জেলার মাটিরাঙ্গার গাজীনগরে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করেছে বিজিবি। ঘটনার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মো. ইসহাক মিয়া বাদি হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬০/৭০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিজিবির গুলিতে নিহত গ্রামবাসীদেরও।
বিজিবির দেওয়া মামলায় গত মঙলবার (৩ মার্চ) বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ জনতা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে বিজিবির সরকারি কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান, অস্ত্র ছিনতাই, আঘাত, গুরুতর জখম, বিজিবির সদস্য শাওন খানকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দায়েরকৃত মামলায় বিজিবির গুলিতে নিহত সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছা মিয়া, আকবর আলী, আহাম্মদ আলী ও মো. মফিজ মিয়া ছাড়াও মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া এবং মৃত শহীদ উল্লাহর ছেলে মো. রফিকুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
এব্যাপারে খাগড়াছড়ি সফররত বাংলাদেশ পুলিশের মহা পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, মামলা যেহেতু হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে। তদন্তকালীন যা পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি হবে। পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আমরা সঠিকভাবেই মামলার তদন্ত করবো। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যা উদঘাটিত হবে বা যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ীই মামলার নিষ্পত্তি হবে।