লালমনিরহাট প্রতিনিধি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত রাখাল লিটন মিয়ার (২০) মরদেহ জেলার জাওরানি বিওপি দিয়ে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ নিহতের লাশ বিজিবির নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের পদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার আগে পৌনে ৪টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ’র স্টান্ডার্ট বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ নিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে তা রাতে করা হয়।মঙ্গলবার ভোরের দিকে উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ -এর গুলিতে লিটন মিয়া আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় দাবি বিজিবির। লিটন মিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় দিয়ে রাতে বাংলাদেশি কয়েকজন যুবক গরু আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে লিটনকে। এসময় তার লাশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এমন দাবি লিটনের পরিবারের। তবে লিটনকে আহত অবস্থায় বিএসএফ সদস্যরা উদ্ধার করে কোচবিহার জেলার এমজেএম হাসপাতালে ভর্তি করান এমন দাবি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবির।বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।