নামে বাজারজাত করেন। ঠিক সারের কোম্পানির মালিকও রাকিব নয়। আলাউদ্দিনের মালিকানাধিন মিরাক্কেল এগ্রো কোম্পানির সার, ফিস ফিড নিজের লুমিনাসের ব্যানারে চড়া দামে বাজারজাত করেন।

উপরোক্ত প্রসাধনী ও ঔষধে ইউনানী ফর্মুলারী অনুযায়ী ভেষজ উপকরন ব্যবহারের পরিবর্তে অনুনোমোদিত ক্ষতিকর কেমিকেল ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া,ঔষধের ট্রেডনাম অতিব বিদঘুটে যা ইউনানী ঔষধের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রচলিত আইনে এমএলএম পদ্ধত্বিতে ঔষধের বাজারজাতকরন বেআইনী। ইউনানী ঔষধ কোম্পানী ”মেডিসেফ” এবং এমএলএম প্রতিষ্ঠান ”লুমিনাস” কর্তৃক অনুনোমোদিত,ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ ও প্রসাধনী বাজারজাতকরনের ফলে একদিকে জনসাধারন প্রতারিত হচ্ছে অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।

আবারর ‘কৃষক বাঁচাও মাটি বাঁচাও দেশ বাঁচাও’- স্লোগান দিয়ে লুমিনাস মিরাক্কেল এগ্রো অ্যান্ড কসমেটিকস লিমিটেড কর্তৃক সরকারের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যতিত ভেজাল ও নিম্ন মানের মিরাক্কেল গ্রোথ সার,মিরাকেল ফিস ফিড উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

লুমিনাস গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজওয়ানা শারমিন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিব হোসেন। ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ।পরিচালক সেরাজাম মুনির ওরফে ডেসটিনি মুনির।তবে কাগজ পত্রে কোম্পানির মালিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিব হোসেন। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে শেয়ার দেয়া ছাড়াই পরিচালক বানান। আবার বাদ দিয়ে দেন।পাওনা টাকা পরিশোধের জন্যে চেক দেন। ব্যাংকে জমা দিলে টাকা না থাকায় বার বার ডিজঅনার হয়। পাওনা টাকা ফেরত পাবার জন্যে দিনের পর দিন রাকিবের অফিসে ধর্না দিতে হয়।

বৃহত্তর জনস্বার্থে ইউনানী ঔষধ কোম্পানী ”মেডিসেফ” এবং লুমিনাস গ্রুপের এর অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর,কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর  ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন  (বিএসটিআই) এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টমহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.