• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

৩০০ টাকা কাঁচামরিচের কেজি!

বন্যার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। এক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এই পুরো সময়ে সর্বোচ্চ দাম কাঁচামরিচের। ভালোমানের এক কেজি কাঁচামরিচ কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। তবে সাধারণ মানের আমদানি করা কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সবজি বেশিরভাগ ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, মরিচের দামে বেশ ঝাল। অবশ্য এর কারণও আছে। বন্যায় দেশের অনেক এলাকার ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যেসব এলাকার পানি নেমেছে। সেখানেও অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ শুরু হয়নি। তা ছাড়া আগে থেকেই করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সবজির আবাদ কম হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে সবজির বাজার বেসামাল হয়ে পড়েছে।

শনিবার রাজধানীর উত্তর পীরেরবাগ কাঁচাবাজার ও মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে চড়া দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে আড়াইশ’ গ্রাম কাঁচামরিচ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এ হিসাবে কেজি ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা পড়ছে। কাঁচামরিচের কেজি ছিল জুন মাসে ৬০, জুলাই মাসের শুরুতে ১০০ এবং শেষে ১৬০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে ২০০ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

অন্য সবজির মধ্যে ঝিঙে, কাঁকরোল, বেগুন ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি করলা ও ঢ্যাঁড়শের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। তবে ৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও শসার কেজি ৬০ টাকা। প্রতিটি লাউ ও জালি ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গত মাসের শুরুতে এসব সবজি অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে।

মিরপুর-১ নম্বর কাঁচা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, পাইকারি আড়তে অনেক সময় সবজি কিনতে কাড়াকাড়ি করতে হয়। তখন দামের কোনো ঠিক থাকে না। এ কারণে বাজার ভেদে দামের পার্থক্য এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। দেশি কাঁচামরিচ এখন ২৮০ টাকায় কিনে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। কিছুটা কমে কেনায় আমদানি করা কাঁচামরিচ আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি করছেন।

মিরপুর বেড়িবাঁধের পাইকারি আড়তের ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাজারে এখন আগের তিনভাগের একভাগ সবজি আসছে। বাজারে উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি বেশি আসছে। বন্যার শুরুতে উত্তরাঞ্চলের সবজি আসা বন্ধ হয়েছে। এরপর এক মাস ধরে ঢাকার আশপাশের জেলার সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে বাজারে সরবরাহ আরও কমেছে। তা ছাড়া গ্রীষ্মকালীন এই সময়ে সবজির আবাদ কম থাকে। এ কারণে অন্য এলাকার সবজিও তেমন আসছে না।

পাইকারি আড়তে এখন মুহূর্তে সবজির দাম ওঠানামা করছে। এতে বাজারে কোন সবজির কত দাম, তা সঠিকভাবে বলা কঠিন। আগে পাইকারিতে ১০ টাকা কেজি পেঁপে কিনে ১২ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন পেঁপের কেজি কখনও ৩০ টাকা আবার কখনও ৩৫ টাকায় উঠে যাচ্ছে। আবার ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। অন্য সবজির বেচাকেনায় দাম এভাবে ওঠানামা করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.