মানবপাচার, অর্থপাচার ও ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ভাইকে এবার দেশটির তদন্ত কমিটি তলবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাপুলের ছোট ভাই তার সহযোগী ছিলেন-এমন নতুন তথ্য পাওয়ার পর পাপুলের ভাই কাজী বদরুলকে তলব করার নির্দেশ দিয়েছে মামলার তদন্ত কমিটি। পাপুলের স্ত্রী এবং অন্যদের সঙ্গে তার ভাই বদরুলও মানবপাচারে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
এদিকে, পাপুলের থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুয়েতের দুই এমপি সাদৌন হামদ এবং সালাহ খোরশীদ শনিবার জামিন পেয়েছেন। দুজনই ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন, পাপুলকে তারা চেনেন না এবং তার সঙ্গে কোনো ধরনের সংযোগ ছিল না।
কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মানব, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত এমন কয়েক শ ব্যক্তির তালিকা করে কুয়েত সরকার। সেই তালিকা ধরেই বিতর্কিত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সেই অভিযানেই গ্রেফতার হন বাংলাদেশের এমপি পাপুল।
২৪ জুন পর্যন্ত ২১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকবার আটকাদেশ বাড়িয়ে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
খবর- কুয়েত টাইমসের।